পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] bestäì l 、8●● আনন্দ, প্রাস্তরপথ চলিছেন অতিক্রম করি* g শাখাপত্র ওড়ে মুখে, ত্রিবক্স বাহিয়া পড়ে নীর— কি টানে চলিছে ভিক্ষু অম্বিকার স্বদূর কুটার ! হেথ হের চণ্ডালিনী কোন যজ্ঞ জ্বালিয়া কুটীরে, পরি’ এক বাঘছাল, রক্তস্বত্র জড়াইয়া শিরে, জ,স্থ পাতি’ বসিয়াছে, পড়িতেছে মন্ত্র ভয়ঙ্কর— সম্মুখে কেহই নাই । মা গেছে সরিয়া দুরপর ! একাকিনী অম্বিক। সে পত্ররাশি বহ্রিমাঝে ছাড়ি’ দু’হাতে চাপিছে বক্ষ যেন হিয়া দেবে বা উপাড়ি’— সহসা করুণ। একি চিতে আসি* পশিল তাহার— s কহে চিত “ওই, ওই,—সাসিতেছে, দেরি নাই আর ' ওই শুন ঝঞ্জামাঝে —পদধবনি মৃদ্ধ মনোহর – ও বুঝি বাজিছে মোর গূঢ়তম মরমভিতর ! আহা, আমি কিবা দিয়া বরিব হৃদয়রাজে আজি ? এ মোর ভৈরবীবেশে ?—ন না, এই ফুলদলরাজি,— শিরোভূষা, কর্ণভুষা করি’ লই –থাকু সেও থাকৃ— রব আমি চক্ষু মুদি ভূমিতলে বাসস্থ। অবাকু, করজোড়ে !”- মুখখানি বুক’পরে পড়িল ঢলিয়া— ব্যগ্র আরাধনাভরে র্কাপে হিয়৷ হানিয়া হানিয়া— এমনি সঘনে বুঝি কেপেছিল আদি অন্ধকার পুৰ্ব্বক্ষণে জ্যোতিন্ময় এ বিশ্বভুবন ফুটিবার । অকস্মাৎ মুক্তদ্বারে দীর্ঘমুত্তি দাড়াইল আসি’— * ভ্রুকুটি-ভীষণ-মুখে “কি করিলি ?” গজ্জিলা সন্ন্যাসী । “কি করিলি ?”—বিদারিত মরণের ক্ষোভে তীব্রস্বর বিচরিল গুহমাঝে শব্দময়ী ঝঞ্জার ভিতর ! অন্ধকারে আত্মহার। তরু যবে থাকে দগড়াইয়া— কে জানে কেমন করি’ স্তৰতীয় কাপে তার হিয়া— অকস্মাৎ বিনামেঘে বজ্র আলি’ পড়ে শিরে তার, -পুড়ায়ে দীরিয়া ফেলে, তেমনি বাজিল অম্বিকার । মুহূৰ্ত্ত নীরবে চাহি’ চমকিয়া দাড়াল অম্বিকা— “হায়, আমি কি করিম, কি করিছ—এ যে বহূিশিখা !