পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা 11 মুক্তি । 8ዓS» বিবাহ করিয়া তাহদের কাছে গোপন করিয়াছিল। এ সমস্ত কথা শুনিয়াও হেমনলিনী রমেশকে একবার অপবাদক্ষাজ্ঞান করিবার অবকাশমাত্রও দিল ন৷ o রমেশের বিরুদ্ধে এত-বড় কথাটা সে অনায়াসে বিশ্বাস করিতে পারিল ! ইহার পরে সে যদি রমেশের অস্তিত্ব একেবারে সম্পূর্ণরূপে ভুলিতে পারিত, তবে তাহা দয়ার কাজ হুইত, কিন্তু ঘূণায় তাহাকে ভুলিতে দিবে না-- রমেশের সহিত পুৰ্ব্বসম্বন্ধ কঠিন লজ্জার দ্বারা খোদিত হুইয়। তাহার মনের মধ্যে মুদ্রিত হইয়া থাকিবে । রমেশ আর বিছানায় চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না—উঠিয়া বাহিরে আসিল —নিশীথিনীর অন্ধকারে একবার অনুভব করিয়া লইল ধে, তাহারই লজ্জা, তাহারই বেদন অনস্ত দেশ ও অনস্ত কালকে আবৃত করিয়া নাই । আকাশ পূর্ণ করিয়া চিরকালের জ্যোতিলোকসকল স্তব্ধ হইয়া আছে — রমেশ ও হেমনলিনীর ক্ষুদ্র ইতিহাসটুকু তাহাদিগকে স্পর্শও করিতেছে না— এই শরতের রজনীতে রমেশের এই মৰ্ম্মণন্তিক ব্যথা জগতের নিদ্রা-মহাসাগরকে কতটুকুই বা নাড় দিয়াছে ! এই আশ্বিনের নদী তাহার নির্জন বালুতটে প্রফুল্ল কাশবনের তলদেশ দিয়া এমন কত নক্ষত্রালোকিত রজনীতে নিযুপ্ত গ্রামগুলির বনপ্রাস্তচ্ছায়ায় প্রবাহিত হইয়া চলিবে,—যখন রমেশের জীবনের সমস্ত ধিক্কার শ্মশানের ভস্মমুষ্টির মধ্যে চিরধৈর্য্যময়ী ধরণীতে মিশাইয়া চিরদিনের মত নীরব হইরা গিয়াছে ! ক্রমশ ] মুক্তি । متمایاهای تنتبختخة اشاره ডাক্তার জরপরীক্ষার পর রোগীকে কুইনাইন ব্যবস্থা করিলেন । বলিলেন, ‘তোমার কুইনাইন-সেবন কৰ্ত্তব্য ।” এই সময়ে যদি কেছ গম্ভীরভাবে উপদেশ দেন, কুইনাইন-সেবন মাছুষের কর্তব্য নহে, পরোপকারই মঙ্গুষ্যেয় কৰ্ত্তব্য’, তাহা হইলে বিশুদ্ধ ছাস্তরসের স্বষ্টি হয় মাত্র, রোগীর কোন উপকার হয় না। . আজকাল গদ্যে পদ্যে বক্তৃতায় শব্দের অপপ্রয়োগ করিয়া ঐক্কপ বা তাহ অপেক্ষাও উৎকট যুক্তিৰিভ্ৰাট ঘটান হয়, কিন্তু তাহাতে হাস্যরসের উদ্ভব কেন হয় না, বুঝিতে পার! যায় না । প্রাচীনকালে তায্যসমাজে কতকগুলি সামাজিক আচায়-অনুষ্ঠান-উৎসবাদি সম্পাদিত হুইত ; উহাদিগকে যাগযজ্ঞ বলিত ও উহাদের সাধারণ নাম ছিল ধৰ্ম্ম । তৎকালে তদেশে তৎসমাজে ঐ সকল অনুষ্ঠানের উপযোগিতার বিচার এখন কঠিন । একালে আমরা ধৰ্ম্মশব ভিক্স অর্থে ব্যবহার করি ও -গম্ভীরভাবে বক্তৃতা করি ও কাব্য লিখি— “যজ্ঞে ধৰ্ম্ম নহে, ধৰ্ম্ম লোকহিতে ’ জার