পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্য। ] তুই ডাঙায় পড়িয়া থাকিলে তোকে কেছ আর তুলিয়া লইবে না ।” উমেশ কহিল, “ডাঙায় - নামিব কেন ? অাজ ভোরে খালাসিদের জালে খুব বড় মাছ পড়িয়াছে—এক-আধটা বেচিতেও পারে - শুনিয়া দ্রুতবেগে কমলা একটা টাকা আনিয়া উমেশের হাতে দিল—কহিল—“যtহ লাগে দিয়া বাকি ফিরাইয়া আনিস ” উমেশ মাছ আনিল, কিন্তু কিছু ফিরাইয়। আনিল না, বলিল, “একটাকার কমে কিছুरडझे लेिड नीं ।” কথাটা যে খাটি সত্য নহে, তাহ কমল৷ যুঝিল—একটু হাসিয়া কহিল, “এবার ষ্টীমার থামিলে টাকা ভাঙাইস্থা রাখিতে হইবে।” উমেশ গম্ভীরমুখে কছিল, “সেট। খুব দরকায় । আস্ত টাকা একবার বাহির হইলে ফেরানো শক্ত ৷ আহার করিতে প্রবৃত্ত হইয়া রমেশ কহিল, “বড় চমৎকার হইয়াছে ! কিন্তু এ সমস্ত জোটাইলে কোথা হইতৃে ? এ যে রুইমাছের মুড়ো !". বলিয়া মুড়োটা সযত্নে তুলিয়া-ধরিয়া কহিল—“এ ত স্বপ্ন নয়, মায়া নয়, মস্তিভ্রম নয় -- এ যে সত্যই মুড়ে।-- যাহাকে বলে রোহিতমৎস্ত, তাহারি উত্তমাঙ্গ - er যখন শুনিল, উমেশ ইহার সংগ্ৰহকৰ্ত্তl, ङथन चक५काcणब्र छछ यूथ बिङ्गङ कब्रिब्र কছিল—“তা ছোৰু, জিনিষটা ভাল—শাস্ত্রে আছে—ঞ্জীৱত্বং স্কুলাজপি, উমেশাদপি রোহিতম্। কিন্তু ও ছেলেট,--” কমল । ভূমি এখন খাও ত । আমি .তাকে খুৰ করিয়া ৰুকি দিয়াছি। - 键 , , নৌকাডুবি । এইরূপে সেদিনকণর মধ্যায়ভোজন ৰেশ : সমারোহের সহিত সম্পন্ন হইল । রমেশ । “ডেকৃ”-এ আরাম-কেদারায় গিয়া পরিপাকক্রিয়াল্প মনোযোগ দিল । শকে খাওয়াইতে বসিল । মাছের চচ্চড়িটা উমেশের এত ভাল লাগিল যে, তাহার ভোজনের উৎসাহটা কৌতুকণৰহ না হইয়া ক্রমে আশঙ্কাজনক হইয়া উঠিল । উৎকণ্ঠিত কমলা কহিল, “উমেশ, আর খাস্লে । তোর জন্ত চচ্চড়িটা রাখিয়া দিলাম, আবার রাত্রে খাইবি !” এইরূপে দিবসের কৰ্ম্মে ও হাস্তকৌতুকে প্রাতঃকালের হৃদয়ভারটা কখন যে দুর হইয়। গেল, তাহণ কমলা জানিতে পারিল না । ক্রমে দিন শেষ হইয়া আসিল । স্বৰ্য্যের আলো বাক হইয়া দীর্ঘতরচ্ছটায় পশ্চিমদিক হইতে জাহাজের ছাদ অধিকার করিয়া লইল । স্পন্দমান জলের উপর বৈকালের মন্দ্রীভূত রৌদ্র ঝিকমিক্‌ করিতেছে। নদীর দুই তীরে নবীনশুমে শারদশস্তক্ষেত্রের মাৰখানকার সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া গ্রামরমণীর গা ধুইবার জন্ত ঘট কক্ষে করিয়া চলিয়া আসিতেছে । কমলা পানসাজ শেষ করিয়া, চুল বাধিয়া, মুখহাত ধুইয়া, কাপড় ছাড়িয়া সন্ধ্যার জন্তু যখন প্রস্তুত হইয়। লইল, সুর্য্য' তথল গ্রামের বণশবনগুলিক্স পশ্চাতে আস্ত গিয়াছে। জাহাজ সেদিনকার মত ষ্টেশনঘাটে নোঙর ফেলিয়াছে । আজ কমলার রাত্রের রন্ধনব্যাপার তেমন বেশি নহৈ । সকালের অনেক ভরকান্ধি এ বেলা কাজে লাগিবে । এষল-সময় ese কমলা তখন উমে