পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૯S૭ दअन=ॉन् । [ ৩য় বর্ষ, মাঘ । গত সীমার মধ্যে নহে, নিজের সংসারগত শক্তির মধ্যে নহে । এইরূপে জীবন হইতে মৃত্যুতে পদার্পণ দিন হইতে রাত্রিতে সংক্রমণেরই অমুরূপ । ইহা বাহির হইতে অস্তঃপুরে প্রবেশ–কৰ্ম্মশালা হইতে মাতৃক্রোড়ে আত্মসমপণ—পরস্পরের সহিত পার্থক্য ও বিরোধ হইতে নিখিলের সহিত মিলনের মধ্যে আত্মাক্সভুতি । শক্তি আপনাকে ঘে,ষণা করে, প্রেম আপনাকে আবৃত রাখে । শক্তির ক্ষেত্র জালোক, প্রেমের ক্ষেত্র অন্ধকার । প্রেম অস্তরালের মধ্য হইতেই পালন করে,~– লালন করে, অনন্তরালের মধ্যেই আকর্ষণ করিয়া জানে । বিশ্বের সমস্ত ভাণ্ডার বিশ্বজননীর গোপন অস্তঃপুরের মধ্যে । তাই আমর কিছুই জানি না—কোথা হইতে এই নিঃশেষৰিহীন প্রাণের ধারা লোকে লোকে প্রবtহিত হইতেছে, কোথা হইতে এই অনিৰ্ব্বাণ চেতনার আলোক জীবে জীবে জলিয়া উঠিতেছে, কোথা হইতে এই নিত্যসঞ্জীবিত ধীশক্তি চিত্তে চিত্তে জাগ্রত হইতেছে । আমরা জানি না—এই পুরাতন জগতের ক্লাস্তি কোথায় দূর হয়, জীর্ণ জরার ললাটের শিথিল বলিরেখা কোথায় কোন অমৃত-করপর্শে মুছিয়া-গিয়া আবার নবীনতার সোঁকুমাৰ্য্য লাভ করে, জানি না—কণা-পরিমাণ বীজের মধ্যে বিপুল বনস্পতির মহাশক্তি কোথায় কেমন করিয়া প্রচ্ছন্ন থাকে । জগতের এই ষে আবরণ, ষে আবরণের মধ্যে জগতের সমস্ত উদ্যোগ অদৃশ্য হইয়। কাজ করে—সমস্ত .চেষ্টা বিরামলাভ করিয়া যথাকালে নবীভূত হইয়া উঠে, ইহা প্রেমেরই আবরণ ! মুপ্তির মধ্যে এই প্রেমই স্তম্ভিত, মৃত্যুর মধ্যে এই প্রেমই প্রগাঢ়, অন্ধকারের মধ্যে এই প্রেমই পুঞ্জীকৃত—আলোকের মধ্যে এই প্রেমই চঞ্চলশক্তির পশ্চাতে থাকিয়া অদৃশ্য, জীবনের মধ্যে এই প্রেমই আমাদের কর্তৃত্বের অন্তরালে থাকিয়া প্রতিমুহুর্তে বলপ্রেরণ, প্রতি-মুহূর্তে ক্ষতিপূরণ করিতেছে । হে মহাতিমিরাবগুষ্ঠিত রমণীয়া রজনি, তুমি পক্ষিমাতার বিপুল পক্ষপুটের দ্যায় শাবকদিগকে স্বকোমল স্নেহাচ্ছাদনে আবৃত করিয়া অবতীর্ণ হইতেছ ; তোমার মধ্যে বিশ্বধাত্রীর পরমস্পর্শ নিবিড়ভাবে, নিগুঢ়ভাবে অনুভব করিতে চাহি । তোমার অন্ধকার আমাদের ক্লাস্ত ইন্দ্রিয়কে অচ্ছিল্প রাথিয়া আমাদের হৃদয়কে উদঘাটিত করিয়া দিকৃ—আমাদের শক্তিকে অভিভূত করিয়া আমাদের প্রেমকে উদ্বোধিত করিয়া তুলুক, আমাদের নিজের কর্তৃত্ব প্রয়োগের অহঙ্কারমুখকে খৰ্ব্ব করিয়া মাতার আলিঙ্গনপাশে নিঃশেষে আপনাকে ৰঙ্গন করিবার আনন্দকেই গরীয়ান করুক । _. হে বিরাম-ৰিভাৰরীর ঈশ্বরি মাতা, ছে অন্ধকারের অধিদেবতা, হে স্বপ্তির মধ্যে জাগ্রত, হে মৃত্যুর মধ্যে বিরাজমান, তোমার নক্ষত্রদীপিত অঙ্গনতলে তোমার চরণচ্ছারায় লুষ্ঠিত হইলাম। আমি এখন আর কোনো ভয় করিব না,কেৰল আপন ভার তোমার দ্বারে বিসর্জন দিৰ ; কোনো চিন্তা করিৰ না, কেবল চিত্তকে তোমার কাছে একাত্ত সমর্পণ করিৰ ; কোনো চেষ্টা করিব