পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা 1, लिम ७ प्रांद्धि । (లి f শাস্ত হয়, তখনই সমস্ত আৰশুকের অতীত যে প্রেম, সে আপনার যথার্থ অবকাশ পায় । অামাদের কৰ্ম্মের সহায় যে ইন্দ্রিস্থবোধ, সে যখন অন্ধকারে আবৃত হইয়া পড়ে, তখন ব্যাঘাতহীন আমাদের হৃদয়ের শক্তি বাড়িয়া উঠে, তখন আমাদের মেহপ্রেম সহজ হয়— আমাদের মিলন সম্পূর্ণ হয় । তাই বলিতেছিলাম, রাত্রি যে কেবল হরণ করে, তাহা নহে, সে দানও করে । অামা দের এক যায়, আমিরা আর পাই ; এবং যায় । বলিয়াই আমরা তাছা পাইতে পারি। দিনে সংসারক্ষেত্রে আমাদের শক্তিপ্রয়োগের মুখ, রাত্রে তাহা অভিভূত হয় বলিয়াই নিখিলের মধ্যে আমরা আত্মসমর্পণের আনন্দ পাই । দিনে স্বার্থসাধনচেষ্টায় আমাদের কর্তৃত্ব-অভিমান তৃপ্ত হয়, রাত্রি তাঁহাকে খৰ্ব্ব করে বলিয়াই প্রেম এবং শাস্তির অধিকার লাভ করি । দিনে আলোকে-পরিচ্ছিল্প এই পৃথিবীকে আমরা উজ্জলন্ধপে পাই, রাত্রে তাহা স্নান হয় বলিয়াই অগণ্য জ্যোতিষ্কলোক উদঘাটিত হইয়া যায় । 哆 আমরা একই সময়ে সীমাকে এবং অসীমকে; অহংকে এবং অখিলকে, বিচিত্রকে এবং এককে সম্পূর্ণভাবে পাইতে পারি না বলিম্বাই একবার দিন আসিয়া আমাদের চক্ষু খুলিয়া দেয়, একবার রাত্রি আসিয়া আমাদের হৃদয়ের স্বার উদঘাটিত করে । একবায় আলোক জার্সিয়া অামাদিগকে কেন্দ্রের মধ্যে নিৰিষ্ট করে, একবার অন্ধকার আলিয়া সামাদিগকে পরিধির সহিত পরিচিত করিতে १ां८क ॥ - , “हेचड ब्रांजिह उ९णटकब वि८*व जयद्र । এখন বিশ্বভুবন অন্ধকারের মাতৃকক্ষে আসিয়া সমবেত হইয়াছে । যে অন্ধকার হইত্তে জগৎচরাচর ভূমিষ্ঠ হইয়াছে, যে অন্ধকার হইতে আলোকনিঝরিণী নিরস্তর উৎসারিত হইতেছে, যেখানে বিশ্বের সমস্ত উদ্যোগ নিঃশব্দে শক্তিসঞ্চয় করিতেছে, সমস্ত ক্লাস্তি সুপ্তিস্বধার মধ্যে নিমগ্ন হইয়া নবজীবনের জন্ত প্রস্তত হইতেছে, যে লিস্তব্ধ মহান্ধকারগর্ভ হইতে একএকটি উজ্জল দিবস লীলসমুদ্র হইতে একএকটি ফেনিল তরঙ্গের দ্যায় একবার আকাশে উখিত হইয়া আবার সেই সমুদ্রের মধ্যে শয়ান হইতেছে, সেই অন্ধকার আমাদের নিকট যাহা গোপন করিতেছে, তাহ অপেক্ষ অনেক অধিক প্রকাশ করিতেছে। সে না থাকিলে লোকলোকাস্তরের বার্তা আমরা পাইতাম না, আলোক আমাদিগকে কারারুদ্ধ করিয়া রাখিত । এই রজনীর অন্ধকার প্রত্যহ একৰার করিয়ু দিবালোকের স্বর্ণসিংহদ্বার মুক্ত করিয়া আমাদিগকে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তঃপুরের মধ্যে আনিয়া উপস্থিত করে, বিশ্বজননীর এক অখও নীলাঞ্চল আমাদের সকলের উপরে টাiনয়া দেয় । সস্তান স্থখন মাতার আলিঙ্গনপাশের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রচ্ছন্ন হইয়৷ কিছুই দেখেনা-শোনেন, তখনই নিবিড়তরভাবে মাতাকে অনুভব করে—সেই অস্থভূতি দেখা-শোনার চেয়ে অনেক বেশি ঐকাস্তিক—স্তব্ধ অন্ধকার তেমলি ৰখন আমাদের দেখা-শোনাকে শাস্ত করিস্থ দেয়, তখনই আমরা এক শষ্যাতলে লিখিলকে ও নিখিলমাতাকে আমাদের বক্ষের কাছে অত্যন্ত নিৰিড়ভাৰে নিকটবর্তী কম্বিন্ধ .