পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्षॆप्रब्नं l নৌকাডুৰি। ●ዓዊ জুলিতে লাগিল, তাহ ভয়ে কি আনন্দে, নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না । এই প্রলয়ের মধ্যে যে একটা বাধাহীন শক্তি, একটা বন্ধনহীন স্বাধীনতা আছে, তাহ যেন কমলার হৃদয়ের মধ্যে একটা স্থপ্ত সঙ্গিনীকে জাগাইয়া তুলিল । এই বিশ্বব্যাপী বিদ্রোহের বেগ কমলার চিত্তকেও বিচলিত করিল। কিসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, তাহার উত্তর কি এই ঝড়ের গৰ্জ্জনের মধ্যে পাওয়া যায় ? না, তাহ কমলার হৃদয়াবেগেরই মত অব্যক্ত । একটা কোন অনির্দিষ্ট, অমুর্ত মিথ্যার, স্বপ্নের, অন্ধকারের জাল ছিল্পবিচ্ছিন্ন করিয়া বাহির হইয়া আসিবার জন্ত আকাশপাতালে এই মাতামাতি, এই রোষগৰ্জ্জিত ক্ৰন্দন ! পথহীন প্রাস্তয়ের প্রাস্ত হইতে বাতাস কেবল “না” “না” বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে নিশীথরাত্রে ছুটিয়া আদিতেছে-একটা কেবল প্রচও অস্বীকার । --কিসের মস্বীকার ? তাহ নিশ্চয় বলা যায় না --কিন্তু না, কিছুতেই না, ন}, न1, न ! - చీఫ్చి পয়দিন প্রাতে ঝড়ের বেগ কিছু কমিয়াছে, কিন্তু একেবারে থামে নাই—নোঙর তুলিবে কি না, এখনো তাহ সারেং ঠিক করিতে পারে নাই, উদ্বিগমুখে আকাশের দিকে তাকাইতেছে । 懿 সকালেই চক্রবর্তী রমেশের সন্ধানে কমলার পাশের কম্রিার প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, রমেশ তখনো বিছানায় পড়িয়া আছে, চক্রবর্তীকে দেখিয়া সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া বসিল । এই ঘরে রমেশের শরীনবস্ত দেখিয়া চক্রবর্তী গতরাত্রির ঘটনার সঙ্গে মনে মনে সমস্তটা মিলাইয়া লইলেন । জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাল রাত্রে বুঝি এই ঘরেই শোওয়া হইয়াছিল ?” - রমেশ এই প্রশ্নের উত্তর এড়াইয়া কহিল —“এ কি দুর্যোগ আরম্ভ হইয়াছে ! কাল রাত্রে খুড়োর ঘুম কেমন হইল ?” চক্রবর্তী কহিলেন, “রমেশবাবু, আমাকে নিৰ্ব্বোধের মত দেখিতে, আমার কথাবাৰ্ত্তণ ও সেই প্রকারের, তবু এই বয়সে আমাকে অনেক হরহ বিষয়ের চিস্তা করিতে হইয়াছে এবং তাহার অনেকগুলার মীমাংসাও পাইয়াছি—কিন্তু আপনাকে সব চেয়ে দুরূহ বলিয়া ঠেকিতেছে !” মুহূর্তের জন্ত রমেশের মুখ ঈষৎ রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, পরক্ষণেই আত্মসংবরণ করিয়া একটুখানি হাসিয়া কহিল—“হুরূহ হওয়াটাই যে সব সময়ে অপরাধের, তা নয় খুড়ো ! তেলেগু-ভাষার শিশুপাঠও ছরূহ, কিন্তু ত্রৈল ঙ্গের বালকের কাছে তাহা জলের মত সহজ মহাকে না বুঝিবেন, তাহাকে তাড়াতাড়ি দোষ দিবেন না এবং ষে অক্ষর না বোঝেন, কেবলমাত্র তাহার উপরে অনিমেষ চক্ষু রাখিলেই যে তাহ কোনোকালে বুঝিতে পারিবেন, এমন আশা করিবেন না ।” - বৃদ্ধ কহিলেন, “আমাকে মাপ করিবেন রমেশবাবু! আমার সঙ্গে যাহার বোঝাপড়ার কোনো সম্পর্ক নাই, তাহাকে বুঝিতে চেষ্টা করাই ধৃষ্টত । কিন্তু পৃথিবীতে দৈবাৎ এমন এক একটি মামুষ মেলে, দৃষ্টিপাতমাত্রই যাহার সঙ্গে সম্বন্ধ স্থির হইয়া যায়-তার সাক্ষী, আপনি ঐ দেড়ে সারেংটাকে জিজ্ঞাসা করুন,— বোমার সঙ্গে ওর আত্মীয়সম্বন্ধ ওকে