بعدد8 " কিন্তু তাহাও সম্পূর্ণ ঠিক নহে। পরমার্থত আমি ঐরূপ কিছুই করি না । আমি ঐরূপ করি বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু উহ। ৰোধমাত্র। আমি কিছুই করি না। ঐন্দ্রজালিক কাটামুণ্ডে কথা কহায় বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু উহাও বোধমাত্র ; ঐন্দ্রজালিক তাহ করে না । অতএষ আমি সম্পূর্ণ নিক্রিয় শুদ্ধ চৈতন্তস্বরূপ জীব । এ পর্য্যন্ত যে আত্মার কথা বলা গেল, যাহাকে বিষয়ী বা জীব এই নাম দেওয়া হইল, সে আমি ; আর কেহই নহে । আমিই একমাত্র জীৰ, এবং এই জীবই ব্রহ্ম, এই আমিই ব্ৰহ্ম ৷ এখন জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে, জীবাত্মাই যদি একমাত্র অদ্বিতীয় পদার্থ, জীবই যখন ব্ৰহ্ম, তখন আবার ‘পরমাত্মা’নামটা বেদান্তের ভাষায় ব্যবহৃত হয় কেন ? আত্মা বা জীবাত্মা বা জীব শব্দ ব্যবহারেই যখন সকল কাজ চলে, তখন ‘পরমাত্মা’লীমক আর-একটা আত্মার কল্পনা করিয়া শেষে সেই পরমাত্মার সহিত জীবাত্মার অভেদপ্রতিপাদনরূপ উৎকট পরিশ্রমের প্রয়োজন কি ? পরমাত্মার নাম আদৌ উঠে কেন ? পরমাত্মা যদি জীবাত্মার সহিত সৰ্ব্বতোভাবে অভিন্ন, তবে পরমাত্মা এই পৃথক নামকরণের প্রয়োछन कि ? . প্রয়োজন কি, তাহ শারীরকভাষ্মের মারম্ভেই একটি কথা আছে, তাহা হইতে বুঝা যায়। ভাষ্যকার ষাবতীয় পদার্থকে বিষয়ী ও ৰিষয়, এই স্থই ভাগে ভাগ করিয়াছেন— ৰিষয়ী অামি, আর বিষয় অ্যমা-ছাড়া আর সৰ। এই ছয়ের সম্বন্ধ আলো আর আঁধারের মত সম্পূর্ণ বিপরীত বলিয়াই আমাদের বঙ্গজশন । ৩য় বর্ষ, মাঘ । বোধ হয় । যাহা বিষয়ী, তাহ বিষয় লছে ; যাহা বিষয়, তাহ বিষয়ী নহে । যে দেখে, সেই বিষয়ী ; যাহা দেখা যায়, তাহ বিষয়। কিন্তু তার পরেই ভাষ্যকার বলিয়াছেন, এই বিষয়ী অর্থাৎ আত্মা সম্পূর্ণ অবিষয় নহে, সম্পূর্ণ অপ্রত্যক্ষ নহে—অর্থাৎ আমি একাধারে বিষয়ী ও বিষয় । এই কথাটা প্রণিধানযোগ্য। আমি যেমন তোমাকে জানি, রামকে জানি, শ্যামকে জানি, তেমনি আমি আমাকেও জানি। আমাকে আমি জানি না, এ কথা আমি ষলিতে পারি না। আমি একদিকে জ্ঞাতা, অন্তদিকে আমারই জ্ঞেয় ; আমিই আমার অহংবৃত্তির গোচর । যাহা জ্ঞানগম্য, যাহা জানা যায়, তাহাকেই যদি বিষয় বলা যায়, তাহা হইলে আমি একাধারে বিষয়ী ও বিষয়। পাশ্চাত্যদর্শনেও Egoনামক আমাকে দুই ভাগে তাগ করা হয় । „qzgtag zan1 =a Empirical Ego—«fts বিষয় অামি ; অন্তকে বলা হয় Pure Ego -Il Transcendental Ego – softs frist আমি । বেদাস্তুশাস্ত্রে এই বিষয়-আমার ৰা জ্ঞানগম্য-অামার পরিভাষিক নাম জীবাত্মা ; আর এই বিষয়ী অামার.বা জ্ঞাত আমার পারিভাষিক নাম পরমাত্মা ! এই উভয় আমার মধ্যে সম্বন্ধ কি ? বলা বাহুল্য, ইনিও যে আমি, উনিও সেই আমি । আমিই আমাকে জানি, এই জ্ঞানক্রিয়ার কর্তা আমি ও কৰ্ম্ম আমি, উভয়ই এক ও অভিন্ন আমি। ইহাতে মত্ত্বষৈধের সম্ভাবনা নাই । অথচ অন্তভাৰে দেখিলে উভয়কে ভিন্ন বলিয়া ৰোধ হয় । কিরূপে, দেখ1 बांबू ॥
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।