একাদশ সংখ্যা । ] মনুষ্যত্ব । (t8మీ . “ভয় মাই মা, আমি উমেশ । রাত ৰে অনেক হইয়াছে, ঘুম নাই কেন ।” এতক্ষণ যে জঙ্ক পড়ে নাই, দেখিতে দেখিতে দুই চক্ষু দিয়া সেই অশ্রু উছলিয়া পড়িল । বড় বড় ফোটা কিছুতে বাধ৷ মানিল না, কেবলি ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । ঘাড় বঁাকাইয়া কমলা উমেশের দিকৃ হইতে মুখ ফিরাইয়া রহিল । জলভার বহিয়া মেঘ ভাসিয়া যাইতেছে,—যেমনি তাহারি মত আর-একটা গৃহহার হাওয়ার স্পর্শ লাগে, অম্নি সমস্ত জলের বোঝা ঝরিয়া পড়ে —এই গৃহহীন দরিদ্র বালকটার কাছ হইতে একটা যত্নের কথা শুনিবামাত্র কমলা আপনার বুকভর। অশ্রুর ভiয় আর রাখিতে পারিল না । একটা-কোনো কথা বলিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু রুদ্ধকণ্ঠ দিয়া কথা বাহির হইল न्मी ! মনুষ্যত্ব । পীড়িতচিত্ত উমেশ কেমন করিয়া সাম্বন৷ দিতে হয়, ভাৰিয়া পাইল লা। অবশেৰে অনেকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়৷ হঠাৎ একসময়ে বলিয়া উঠিল—“ম, তুমি যে সেই টাকাটা দিয়াছিলে, তার থেকে সাত-আন বাচিয়াছে।” তখন কমলার অশ্রুর ভার লঘু হইয়াছে। উমেশের এই খাপছাড়া সংবাদে সে একটুখানি ক্ষেহমিশ্রিত হাসি হাসিয়া কহিল, “আচ্ছ। বেশ, সে তোর কাছে রাখিয়া দে । যা, এখন শুতে যা !” চাদ গাছের আড়ালে নামিয়া পড়িল । এবার কমলা বিছানায় আসিয়া যেমন শুইল, অমনি তাহার দুই শ্রান্তচক্ষু ঘুমে বুজিয়া আসিল—প্রভাতের রৌদ্র যখন তাহার ঘরের দ্বারে করাঘাত করিল, তখনো সে নিদ্রায় || ক্রমশ । ميمسئيهيمټ خئي:: چTM5چه “উত্তিষ্ঠত । জাগ্রত !” উখান কর, জাগ্রত হুও—এই বাণী উদেখাধিত হইয়। গেছে । আমরা কে শুনিয়াছি, কে শুনি নাই, জানি নী—কিন্তু “উত্ত্বিষ্ঠত, জাগ্ৰত” এই বাক্য বারবার আমাদের দ্বারে আলিয়া পেীiছয়াছে। সংসারের প্রত্যেক ৰাধ, প্রত্যেক দুঃখ, প্রত্যেক বিচ্ছেদ, কতশতবার আমাণের অন্তরাত্মার তন্ত্রাতে-তঞ্জীতে আঘাত দিরা বে ঝঙ্কার দিয়াছে, তাহাতে কেবল এই বাণীই ঝঙ্কৃত হইয়া উঠিয়াছে—“উত্তিষ্ঠত,জাগ্রত,”— ‘উখন কর, জাগ্রত হও !’ অশ্রুশিশিরধৌত আমাদের নব জাগরণের জন্ত নিখিল মনি- ' মেষনেত্রে প্রতীক্ষা করিয়া আছে—কবে সেই প্রভাত আসিবে, কবে সেই রাত্রির অন্ধকার আপগত হইয়া আমাদের অপুৰ্ব্ব বিকাশকে নিৰ্ম্মল নবোদিত অরুণালোকে উদঘাটিত করিয়া দিবে ! কযে আমাদের বহুদিনের বেদন সফল হইবে, আমাদের আশ্রধারা সার্থক হইবে ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।