দ্বাদশ সংখ্যা । ] হাসির মত এক এক বার জ্যোৎস্নার আলে৷ বাহির হইতে লাগিল । তুমুলবেগে বাতাস এবং মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হইল । কমল। একবার জলে ডুপিয়াছে—ঝড়ের ঝাপটকে সে অগ্রাহ করিতে পারে না । রমেশ মাসিয়া শাশ্বাস দিল --- “ষ্টামারে কোনে। ভয় নাই কমল। । তুমি নিশ্চিস্থ হইয়। ঘুমাষ্টতে পার, আমি পাশের ঘরেই জ। গিয়া আt fছ ৷” স্বারের কাছে আসি r চক্রব দ্বী কহিলেন – “মালক্ষুি, ভয় নাচ, ঝড়ের শপের সাধ্য কি, তাহাকে তোমাকে স্পশ করে ।” ঝড়ের বাপের সাধা কতদূর, তাহ নিশ্চয় বলা কঠিন, কি স্ব ঝড়ের সাধ্য সে কি, তাহ তাড়াতাড়ি “খুড়ে কমলার অগোচর লাই—সে দ্বারের কাছে গিয়া ব্যগ্র করে কহিল মশায়. তুমি ঘরে গালির বে:ম ।” চক্র । শ্রী স সঙ্কোচে কহি..লন, “তোমাদের যে এখন শ্রেণব র সময় হঠল মা, আমি F--” & - ঘরে ঢুকিয় দেখিলেন, রমেশ সেখানে নাই--অtrচর্য্য হল্প ধু; বাবু এই ঝড়ে গেলেন কোথায় ? द्रि ड ऊँाशत्र श्रडान् नाडे !" “কে ও, খুড়ো নাকি ? এই যে আমি পাশের ঘরেই আছি - পাশের ঘরে চক্রবর্তী উকি মারিয়৷ দেখিলেন, রমেশ বিছানার অঙ্কশয়ান অবস্থার আলো জালিয়া বই পড়িতেছে । চক্ৰবৰ্ত্তা কছিলেন, “বোমা যে একল ভয়ে সারা হইলেন । আপনার বই ত ঝড়কে কহিলেন--” রমেশ -
- {ণ ক
নৌকাডুবি । ¢ ዓ¢ ডর,য় না, ওটা এখন রাখিয়া দিলেও অগুণয় হয় ন । অrমুন এ ঘরে*!” কমলা একটা স্থনিবার সুবেগবশে আত্মবিশ্বত হইয়৷ তাড়াতাড়ি চক্ৰবৰ্ত্তার হাত দৃঢ়ভাবে চাপিয়া রুদ্ধকণ্ঠে কহিল—“ন, ন পুড়োমশায় ! না, না ।” ঝড়েয় কল্লোলে কমলার এ কথা রমেশের কানে গেল না, কিন্তু চক্ৰবৰ্ত্তা বিস্মিত হইয়। ফিরিয়। আসিলেন । রমেশ বই রাখিয়া এ ঘরে উঠিয়া আসিল । জিজ্ঞাসা করিল, “কি চক্রবৰ্ত্তি-খুড়ো, ব্যাপার কি ? কমলা বুঝি আপনাকে--” কমল রমেশের মুখের দিকে না চাহিয়া তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, “না, না, আমি উ হাকে কেবল গল্প বলিবার জন্ত ডাকিয়া ছিলাম !” * কিসের প্রতিবাদে যে কমল “না” না” বলিল, তাহ। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলে সে ধ{লতে পারিত না । এহ “না”র অর্থ এই যে যদি মনে কর আমার ভয় ভাঙাইবার দরকার অাছে—লা, দরকার নাই ! যদি মনে কর অামাকে সঙ্গ দিবার প্রয়োজন--- ন, প্রয়োজন নাই ! সে কাহারে কাছ হইতে কোনো অণবশুক দাবী করিতে রাজি নহে । সে এ কথা নিজে স্পষ্ট বোঝে না, কিন্তু না বুঝিয়াও সকলপ্রকার এক-তরফ সম্বন্ধের বন্ধন দূরে ফেলিয়া দিতে চায় ! দরকণর যদি দুহপক্ষেরই থাকে, তবে সে দরকারের মধ্যে কোনো দৈন্ত থাকে না—কিন্তু কে বল কমলারই দরকার আছে, আরকাহারে কোনো দরকার নাই—-আর-সকলে বই পড়িবে, সন্ধ্যাবেলায় আকাশে তাকাইয়। বসিয়া থাকিবে, টেবিলে ঘাড় ও জিয়া জাপ