পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্য। । ] 'মন্ত্র প্রবেশ করিলে দ্রবীভূত তপ্ত শীষ দিয়৷ কর্ণে ছিপি অণটিয়া-দেওয়া দেণদণ্ডপ্রতাপ রাজার বিধান হইতে পারে—কিন্তু তাহ ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্ৰাহ্মণের বিধান হইতে পারে না । যখন সরস্বতীনদীর মুখে অবগুণ্ঠন ছিল . ন!—যখন জাতিভেদ রাজশাসনের অাজ্ঞাধীন ছিল না - যখন পবিত্র ব্ৰহ্মজ্ঞান অদ্বৈতবাদ-দ্বৈতবাদ, সাকণরবাদ-নিরাকারবাদ প্রভৃতি বাদাবাদ এবং মতামতের সংগ্রামক্ষেত্র ছিল না, পরস্তু সৰ্ব্বলোকের মঙ্গলকামনগর উৎস ছিল---সেই সময়ে যে এক দেবপূৰ্চ্চণীয় সভ্যতা ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তের মুখশ্ৰী উজ্জল করিয়া পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইয়াছিল, তাহারই প্রতি লক্ষ্য করিয়! আমি যলিতেছি যে, রাত্রি পোহাইবার সময় পুৰ্ব্বে তাহ উদয়াচলে অভু্যখান করিয়াছিল, এবং রান্ত্ৰি পোহাইলে আবার তাহ উদয়াচলে অভু্যখান করিবে । এখনকার কালের রাক্ষসী সভ্যতা ভেদবুদ্ধির বালির বাধের উপরে প্রতিষ্ঠিত । এ সভ্যতা কল-কারখানার সভ্যতা ; দয়াধৰ্ম্মের সভ্যত নহৈ, মমুখ্যত্বের সভ্যতা নহে । ভেদবুদ্ধি সোপানমাত্র , তা বই, তাহা গম্যস্থান নহে । অভেদ-জ্ঞানই গম্যস্থান । কিন্তু ভেদবুদ্ধি এক্ষণে সোপান হইয়াই সস্তোৰ মানিতেছে ন ; ভেদবুদ্ধি এক্ষণে আপনাকে গম্যস্থান এবং আদর্শ করিয়া দাড় করাইতে প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে ; মরিবার পূৰ্ব্বে মরণ-কামড় দিবার জন্ত বিকট দশন ৰুছির করিতেছে । সৰ্ব্বনাশকের দলবল (Nihilistএর দলবল ) rগাকুলে বাড়িতেছে । ° गङाज्रा भाच्नोध्-ब्रोकएजग्न माङ भोक्रिको; .বৈছাভী তন্ত্ৰী মায়ামৃগ ; রেলগাড়ি পুষ্পক সার সত্যের আলোচনা । । ©&NᏬ ৰিমান । প্রকৃত সভ্যত হ’চ্চেন মনুষ্যত্বরূপিণী সীতাদেবী । সে সীতাদেবী এক্ষণে কোথায় ? তাহার পরিত্যক্ত অলঙ্কার ভারতের পর্বতে-প্রাস্তরে, অরণ্যে-নগরে, গ্রামে-পল্লীতে ধুলার পড়ির কাদিতেছে । রেলগাড়িতে চড়িয়৷ ক্ৰতগমনের জন্ত অথবা বৈজ্যত আলোকে রাত্রিকে দিন করিবার জন্ত কিছু-আর মনুষ্য স্বল্প হয় নাই । মঙ্গুষ্যের মন্থধ্যত্ব যদি গেল ; দয়াধৰ্ম্ম গোল—সত্য গেল —ন্তায় গেল—ক্ষম। গেল ; অর্থলোলুপত্ব এবং নীচত্ব যদি সভ্যতার আদশ-পদবীতে নিশান তুলিয়া দণ্ডায়মান হইতে লজ্জিত না হইল ; তবে বৈদ্যুতা তন্ত্রীতেই বা কি হইবে, রেলগাড়িতেই বা কি হইবে ! সংবাদপত্র-সহশ্রের মিথ্যা-গৰ্ব্বোক্তি রাক্ষসী সভ্যতাকে দৈবী সভ্যতা করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারে— Devilizationto Civilization of Hi গড়িয়া তুলিতে পারে ; কিন্তু তাহা করিয়া লাভ কি ? সত্য কি এতই লঘু-সামগ্ৰী যে, তাহা সংবাদপত্রের উদগীiয়ত মিথ্যার ঝঞ্চাবায়ুতে উড়িয় যাইবে : প্রকৃত কথা যাহা বক্তব্য, তাহা এই— ভেদবুদ্ধি খুবই ভাল যদি তাঁহা সোপান হইয়াই ক্ষণস্ক থাকে ; কিন্তু যদি তাহ গম্যস্থানের উচ্চশিথরে দাড়াইয়া আপনাকে আদর্শরূপে প্রতিপাদন করিতে চেষ্টা করে, তবে তাহ ভয়ানক কালকূট। প্রসঙ্গক্রমে এবারে কতকগুলা মনের আক্ষেপ লেখনার মুখ দিরা বাহির হইয়া পড়িল । বায়াস্তরে স্বাক্ষশরীর হইতে কারণশরীরে—বিজ্ঞানময় কোষ হইতে আনন্দময় কোষে প্রয়াণ করিৰার পন্থা অন্বেষণ করা যাইবে। 廖 ঐদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।