একাদশ সংখ্যা। l নৌকাভুবি। " - @8鸣 রমেশ সেই কেরাণীটিকে দেখিতে পাইতেছিল। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয় রমেশ ভাবিতেছিল, “আমার ভাগ্য যদি আমাকে ঐ কেরাণীটির মত একটি সঙ্কীর্ণ অথচ সুস্পষ্ট জীবনযাত্রার মধ্যে বাধিয় দিত—হিসাব লিখিতাম, কাজ করিতাম, কাজে ক্রটি হইলে প্রভুর বকুনি খাইতাম, কাজ সারিয়া রাত্রে বাসায় যাইতাম—তবে আমি বাচিতাম--আমি वैiछिष्ठांभ !” হেমনলিনী তাহাকে ত্যাগ করিয়াছে, তাহাকে অবিশ্বাস করিয়াছে, তাহাকে আপবাদগুণিলনের অবসরমাত্র দিতেছে না, আত্মীয়হীনের মৃতদেহের মত তাহাকে একটা অকুল অনিশ্চয়তার স্রোতের মধ্যে ভাসাইয়া দিয়াছে, এই কথা বারবার মনে করিয়া রমেশের বক্ষ অনিশ্বসিত দীর্ঘশ্বাসে শীত হইয়; উঠিতে লাগিল । ক্রমে আপিলঘরের অtলে নিবিয়া গেল । কেরাণী ঘরে তালা বন্ধ করিয়া হিমের ভয়ে মাথায় র্যাপার মুড়ি দিয়া নির্জন শস্তক্ষেত্রের মাঝখান দিয়া ধীরে ধীরে কোন দিকে চলিয়া গেল, আর দেখা গেল না । রমেশু,তাহার সাম্নের টেবিলের উপরে দুইহাতের মধো মুখ ঢাকিয়া পড়িল—শব্দবিহীন জ্যোৎস্নারাত্রির পাণ্ডুবৰ্ণ সুদূরব্যাপিতা তাহাকে একটা আকার-আয়তনশূন্ত পরিণামহীন নৈরাতের মধ্যে নিরদেশ করিয়া দিল । " কমলা যে অনেকক্ষণ ধরিয়া চুপ করিয়া জাহাজের রেল ধরিয়া পশ্চাতে দাড়াইয়। ছিল, রমেশ তাহ স্নানিতে পারে নাই। কমল৷ মনে করিয়াছিল, সন্ধ্যাৰেলায় রমেশ তাছাকে ডাকিয়া লইবে । এইজন্স কাজকৰ্ম্ম সারিয়া যখন দেখিল, রমেশ তাহার খোজ লইতে আসিল না, তখন সে আপনি ধীরপদে জাহা- ; জের ছাদে আসিয়া উপস্থিত হইল। কিন্তু তাহাকে হঠাৎ থমকিয়া দাড়াইতে হইল, সে রমেশের কাছে যাইতে পারিল না । চাদের আলো রমেশের মুখের উপরে পড়িয়াছিল—সে মুখ যেন দূরে,—বহুদুরে ; কমলার সহিত তাহার সংস্রব নাই । রমেশ যেন কমলার পক্ষে দিগস্তের মেঘের মত—মনে হয়, যেন মাঠ পার হইলেই তাহার নাগাল পাওয়া যাইবে—কিন্তু মাঠ পার হইয়া দেখা যায়, সে যেমন দুরে ছিল, তেমনি সুরেই আছে। অাজ দিনের বেলা কাজকৰ্ম্ম-কথাবার্তার মধ্যে রমেশকে যথেষ্ট নিকটবৰ্ত্তী বলিয়াই মনে হইয়াছিল, কিন্তু সন্ধ্যাবুেলার শুদ্ধতার মধ্যে রমেশ কোথায় চলিয়া গেছে ? এখন তাহার কাছে যাইতে ভয় করে কেন ? ধ্যানমগ্ন রমেশ এবং এই সঙ্গিবিহীন বালিকায় মাঝখানে যেন জ্যোৎস্না-উত্তরীয়ের দ্বারা আপাদমস্তক আচ্ছন্ন একটি বিরাট্র রাত্রি ওষ্ঠাধরের উপর তর্জনী রাখিয়া নিঃশবো দাড়াইয়া পাহারা দিতেছে । রমেশ যখন দুইহাতের মধ্যে মুখ ঢাকিয়৷ টেবিলের উপরে মুখ রাখিল, তখন কমল৷ ধীরে ধীরে তাহার কাম্রার দিকে গেল। : পায়ের শব্দ করিল না, পাছে রমেশ টের পায় যে, কমলা তাহার সন্ধান লইতে আসিয়াছিল । কিন্তু তাহার গুইবার কাম্রা নির্জন, অন্ধকার—প্রবেশ করিয়া তাহার বুকের डिङब्र कॅांनिब्रां ऊँठेिल, निरखरक ७कांखह
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।