পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&e ● '. যক্ষদর্শন । বলিতে পারি, তারাখচিত কৃষ্ণসন্ধ্যার মত সুন্দরী কাস্ত্রীরাজকুমারী ক্লিয়োপেট্রার কাহিনীসংবলিত রোমের ইতিহাস পাঠ্য না থাকিলে আমি কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাবিশেষে উত্তীর্ণ হইতে পারিতাম না । এক ছিল রাজকম্ভা । কবে ছিল কেউ জানে না, কিন্তু তাহার ইতিহাস ত লিপিতে এবং শ্রীতিতে এতকাল চলিয়া অভ্যাসিতেছিল ! “সাল-সরল-ব্যালোল-বল্লীলতাচ্ছল্প” তপোবনে । রক্তাশোকতরুর মূলে বসিয়া বৃদ্ধ ঋষি শ্রুতি শুনাইতেন—শিষ্যমণ্ডলীর বুক থরথর করিয়া কাপিয়া উঠিত—বৃদ্ধ দিদিমাও কোমলতম বর্ণমিশ্রণের মধ্যে সন্ধ্যাকালে , ছাদে বসিয়া রাজকন্যার শ্রুতি কীৰ্ত্তন করিতেন, নাতি-মণ্ডলীর বুক কি করিয়া উঠিত, এই প্রবন্ধই তাহার পরিচয়রূপে গণ্য ८क्षेोङ् । বাস্তবিক পুরাতন ইতিহাসবেত্তাদের পরে বুড় দিদিমাই রাজকন্যার শ্রুতি ধারণ করিয়া আসিতেছিলেন । তখন সমস্ত পণয়রাগুলি বাসায় ফিরিয়া আসিয়াছে—তাহীদের পাথার ঘোর বটুপটি এবং তুমুল বক্‌বকম্ শেষ করিয়া অন্ধকারের মধ্যে ষে যার অাপন খোপে বসিয়া গিয়াছে —দুরে সন্ধ্যার অন্ধকার হইতেও ঘনতর শীতলরসে চক্ষুকে সিক্ত করিয়া দেবদারুগাছগুলি দাড়াইয়া আছে , তৃহাদের পশ্চাতে পীতপাণ্ডুরবর্ণের বর্ষ। ছাড়িয়া দিয়া দ্রুতবেগে চাদ উঠিতেছে ; পশ্চিমাকাশের সিন্দুরাভা ক্রমেই বৃদ্ধের চক্ষুর মত অন্ধকারের মধ্যে ঘোলা হইয়া যাইতেছে ; * উপরে একটিমাত্র তারা ; আমার মাথার মধ্যে দিদিমার একটি শ্বাস্থুল শিথিলভাৰে । [ ৩য় বর্ষ, বৈশাখ । চরিয়া বেড়াইতেছে—তখন দিদিম ভারত্ত করিলেন, এক ছিল রাজকঙ্কা । দিদিমার সেই শ্রুতি মনে লইয়া ক্রমে আমাদের রাজকবিগণের সঙ্গে পরিচয় হইয়াছিল । দিদিমার এবং রাজকবিদের বর্ণনাগুলি মিলাইয়া দেখি, রাজকন্যার কি মহিমা ! कङ विक्लिब ननननौ, कडि ब्रह्छधम्र eथांनॉनকক্ষ, কত অদ্ভুত মন্ত্রতন্ত্র, কত করুশ, কত অনুনয়, কত দীর্থভ্রমণাস্তে মিলন, কত পলায়ন !—কত পুরাতন প্রাসাদের পশ্চাৎস্থিত । গুপ্ত অলিন্দে সহচরীসহিত রাজকন্ত এই সান্ধ্যপাস্থের নেত্র হরণ করিয়াছিল,—হায়, প্রতীক্ষাপর ধৈর্য্যশীলা রাজবালিকা,-“তোমাক, প্রাসাদবলভিকার কুলীয়-প্রত্যাগত শুভ্র পীরাবতের মত, আমার হৃদয়ের সকরুণ আশীৰ্ব্বাদগুলি সেই অনতিধুসর সন্ধ্যার মধ্য দিয়া, পত্রপুষ্পতরুর আড়াল দিয়া, শুভ্ৰ পাখা উড়াইয়t তোমার দেহবল্লরীর চারিদিকে গিয়া ভিড় করিয়াছিল ! কত মরুভূমির প্রশস্ত ধরিয়া রাত্রির অবসানসময়ে ধুস্তুরস্থেত তারাশ্রাদামের নিম্ন দিয়া আসিলতার মত কুশা সুন্দরী অসি6ন্মধারী তাতারকুমারের ঘোড়ার পাশাপাশি ঘোড়া ছুটাইয়া, দীর্ঘ গ্রীবা দীর্ঘতর করিয়া কালে পৰ্ব্বতের উপত্যকাভিমুখে ধাইয়ু চলিয়াছিল —হয়, পলায়নপর উদাম সম্রাটুম্বত, আমার হৃদরের উৎসাহ বিছান্দীপ্তি ধারণ করিয়া তোমার নেত্রবিদ্যুতের খরখজু পথে নিঃক্ষত হইয়া গিয়াছিল। বর্ষার মেঘ ক্ষণদিয় নিঃশেষ হইয়া গেল, উচ্চ প্রাসাদকক্ষে য়াজবালিকার অশ্র শরৎ-হেমন্ত শীত-বসন্তের” জবসানেও সমান ঋরিতেছে। সহজ ভজ্ঞ পুজা