প্রথম সংখ্যা । ] সাঙ্গ করিয়া, বর লইয়া, ফল লইয়া ঘরে ফিরিয়া গেল—তবু এই বিজন শরৎরাত্রির অশ্রুমাত অনস্ত জ্যোংঙ্গার মধ্যে দাড়াইয়া সরোবরতটে একাকিনী রাজকন্ত ফুল তুলিতেছে । তরলক্ষি, তুমি যখন সৈরিন্ধীবেশে এক রাজভবন হইতে আর এক রাজভবনে ফিরিয়া তোমার হারান ধনের অন্বেষণ করিতেছিলে— মধ্যাহ্লে বিশ্রামতন্ত্রীয় রাজপুরী নীরব —তখন বাগানের বৃক্ষশাখার ভিতর হইতে অমিই শুকের মত রক্তচষ্ণুটি বাহির করিয়া, বিশ্রদ্ধভাবে ঘাড় বাকাইয়া তোমার অনিমেষ অশ্রকলুষিত চক্ষুদ্রটি নিরীক্ষণ করিতেছিলাম । চপলাক্ষি, তুমি যখন প্ৰগলভ বণিককুমারের বেশে সিডনের বন্দরে আপণ হইতে আপণাস্তরে ফিরিয়া, মণিতরল করনখে মণিমুক্তণর প্রতিবিস্ব ধরিয়া জহরৎ-কেনার ছলনা করিতেছিলে-তখন আমিই আপন দ্বারস্থিত উচ্ছারঙ্কিত রঞ্জিত গ্ৰীকৃষুৎপাত্রেীপরি—পাশ্বে ভল্ল রাখিয়া অ্যাপোলে-প্রতিম গ্ৰীকৃযুবার দৃঢ়ম্বন্দর মূৰ্ত্তিতে দাড়াইয়া তোমার বেণী-গোপন উষ্ণৗষটিকে একদৃষ্টি চাহিয়া দেখিতেছিলাম । আমি দেশে-বিদেশে রাজকন্যাগণের সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়াছি, আমি তাহীদের রহস্ত জানি । বাল্যকালে, যখন মুখের গঠন ভাল করিয়া ফুটে নাষ্ট্র—ভাব তরল জলের মত সৰ্ব্বাঙ্গে ছলছল করিয়া বেড়াইত, তখন হইতে রাজকস্তার প্রতিবিম্ব আমাদের হৃদয়ের মধ্যে পড়িয়াছে। অামাদের ভাবোম্বোধিত যাহকিছু সৌন্দৰ্য্য, তৃণহী অমর--তাহ কোনদিন যাইবে না । - রাজকন্তু সেইরূপ আমাদের একটি চিরদিনের জিনিষ । ব্যবধানই ইহার घ्नांडकळूणां । দিয়াছে। রাজকন্যাগণ কোন একুটি দুর 金为 বাগালের মধ্যে প্রাসাদের কক্ষে চিরকাল বাস করিতেছে । জ্যোৎস্না এবং রৌদ্রে সুখস্পর্শ ছায়া ফেলিয়। সে বাগানের চারিদিক যেমন বৃক্ষমালা, স্তব্ধতা এবং মৰ্ম্মরে ঘিরিয়া রহিয়াছে, তেমনি তাহদের চতুর্দিকে আরও কত বেড়া ! রাজকন্তশকে ঘিরিয়া তাহার নিজ হৃদয়ের প্রণয়লজ্জার বেষ্টন, সর্থীমণ্ডলীর বেষ্টন, খোজা পাহারার বেষ্টন, পিতার আদেশের বেষ্টন, কুলমৰ্য্যাদার বেষ্টন ! পৃথিবীর বলবান রাজপুত্ৰগণের হৃদয়গুলির পক্ষে এই সব মধুর এবং কঠোর বেষ্টন ভেদ করিবার প্রলোভন কি দুঃসাহসেীপক! অদৃষ্ট রাজকন্যার মোহে শতশত নদীপৰ্ব্বত পিছে ফেলিয়া রাজপুত্ৰ চলিয়ন ঘtয়।--অর্ণবীর একএকুদিন সন্ধ্যাকালে নদীতীরে . ঘোড়া বধিতেই, তারাবিশ্বখচিত নদীজল দেখিয়া রাজকন্তার চক্ষুদুটির কারুণ্য রাজপুত্রের হৃদয়ের মধ্যে গলিয়া আসে । তখনি আমরা হঠাৎ রাজকন্তশকে আর এক ভাবে দেখিতে পাই । দেখিতে পাই, রাজকন্তী একাকিনী । নানা বেষ্টনের মধ্যে উপগৃঢ় রাজকন্যা ব্যবধানের জন্য বাহিরের সকলের কাছে যেমন চিরবিন্ময়কর এবং বলবান রাজপুত্রের কাছে যেমন দুঃসাহসৌন্দীপক, তেমনি অtল্পনার কাছে সেই ব্যবধানের জন্তই কি নিতান্ত করুণ নহুে ? জানি, তাহার অলঙ্কার শিঞ্জিতভাষে তাহার প্রতি অঙ্গের সৌষ্ঠবের স্তুতি গাইয়া থাকে ; জানি, সখীগণ তাহার কানে,সৰ্ব্বদাই মধুরাক্ষাপ বর্ষণ করিয়া থাকে ; বুঝি, তাহার নিভূত মৰ্য্যাদাময় অবস্থানে তাহার সম্ভেপগ SSBBBB BBBB DDBBB BB BBBS BBBB BBBB BBBS BBBSBBB BBBS
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।