প্রথম সংখ্যা । ] সার সত্যের আলোচনা । . Rළු
- আমি আছি।” জুই কথার ভাবার্থ একই ।
ভাবাখ একই বটে—কিন্তু তত্ৰাচ তোমার । ভাষার তুমি যে বলিতেছ “আমি আছি”, এইটিই মূল কথা ; আর, আমার ভাষায় আমি যে বলিতেছি “ইনি আছেন”, এটা সেই মূলের অনুবাদ । ওটাকেই বা মূল বলি কেন—এটাকেই বা অনুবাদ বলি কেন ? কেন যে বলি, তাহার কারণ দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে ; কারণ আরকিছু ন—তুমি যে বলিতেচ্ছ “আমি আছি”, এটা তোমার হওয়া-কথা ; আর, আমি যে বলিতেছি “ইনি আছেন”, এটা শুধু আমার r দেখা কথা । তত্ত্বজ্ঞান বলেন যে, দেখাকথার মূলে যদি হওয়া-কথা না থাকে, তবে দেখা-কথা শুধুকেবল একটা কথার কখা হইয়া দাড়ায়। কাজেই বলিতে হয় যে, তুমি যে বলিতেছ “আমি আছি”, সেইটিই মূল কথা; আর, আমি যে বলিতেছি “ইনি আছেন”, এটা তাহারই অনুবাদ । তুমি হয় তো বলিবে যে, দেয়াল তো বলে না “আমি আছি”—তুমিই বলিতেছ “দেয়াল আছে”, —“দেয়াল আছে” ইহার ভিতরে দেখাকথা ছাড়া হওয়া-কথা কোনখানটায় ? ইহার উত্তর এই যে, তুমি যখন বলিতেছ যে, দেয়াল আছে, তখন তাহার অর্থই এই যে, তোমার দেখা-কথার ও-পিটে দেয়ালের নিজের একটি হওয়া-কথা আছে—যদিচ দেয়াল তাহ। মকুষ্যের ভাষায় ব্যক্ত করিয়া বলিতে পারে. না । দেয়াল. যদি মনুষ্যের ভাষায় কখা কহিতে জানিত—তাহা হইলে দেয়াল নিশ্চয়ই বলিত “আমি তাছি।” দেয়াল নিতান্তই পর-দেশের লোক-;— দেয়াল তোমার দেশের ভাষায় কথা কহিতে জানে না ; তাই সে মুখে বলিতে পারে না যে, “আমি আছি ।” তুমি দেয়ালের উকিল । ' দেয়াল আপনার অন্তরের কথা আপনি প্রকাশ ফরিয়া বলিতে অক্ষম—তাই তুমি দেয়ালের হইয়া এইরূপ ওকালতি করিতেছ যে, দেয়াল আছে ; ইহাতে প্রকারাস্তরে বলা. হইতেছে যে, “আমি আছি” এটা দেয়ালের অন্তরের কথা ; যদিচ দেয়াল সে কথা প্রকাশ করিয়া বলিতে জানেও না—বলিতে চাহেও न'i ॥ দেয়ালকে মারো-ধরেী—দেয়ালের তাহা গায়ে লাগে না ; কাজেই “আমি ' আছি” এ কথা প্রকাশ করিয়া বলিবার জন্ত তাহার মাথাব্যথা হয় না ; প্রকাশ করিয়া না বলুকৃ—ঠারেঠোরে রল্লিতে ছাড়ে না ; এমন কি—দেয়াল তোমার চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইতেছে “আমি আছি;” দেয়ালের অঙ্গুলি হ’চ্চে শ্বেতাংশুপ্রতিক্ষেপণী শক্তি ; সেই তাহার অব্যর্থ শক্তি তোমার চক্ষের ভিতরে চালাইয়া দেয়াল মুখে না বলুকু—কাজে বলিতেছে *আমি আছি।” তত্ত্বজ্ঞানের কথা এই যে, তুমি দেয়ালই হও, আর মনুষ্যই হও—তৰ্মহাতে- আইসে যায় না ;—যাহাঁই তুমি হও না কেন— তোমাকে লক্ষ্য করিয়া আমি যদি - বলি যে, “ইনি আছেন, তবে সেই “ইনি আছেন” কথাটির দুই পারেই “আমি অছি” বিরাজধান। এপারের “ আমি আছি” আমার অন্তরের কথা—s iারের “আমি আছি” তোমীর অস্তরের কথা ; আর