饶 دستاوه .4 বঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, চৈত্র । এখনি স্বীকার করিতে হইবে— ওর ঘাড় করিবে —না করে ত ওকে আমি মুসলমাল বলিব না। এমন অবস্থায় হঠাৎ মাঝখানে তেলেগুভাষ। আসিয়া পড়িলে ভারি মুস্কিলে পড়িতে হয় ! আপনি এ ক্ষেত্রে ঐ ভtধাটা নিজে জানেন বলিয়। অামার ব্যথাটা বুঝিতেছেন না- কিন্তু রমেশষাবু, আপনি যদি মালক্ষ্মীর ঐ কঁচিসোনার মুখখানি প্রথম দেখিতেন এবং তার পরেই হঠাৎ তেলেগু ভাষার একখান। ফুৰ্ব্বোধ মেঘ আসিয়া ঐ চাদমুখ ঢাকিয় ফেলিবার জো করিত, তবে আপনি কি করতেন বলুন দেখি ! শুধু শুধু রাগ করিলে চলিবে ন। রমেশবাবু, কথাটা ভাবিয়। দেখিবেন !” রমেশ কহিল, “ভাবিয়া দেখিতেছি বলিয়াই ত রাগ করিতে পারিতেছি ন–কিন্তু আমি রাগ করি আর না করি, আপনি দুঃখ পান আর না' পান, তেলেগুভাষ তেলে শুই থাকিয়া যাইবে—প্রকৃতির এইরূপ নষ্ঠুর নিম্নম ।”—এই বলিয়। রমেশ একট। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল । 锡 এই ঘটনার পর চক্ৰবৰ্ত্তার সহিত কমলার সম্বন্ধ স্নেহে, করুণায়, অকথিত বেদনার আরো যেন গভীর হইয়। আiস ল । বুঝিবার জে৷ নাই, তাহার সঙ্গন্ধে কিছু বলা যায় না, কিছু করা যায় না, প্রতিকার করিবার চেষ্টা মনে আসে, কিন্তু উপায় ভাবিয়া পাওয়৷ অস।ধ হয়, সে চঞ্জ দ্য সমস্ত প্রতিহত উদ্যম অ স্তরে অবরুদ্ধ অহরহ লালন করিতে থাকে । ইতিমধ্যে রমেশ চিন্তা করিতে লাগিল, গাজিপুরে যাওয়া উচিত কি না । প্রথমে সে ভাবিয়াছিল, অপরিচিত স্থানে বাসস্থাপন (安 মে কে ছ করার পক্ষে বৃদ্ধের সহিত পরিচয় তাহার কাজে লাগিবে । কিন্তু এখন মনে হইল, পরিচয়ের অসুবিধাও আছে । কমলার সহিত তাহার সম্বন্ধ,—আলোচনা ও অনুসন্ধানের বিযয় হইয়া উঠিলে একদিন তাহা কমলার পক্ষে নিদারুণ হুইয়া দাড়াইবে । তার চেয়ে যেখানে সকলেই অপরিচিত, যেখানে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিবার কেহ নাই, সেইখানে আশ্ৰয় লৈ ওয়াই ভাল । গাজিপুরে পৌছিবার আগের দিনে রমেশ, চক্রপ স্ট্রীকে কহিল, “খুড়ো, গাজিপুর আমার প্র্যাকুটিসের পক্ষে অমুকুল বলিয়৷ ” বুঝিতেছি না. আপাতত কাশিতে যাওয়াই আমি স্থির করিয়াছি । ” রমেশের কথার মধ্যে নিঃসংশয়ের সুর শুনি ধু। বৃদ্ধ হাসিয়া ক{হলেন, “বারবার ভিন্নভিন্ন -রকম : স্তরক রণকে স্থির করা বলে না— ব। হউক, এই কণশি ঘ। ওয়াট। এখনকার মত আপনার শেয স্থির ?” রমেশ সংক্ষেপে কহিল—“হঁ৷ ” - বৃদ্ধ কোন উত্তর না, করিয়া চলিয়৷ গেলেন এবং জিনিবপত্র বাধিতে প্রবৃত্ত হইলেন । কমল আসিয়। কহিল, আজ কি আমার সঙ্গে আড়ি ?” বৃদ্ধ কহিলেন, “ঝগড়া ত দুইবেলাই इंद्रे, কিন্তু একদিন ও ত জিতিতে পারিলাম না !” কমল । আজ যে সকাল হইতে তুমি পালাষ্টয় বেড়াইশতছ ? 總 চক্ৰবৰ্ত্তা । তোমরা যে মা'আমার চেয়ে সে ত সস্থির কর । “খুড়োমশায়, বড়-রকমের পলায়নের চেষ্টায় আছে, আরম্পত আমাকে পলাতক বলিয়া অপবাদ দিতেছ ?
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।