পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । } কেৰল সম্যক্ জ্ঞানের অভাৰে উৎপন্ন । উহার ভিতরে কিছুই লাই। সমস্তই শূন্ত ও মরীচিকণ সংসার অস্তিত্বহীন । এইটুকু বুৰিলেই ভ্রাত্তি কাটিয়া যাইৰে । তথন বুঝিবে, জন্ম-মৃত্যু সবই মিথ্যা, ইহকালপরকাল কিছুই নাই, মুখস্থঃখও অস্তিত্বহীন । এইটুকু • বুঝিলেই নিৰ্ব্বাণ ঘটে বা মুক্তি ঘটে । এইটুকু বুঝিলেই দুঃখ থাকে না ; এইটুকু বুঝিলেই জন্মাস্তরপুরিগ্রহ করিতে হয় না । কেন না, দুঃখ অস্তিত্বহীন পদার্থ, জন্মাস্তরপরিগ্রহও ভ্রান্ত বিশ্বাসমাত্র । এই ভ্রান্ত বিশ্বাসটাই আবিস্তা, . এই ভ্রাস্তির অপনোদনই নিৰ্ব্বাণ । নাশ । কাজেই ঐ জ্ঞানোদয় ভিন্ন নিৰ্ব্বাণলাভের , উপায়ান্তর নাই । কিন্তু সেই জ্ঞানেদয় অতি কঠিন ব্যাপার। ইচ্ছা করিলেই ব{ চেষ্টা করিলেই সেই জ্ঞানের উদয় ঘটে না । বিশ্বজগৎটা জ্ঞানস্বরূপ পদার্থ, ইহা মনে করিলেই করা যায় ন৷ ৷ অন্তত অনেক বড় বড় লোকে যখন এ সম্বন্ধে প্রতিবাদ করিতে উপস্থিত হন, তখন সাধারণ মামুষের ত কথাই নাই । তবে সাধারণ মামুষে করিবে কি ? তাছার বথাসাধ্য এই জ্ঞান লাভের জন্য চেষ্টা করিতে পারে ; এই জ্ঞানলাভের জন্তু ষে সাধনা অাবগুক, তাহা দ্বারা এই জ্ঞানের জন্ড প্রস্তত হইতে পারে । বুদ্ধ७थलर्निंड फञांडेशिक भाँकाँ चमबङाचन कब्रिग्री नमग्नकू छुडि, गङ्गाकू शकब्रावि षां ब्रां श्रां८काiমতিবিধানের পর শেষ পর্বত্ত সমাৰু সমাধিবলে ঐ জ্ঞানলাভের জন্ড এঙ্কত হইতে 'ोप्नु । भूलि अब्रानणडा; जश्। खानौन्न • * 鷲 মুক্তিa" ইহার ফল দুঃখ 844划 প্রাপ্য। শাষ্টাঙ্গিক মার্গ অবলম্বন করিতে জাতিবর্ণমিব্বিশেষে সকলেরই • অধিকার আছে, এবং ঐ পন্থী ভিন্ন অন্ত পন্থীয় চলিলে: ফললাভের সম্ভাবনাও নাই । কিন্তু অধিকার থাকিলেই ফলপ্রাপ্তি ঘটে না ।

  • ভগবান বুদ্ধগৌতম এইরূপে মুক্তির পথ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । তাহাকে এইহেতু মুক্তির পথপ্রদর্শক বলা যাইতে পারে । কিন্তু তিনি আপনাকে মুক্তিদাতা বলিয়া প্রচার করেন নাই । বিশুদ্ধ বৌদ্ধমতে কোন মনুষ্য বা কোন দেবতা অল্পগ্রহপূর্বক কাহাকেও মুক্তি দিতে পারেন না ; সেইজম্ভ বিশুদ্ধ বৌদ্ধমতে মুক্তিদাতা কেহ থাকিতে পারে না । বিনা অবিদ্যানাশে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা নাই। কাজেই মুক্তি প্রত্যেক ব্যক্তির সাধনাসাপেক্ষ ও চেষ্টাসাপেক্ষ। তবে বুদ্ধপ্রদর্শিত ত্রিশরণমার্গ আশ্রয় করিলে সেই সাধনার পথ পা ওয়া যাইতে পারে মাত্র । কিংবা এতটুকু বলা যাইতে পারে যে, বুদ্ধপ্রদর্শিত মার্গ আশ্রয় না করিলে মুক্তিয় পথ জানিবার উপায় থাকে না, অতএব মুক্তিলাভের উপায় থাকে না । বুদ্ধদেবই জগৎকে মুক্তির পস্থা দেখাইরাছেন । যাহারা অল্প পস্থা দেখাইয়াছেন, র্তাহার বৌদ্ধগণের মতে ভ্ৰাস্ত । বৌদ্ধগণ ভগবানকে ভযব্যাধির চিকিৎসক, বৈদ্যরাজ, জ্ঞানসিন্ধু, দয়াসিন্ধু ইত্যাদি বিশেষণে বিশিষ্ট করিয়ছিলেন। এই করুশনিধান মহাপুরুষের উপাসনা বৌদ্ধসমাজে প্রবর্তিত হইয়াছিল ৷ কিন্তু তাছার কুপমাত্রে যে মুক্তিলাভ হইতে পারে, ইহা ৰিশুদ্ধ বৌদ্ধমতের স্বীকার্য্য নহে । - -