86. o বঙ্গদর্শন । বেশ নাই, ভুষ নাই –এলোকেশ, মলিন বসন— চমকি সবাই কহে —“চণ্ডালী এ ?—কি জানি, কেমন !” চণ্ডালী জননী তার কহ্যারে নেহারি দেখে যত, চোখে তার অাসে জল, তাবে—“হtয় ব্যথা পেলি কত ? কোন যক্ষবালা তুই আইলি এ দীনহীন ঘরে— শৈশবে হারালি বাপে, কত কষ্ট্রে দরিদ্রীর ক্রোড়ে বাড়ি’ এমনটি হ’লি !—মরি মরি—একি রূপ মা’র ! এ ল’য়ে কোথায় যাব ? —রেখে দেব হৃদয়ে আমার ।” —ভাবি ভাবি’ হিয়া গলি’, নিঠুরা সে চণ্ডালিনী কুণদে -- যতই স্বামীরে স্মরে অশ্রু আর কিছুতে না বাধে । আলো প্রৌঢ় চণ্ডালিনি কি যে তুই গেলি দরবিয়া— পরুষ পুরুষ হতে ! কোদালি ও ঝুড়ি কাখে নিয়া বৈশালীনগর-শষে প্রাস্তরে ভ্ৰমিতি তুই যবে, কপাল সিঁদুরে ভরি’ তোর নব-যৌবন-গরবে— রাখাল-কিশোর যত বাশারী-বিলাস বন্ধ করি* ভীরুতায় ধীরে ধীরে বঁাশবন-আড়ে ঘেত সরি’ — প্রতিবেশী যত—তোর ভয়ে সদা ছিল কম্পমান— কন্তার স্নেহ-সোহাগে একি তোর দ্রবি’ গেল প্রাণ ? শত আবদারে বালা জননীরে যত উদ্বেজিছে— স্নেহমুঢ় চণ্ডালিনী সব-fকছু জোগায়ে আনিছে – সেই সে অম্বিক আজি কি লাগিয়া করে: অভিমান ভূমিতলে পড়ে’ আছে ?—চণ্ডালীর বাহিরায় প্রাণ ! “উঠ উঠ ম। অামার, উঠ উঠ হৃদয়পুতলি”— কন্যার শিল্পরে বসি’ সাধিতেছে শত কথা বলি’ ৷ ত্বর উঠি কাদি হাসি করতলপিঠে আঁখি মুছি” কহে বাল অভিলtঘ— প্রভাতের রবিরশ্মি রুটি মাটির দেয়tল’পরে খড়ে ঢাকা জানালার ফাকে পড়িল আসিয়া মুখে, অভিমানে-র ও চোখে-নাকে,— বিস্রস্ত চুর্ণ চকুরে, রাঙা-দুটি-অধরোষ্ট’পর —(উপবাদে স্বীণ হ’য়ে বাহ আরো হয়েছে সুন্দর )— —জানাইল আবদার—“লাগে, আমি গিয়েছিছ কালি যে পথে তোমরা যাও মাঠ এড়ি’ নগর বৈশালী— . [ ৩য় বর্ষ, মাঘ ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।