পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] চণ্ডালী । 845 বটতরুটির মুলে, কুপ হ’তে তুলিবারে জল -- দারুণ মধ্যাহ্লবেলা, পুড়ি’ যায় যেন নভতল— কলসিটি ভরে? অামি ধীরে ধীরে রাখিয়া পশষাশে চাহিয়া দেখিতেছিমু ছায়tভরা-বটপাত-পানে উৰ্দ্ধদিকে—কচি কচি হইতেছে কোথাও বাহির, কোথাও সবুজ-গায় শতপাত ঘেরি’ একনীড় — কিছুই ছিল না মনে—সহসা তৃষায় হাহা করি’ এক ভিক্ষু মহাজন এসে প’ল উঠিমু শিহরি* ! একি রূপ মরি মরি ! একি রূপ আগুনসমান— তৃষায় শরীরখানি মৃদুমূছ তাহে কম্পমান— ঠিক যেন বহ্রিশিখ !—মাগো, আমি তুষ। তার ভুলি” রহিলাম চাহি’ শুধু ছনয়ন প্রাণপণ খুলি”— আহা !--চমকিয়া শেষে অঞ্জলিতে ঢেলে দিমু জল—- হাসি’, আশীৰ্ব্বাদ করি’ চলি গেলা হইয়া শীতল ! —চলি গেল ? হায় মাগো—চলি গেল ? চলি গেল দুর ? আর ফিরিবে না সে কি ? যাব আমি তাহীদের পুর! নাহি মোর লাজ ভয় –চিনি আমি বনপথ চিনি, এখনি যাইব সেথা—যাই, আমি যাব একাকিনী— অথবা—মা, তোর সেই মন্ত্র মোরে দেগো শিখায়ে দে । সারারাত্রি জাগি জাগি মন্ত্রে তারে আনিবই বেঁধে ।” — জননীর দুই হাত দৃঢ় চাপি বসিলা অম্বিক ! চণ্ডালিনী কহে—“হায়, নাহি জানি কি কপালে লিখা – তারা যে সন্ন্যাসী ভিক্ষু মহাজন দেবতাসমান, সমস্ত সংসার তার নিমিষেতে করে তুচ্ছঙ্কান— কি মস্ত্রে তাদেরে বাধি ? বাধিলেও, হায় অভাগিনি, ভিক্ষুর ভাঙিবি ব্ৰত ? হ’বি ঘোরনরকগামিনী ?” “অযুত নরকে যাব”—কহিলা কিশোরী গরজিয়া— “একবার তারে শুধু এ ভুজবন্ধনমাঝে নিয়া যাব যেখা যেতে হয়, শিখায়ে দে মন্ত্র ত্বরা করি ।” দণতে দাত চাপি মাত বসি’ রয় কতক্ষণ ধরি” । चे