একাদশ সংখ্যা । ] আত্মপ্রবঞ্চনার আর উপায় থাকে না। নিখিলের মধ্যে সত্যভাবে আমি ব্ৰহ্মকে পাইতেছি কি না, আমার প্রতিদিনের কৰ্ম্মই তাহার প্রমাণ । উপনিষদ বলেন, যিনি ব্ৰহ্মকে জানিয়াছেন, তিনি “সৰ্ব্বমেবাবিবেশ” —সকলের মধ্যে প্রবেশ করেন । পরের মধ্যে আমাদের হৃদয়ের প্রবেশাধিকার কতখানি বাড়িল, ইহর দ্বারাই আমাদের আত্মার মধ্যে আমরা ব্ৰহ্মামুভূতির পরিমাণ যথার্থভাবে iনর্ণর করিতে পারি। বিশ্ব হইতে আমরা যে পরিমাণে বিমুখ হই, ব্ৰহ্ম হইতেই আমরা সেই পরিমাণে বিমুখ হইত্তে থাকি । আমরা যদি সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের মনকে সন্ধুচিত করিয়া অtiন, তবে ব্ৰহ্ম হইতেই মোমাদের মনকে সঙ্কুচিত করি । আমরা যদি আপনাদিগকে ব্রাহ্মনামে বিশেষভাবে চিষ্ট্ৰিত করিয়া হিন্দুসমাজের অপর অংশকে সেহ চিহ্লের সাহায্যেই হৃদয়ের স্থান হইতে বঞ্চিত করি, তবে ব্রহ্মের নাম লইয়া ব্ৰহ্মকেই দূরবত্তা করিয়। রাখি । “সৰ্ব্বমেবাৰিবেশ" -- আমরা যখ{থ আত্মীয়ভাবে যতদূর পর্য্যস্ত প্রবেশ করিব, ততদুর পর্যন্তই আমাদের ব্ৰহ্মলাভ । স্বামীর। ধৈর্য্যলাভ করিলাম কি না, অভয়লাভ করিলাম কি না, ক্ষম। আমাদের পক্ষে সহজ হইল কি না, আধুধিস্থত মঙ্গলভাব আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক হইল কি ন৷ —পরনিন্দ আমাদের পক্ষে আশ্রিয় ও পরের এiভ ঈর্ষার উদ্রেক আমাদের পক্ষে পরম লজ্জার বিষয় হইল কি না-বৈষয়িকতার বন্ধন, ঐশ্বৰ্য্য-জাড়ম্বরের প্রলোভনপাশ ক্রমশ শিথিল হইতেছে কি ন—এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা বাহাকে বশ করা স্বরূহ, সেই উস্তত আত্মাভি ३. ধৰ্ম্মপ্রচার । (శివసే মান বংশীরববিমুগ্ধ ভুজঙ্গমের স্তায় ক্রমে ক্রমে আপন মস্তক নত করিতেছে কি না, ইহাই অক্ষুধাবন করিলে আমরা যথার্থভাবে দেখিব, ব্রহ্মের মধ্যে আমরা কতদূর পর্য্যস্ত অগ্রসর হইতে পারিয়াছি—ব্রহ্মের দ্বারা নিখিলজগৎকে কতদূর পর্য্যস্ত সত্যরূপে ভাবৃত দেখিয়াছি । ব্রহ্মকে যে পরিমাণে । স্বীকার করিব, অহঙ্কারকে সেই পরিমাণেই খৰ্ব্ব করিতে হইবে । ব্রহ্মের সাধন। আমাদের দেশে ত নুতন সাধনা নহে । যাহার ব্ৰহ্মকে লাভ করাকেই যথার্থ লাভ বলিয়া জ্ঞান করিতেন, র্তাহারা যে সাধনা অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহার প্রতি কি শ্রদ্ধা হারাইতে হইৰে ? আমর।-—যাহারা ব্ৰহ্মকে তেমন করিয়া সৰ্ব্বতো ভাবে চাহিতেছি না, আমরাই কি সাধনার নব নব প্রণালী কেবলমাত্র বুদ্ধির দ্বারা উদ্ভাবন করিবার অধিকারী ? যদি সত্যসঙ্কল্প সত্যাচারী সাধুদিগের বহুকালের অভিজ্ঞতার প্রতি শ্রদ্ধারক্ষণ করা সঙ্গত বোধ করি, তবে যে মন্ত্রকে মাৰ্য্য গৃহিগণ বেদের সারভুত বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই গায়ত্রীমন্ত্রের সাহায্যে দিনের মধ্যে অন্তত একবার বিশ্বলোকের মাঝখানে দাড়াইয়। বিশ্বসবিতার সহিত আমাদের যোগ আকুভব করিয়া লইতে হুইবে । ইহাই ব্ৰহ্মস্বরে জীবনের স্বর বাধিয়া লওয়া ! ওঁ ভুভুবঃ স্বঃ —গায়ত্রীর এই যে ব্যtহৃতি-অংশ– এই ব্যাহৃতির দ্বারা একবার পৃথিবী-অন্তরিক্ষ, একবার নিখিলভুবনকে মনের মধ্যে আহরণ করিয়া আনিতে হুইবে,—নিজেকে সমস্ত সঙ্কীর্ণসীম৷ হইতে মুক্ত করিয়া এই লোক
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।