পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা” ] নিৰুের জীব হইতে স্বতন্ত্র যে জগৎকারণ ঈশ্বর স্বীকার করেন, এ ঈশ্বর সে ঈশ্বরও নছেন । বৈষ্ণবদিগের ভাষা সকল সময়ে বুঝা যায় না । বৈষ্ণব দার্শনিকেরাও অনেকে স্বতন্ত্র ঈশ্বর কল্পনা করিয়া তাহার সহিত জীবের ভিন্নত্ব ও সেব্যসেবকসম্বন্ধ কল্পনা করিয়াছেন । কেহ কেহ আবার এরূপ ভাষায় কথা কহিয়াছেন যে, তাহারা বেদাস্তস্বীকৃত আত্মাকেই ঈশ্বর বলিয়া গ্রহণ করেন নাই, তাহ ৰলা দুষ্কর ৷ বৈষ্ণবগণের চতুবুহিতত্ত্বের সহিত বৈদাস্তিক অদ্বয়তত্বের সমস্বয়চেষ্টা দেখিয়াছি । তবে বৈষ্ণবসমাজের নেতৃগণের নিকট এই সমস্বয়চেষ্টা অনুমোদিত হইবে কি না, জানি না । অন্তের পক্ষে যাহাই হউক, অদ্বয়মতে আমিই সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তিমান, জগতের স্রষ্টা, বিধাতা ও সংহৰ্ত্ত। পরিদৃশুমান চরাচরের “জন্মাদি” আমি হইতেই । . এইরূপে বেদাস্ত আত্মীয় জগৎকারণত্ব অপণ করিয়া উহাকে ঈশ্বরপদবাচ্য করেন ও সৰ্ব্বজ্ঞতা, সৰ্ব্বশক্তিমত্তা প্রভৃতি উপাধি তাহাতে অৰ্পণ করেন । আবার অন্যদিকে তিনিই • আত্মকে সৰ্ব্বগুণবিবর্জিত নিরু* পাধিক শুদ্ধ - চৈতন্তস্বরূপ বলিয়া বর্ণনা করেন। এই একটা মুহাসমস্ত। আত্মাকে নিরুপাধিক বলার তাৎপৰ্য্য আগে বুঝা যাউক । আমি আছি, এ বিষয়ে আমার সন্দেহমাত্র নাই । ইহা অামার পক্ষে স্বতঃসিদ্ধ। অথচ সেই আমি কিংস্বরূপ, আমি ८कमन, ऐश बूकाहेवाब्र ७ बनिवाब्र डाषा । *ीी७ब्र' षांश्च न1 ॥ ८ङ्गन न।, श्रीरु-झिङ् खनिभमा, डांशहे डांबा दांड़ा थकांनं८षां★T ७ মুক্তি । 8ఫిలి বর্ণনীয় ; কিন্তু যাহা জ্ঞানগম্য, তাহ বিষয়শ্রেণিভুক্ত, তাহ বিষয়ী নহে। কাজেই আত্মার অর্থাৎ বিষয়ীর যদি কোন জ্ঞানগম্য ধৰ্ম্ম থাকে, তাহা হইলে আত্মা বিষয়ী ন · হইয়া বিষয়ের অন্তর্গত হইয় পড়ে । কাজেই কোন জ্ঞানগম্য ধৰ্ম্ম, কোন ভাষায় বর্ণনীয় গুণ, আত্মায় আরোপ করা চলে না । কাজেই আত্মাকে ইহা নহে, ইহা নহে, এইরূপ বলিয়া বর্ণনা করিতে হয়। বাক্য মনের সহিত আত্মাকে না পাইয়া, আত্মার স্বরূপ প্রকাশে অসমর্থ হইয়া ফিরিয়া আসে । বড় জোর, তাহী বিশুদ্ধচেতনাস্বরূপ, এই পৰ্য্যন্ত বলিয়াই নিরস্ত হইতে হয় । কিন্তু সেই চেতনা আবার কি, তাহা বুঝান চলে न1 ।। * এইরূপে বেদাস্ত আত্মাকে নিগুণ, নিরুপাধিক, অনিৰ্ব্বাচ্য বলিয়া বর্ণনা করেন । হিউমের ন্যায় প্রপঞ্চমাত্র-স্বীকারী এইখানে আসিয়া বলেন, “যাহার স্বরূপ কি, তাহী জানি না, বুঝি না, বুঝাইতেও পারি না, যাহার অস্তিত্বের প্রমাণ করিৰার উপায় নাই, তাহার অস্তিত্বস্বীকার বৃথা জল্পন।” ক্ষণিকবিজ্ঞানৰাদী বৌদ্ধও প্রায় সেই কথাই বলেন । তিনি বলেন, “যদি বাস্তবিকই সেইরূপ কোন অনিৰ্ব্বাচ্য পদার্থ থাকে, ও তাহার নামকরণ নিতান্তই অবিশুৰ । হয়, তাহাকে শূন্ত বলাই ভাল। বেদান্ত জোরের সহিত বলেন, “আমি উহাকে শুভ বলিতে প্রস্তত নছি। শূন্ত বলারও ষে ফল, নাস্তি বলারও সেই ফল। উছ নাস্তি, ইহা ৰলিতে আমি প্রস্তুত লছি। উহ নাস্তি নহে; অামি জানিতেছি, উহা অস্তি, উহার অস্তিক্ষ