দশম সংখ্যা । ] গ্ৰন্থ-সমালোচনা । (t):సి হে ক্রুিশোরি তব প্রেম তুচ্ছ করি বিশ্ব চরাচর হবে কি গো আমার নির্ভর হে জননি ; তব স্নেহ আলোকিত করিয়া ভুবন বহি” লবে আমার জীবন তাপসিনি । দিবসান্তে শ্রান্ত শির চরণে তোমার সঁপি দিব কল্যাণি আমার । শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য । গ্রন্থ-সমালোচনা । .س-- উত্থান –ত্র-কাব্যানন্দ প্রণীত । মুল্য eJe তিন আনি । এখানি একখানি ক্ষুদ্র কবিতা-পুস্তক । আমাদের দীনতা-হীনতা, দুঃখ-দারিদ্র্যের কথা বোধ হইতেছে কাব্যানন্দমহাশয়ের বুকে বড় বাজিয়াছে। তাই তিনি তাহার মৰ্ম্মপীড়ামূলক এই ছন্দোবদ্ধ দরখাস্ত অভিযেকোৎসব উপলক্ষে সম্রাটের দরবারে পেশ করিয়াছেন । ভরসার স্থল এই যে, দরখাস্তথানি ঠিকানায় পৌছিবে না। মুখবন্ধে লিখিত হইয়াছে—“শিশু পুত্র, কতক অভিমান, কতক রোষ, চোখের কোণে কতখানি অশ্রু, কতখানি রোষরাগ লইয়া ধে ভাবে পিতার নিকট আব্দার জানায়, osta of Appeal to the Emperor' সেই ভাবের মূল লইয়া স্থষ্ট । পুজের সে অভিমান, সে রোধ, পিতার রুষ্টির কারণ ন হইয়। তুষ্টির কারণই হয়, এবং পিতা পুত্রের অক্সারে বা জাপালে তাহার অভাব পুর্ণ করিয়া থাকেন , উখানের অাপীলও সেই মূলের উপর স্থাপিত।” বেশ কথা ; কিন্তু ধেড়ে ছেলে যদি নিজের অভাব নিজে পূর্ণ করিবার চেষ্টা না করির কেবল পিতার কাছে বা আর কাহারও কাছে ঘ্যান্ঘ্যান করে, তাহা অসহনীয় । তদ্ব্যতীত, এ ক্ষেত্রে আব্দীর পূর্ণ হইবার কিছুমাত্র সম্ভাবনা নাই। সম্রাই ইচ্ছা করিলেও আমাদের অভাব মোচন করিতে পারেন না ; তাহা তাহার সাধ্যণতাত । সে ভারটা আমাদিগকে নিজে লইতে হইবে । তাহ যেদিন পারিব, সেদিন বিশ্ববিধাতাও আমাদের প্রতি মুখ তুলিয়া চাহিবেন । যতদিন না পারিব, ততদিন –যাহার প্রবৃত্তি হয়, সে কাব্যানন্দমহাশয়ের দ্যায় অরণ্যে রোদন করিবার স্লখ উপভোগ করিতে পারে । - পুস্তকখানির গুণাগুণসম্বন্ধে বক্তব্য এই যে, সখের ভারত-বিলাপ বা ভারতভিক্ষণ সচরাচর যেমন হইল্পী থাকে, ইহাও তাহাই—বিশেষত্ব কিছু দেখিলাম না । ইহার মধ্যে উপক্রম’শীর্ষক কবিতাটির প্রশংসা করা যায় ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।