পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদশন । حجeمحصــلـسـهـميس----- ধৰ্ম্মপ্রচার ॥* +>:హిళః్కన్స్ట్ర ‘এস আমরা ফললাভ করি বলিয়া হঠাৎ উৎসাহে তখনি পথে বাহির হইয়া পড়াই যে ফললাভের উপায়, তাহ কেহই বলিবেন নী । কারণ কেবলমাত্র সদিচ্ছ। এবং সদ্যুৎসাহের বলে ফল স্থষ্টি করা যায় না— বাজ হইতে বৃক্ষ এবং বৃক্ষ হইতে ফল জন্মে । দলবদ্ধ উৎসাহের দ্বারাতেও সে নিয়মের অন্তথা ঘটিতে পারে না । বীজ ও বৃক্ষের সহিত সম্পর্ক না রাখিয়া আমর, যদি অন্ত উপায়ে ফললাভের আকাজক্ষ। করি, তবে সেই ঘরগড়। কৃত্রিম ফল খেলার পক্ষে, গৃহসজ্জার পক্ষে অতি উত্তম হইতে পারে— কিন্তু তাহ আমাদের যথার্থ ক্ষুধানিবৃত্তির পক্ষে অত্যন্ত অমুপযোগী হয় । আমাদের দেশে আধুনিক ধৰ্ম্মসমাজে আমরা এই কথাটা ভাবি না । আমরা মনে করি, দল বাধিলেই বুঝি ফল পাওয়৷ যায় । শেষকালে মনে করি, দল বাধাটাই ফল । - ক্ষণে ক্ষণে আমাদের উৎসাহ হয়, প্রচার করিতে হইবে"। হঠাৎ অস্থতাপ হয়, কিছু করিতেছি না। যেন করাটাই সব চেয়ে প্রধান—কি করিব, কে করিবে, সেটা বড়একটা ভাবিবার কথা নয় । কিন্তু এ কথাটা সৰ্ব্বদাই স্মরণ রাখা দরকার যে, ধৰ্ম্মপ্রচারকার্য্যে ধৰ্ম্মটা আগে, প্রচারটা তাহার পরে। প্রচার করিলেই তবে ধৰ্ম্মরক্ষা হইবে, তাহা নহে, ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিলেই প্রচার আপনি হইবে । পুৰ্ব্বে যে বৃক্ষের উপমা দিয়াছি, সেট। পুনৰ্ব্বার উত্থাপন করিব । বৃক্ষ প্রকৃতির নিয়মে বাজ হইতে বাড়িয়া-উঠিয়া পরিণতিলাভ করে । সে ত একস্থানে স্তন্ধ হইয়া থাকে । কিন্তু তাহার সেই পরিণতিলাভের মধ্যেই, সেই স্তব্ধতার মধ্যেই একটা প্রচারের নিয়ম আছে । সেই নিয়মে ক্রমশ সেই বৃক্ষ হইতে স্থবিপুল অরণ্যের স্বষ্টি হইতে থাকে । গাছ হইয়া উঠাই যদি তাহার সৰ্ব্বপ্রধান কাজ না হইত, তবে আপনাকে প্রচার তাহার পক্ষে অসম্ভব হইত। যে শাস্তি, যে স্তব্ধতার মধ্যে থাকিলে পরিপূর্ণ রসাকর্ষণের ব্যাঘাত হয় না—বৃক্ষের সেই শাস্তি, সেই স্তন্ধত ভাবী অরণ্যের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয়। উৎসাহের উদাম ১২ই মাঘ আলোচনাসমিতির বিশেষ অধিবেশনে সিটিকম্প্রেস্থলে বঙ্গদর্শন-সম্পাদক-কর্তৃক পঠিত ।