সগর সত্যের আলোচনা । S SAeSeASAAAS বিগত প্রবন্ধে ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডের কল-কারখানাসম্বন্ধে যে কয়েকটি জ্ঞাতব্য বিষয়ের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, তাহ। আহুপুৰ্ব্বিক এই ;— (১) চক্ষুশ্রোত্রাদিয় সারভূত দশেন্দ্রিরের উপর সোয়ার হইয়া রহিয়াছে প্রাণ-মন বুদ্ধি, এক কথায়, অন্তঃকরণ * । (২) অন্তঃকরণের হস্তে রাশ গুচ্ছ বাগানো রহিয়াছে ত্ৰিবিধ শক্তি ; (১) জীবনী শক্তি প্রাণের হস্তে, (২ ) ইচ্ছাশক্তি মনের হস্তে, (৩) এবং ধীশক্তি বুদ্ধির হস্তে । ঐ তিনপ্রকার শক্তির স্থল আবরণ হ’চ্চে তিনপ্রকার তৈজস-নাড়ী ;–জীবনী শক্তির স্থল আবরণ মৰ্ম্মবহা নাড়ী, ইচ্ছাশক্তির স্থল আবরণ কৰ্ম্মবহ নাড়ী, ধীশক্তির স্থল আবরণ চেতোবহ নাড়ী । (৩) বাহন-ঐ যে স্বল্প দশেন্দ্রিয়, তাহা স্বাক্ষশরীরের বহিরঙ্গ ; আর, সোয়ার-ঐ যে অন্তঃকরুণ, তাহা সুক্ষশরীরের জন্তরঙ্গ । স্বাক্ষশরীর ঐ দ্বিবিধ অঙ্গের অঙ্গী । (৪) স্থম্মশরীরের বহিরঙ্গের এ-মুড়া হইতে অস্তরঙ্গের ও-মুড়া পৰ্য্যস্ত একটা ক্রমাভিব্যক্তির সোপান-পথ রহিয়tছে । সেই সোপান-পথের মাঝের ধাপে প্রাণের সঙ্গে দোসর জোটে মন, এবং শেষের ধাপে মনের সঙ্গে দোসর জোটে বুদ্ধি | (৫) বুদ্ধির হুই অঙ্গ—(১) সামান্ত-জ্ঞান এবং ( ২ ) বিশেষ জ্ঞান । পূৰ্ব্বপ্রবন্ধে এইখানে থামিয়া-দাড়াইয়া একটি কথা ইঙ্গিত করা হইয়াছিল এই যে, দ্রষ্ট সামান্ত-জ্ঞানের দ্বার দিয়া আত্মিসত্তা উপলব্ধি করে, এবং বিশেষ-জ্ঞানের দ্বার দিয়া বস্তুসত্তা উপলব্ধি করে । শেষের এই কথাটির আদ্যোপাস্ত ভাল করিয়া পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখা যা’ক্ ৷ প্রাণ, মন, বুদ্ধির উত্তরোত্তর ক্ষেত্রে আগমন | যে সমরে শকুন্তলা দুষ্যন্ত রাজার ধ্যানে তদগতচিত্তে নিমগ্ন, সেই সময়ে যখন দুৰ্ব্বাস। ঋষি তাহার চক্ষুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন, তখন প্রদীপের বৰ্ত্তিকায় যেমন করিয়া আগুন ধরানো হয়, তেমনি করিয়া দুৰ্ব্বাসা ঋষির কোপ প্রদীপ্ত মুখরশ্মি শকুন্তলার চাকুৰ তৈজস-নাড়ীতে কম্পন ধরাইরাছিল, তাহাতে আর ভুল নাই । কিন্তু হইলে হুইবে কি—সে তৈজস-কম্পন যেখানে আরব্ধ হইয়াছিল, সেইখানেই আটক পড়িয়া রহিয়া গেল। প্রাণের অন্ধকারাবৃত বহিঃপ্রাঙ্গণেই আটক পড়িয়া রহিয়া গেল, তাহার উদ্ধে মনের দীপালোকিত চেতনাগুহুে বাহিয়া উঠিতে পারিল না । যাহাই হো’কু না
- কি কারণে প্রাপকে অস্তুঃকয়শেল্প কোঠায় স্থান দেওal বিধেয়, তাহ পূর্কের এক প্রবন্ধে দে থলে৷