পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tyశీ অমনতরো আর-একটা অভেদজ্ঞানের কপাট খুলিবার অব্যর্থসন্ধান-চাৰি খুজিয়া বাহির করা সোজা কথা নহে। কিন্তু সে চাৰিট আৰক্ষদ্ধ করিয়া রাখা আছে শক্তস্থানে— ‘বিশুদ্ধজ্ঞানের সমালোচনা” নামক দশনগ্রন্থে। বহুপূৰ্ব্বে ধাত্রীমুখে শুনিয়াছিলাম যে, কোনো ক্ষুধাতুর পরিত্রাজক রাক্ষসপুরীর রাজদ্বারে অতিথি হইলে তাহাকে খাইতে দেওয়া হয় লোহার কড়াই-ভাজা ? তেমনি, কালে-ভদ্রে যদি কোনো সত্যপথের পথিক জ্ঞানের লোভ সাম্‌লাইতে ন পারিয়া কাণ্টের দর্শনগ্রন্থের মলাটু-কপাট উদঘাটন করিয়া ভিতরে উকি দিতে সাহসী হ’ন, তবে ঠিক লোহার কড়াই-ভাজা না হউকৃ—তাহারই সহোদর-শ্রেণীর দন্তনিষুদন সারালো সামগ্ৰী তাহাকে পেট ভরিয়া খাইতে দেওয়া হয়। সচরাচর এইরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, বদ্ধপরিকর পরিবেযক যদি বলেন— “জার চাই ?”, তবে ক্ষুধাৰ্ত্ত অতিথি পরিবেষকের কার্য্যপটুতার প্রতি আহলাদপ্রকাশ করিয়া ৰলেন—“দিবে দেও ! অধিকন্তু ন দোষীয় ; কিন্তু কাণ্টের স্বারের অতিথি তাহ। বলেন না । তিনি কাষ্ঠহাসি হাসিয়া কাদেlৰণদে স্বরে বলেন—“ষৎ স্বল্পং তন্মিষ্টমৃ ।” সহযাত্ৰিগণের সহিত কাণ্টের দর্শনমন্দিরে অতিথি হইয়া আমিও এক্ষণে ক্রমে বুঝিতে পারিতেছি যে, “অধিকন্তু বড় ষে “ন দোষায়’, তাহা নহে, পরন্তু 'মরণায়’ ! অতএব “ৰৎ স্বল্পং তস্মিষ্টমূ.” এইটিই ঠিৰু ! পোষ্টাই সামগ্ৰী অল্পস্বল্পই ভাল ! আমি তাই পরিবেষকের দলে মিশিয়া সহযাত্রিগপের পাতেপাতে এক-আধ মুটার অনধিক কাণ্টীয় অল্প বঙ্গদশন । ৩য় বর্ষ, চৈত্র । খুব বিবেচনার সহিত স্বসাবধানে বিলি কল্পিব । মনে করিয়াছি, কিন্তু তাঁহা সত্বেও ভোক্তা’র হয় তো দুই-গ্ৰাস মুখে উঠাইতে-না-উঠাইতেই বলিবেন—“যথেষ্ট হইয়াছে—যৎ স্বল্পং তন্মিষ্টম ।” ংবিতের যোগাত্মক ঐক্য । কাট, যে বলিয়াছেন “সংবিতের যোগাত্মক ঐক্য,” তাহ বস্তুটা কি ? বস্তটা হ’চ্চে— পূৰ্ব্বের এক প্রবন্ধে যাহাকে আমি বলিয়াছি নিখিলবিশ্বের সাৰ্ব্বাত্মিক ঐক্য । আমি তো এইরূপ বলিতেছি, কিন্তু কাণ্ট নিজে কিরূপ বলেন ? কাণ্টেয় নিজের কথার তিনি নিজে যেরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহাই সৰ্ব্বপ্রথমে বিবেচ্য। কাণ্টীয়-দশনের মোট কথাটার স্থল-তাৎপৰ্য্য-সম্বন্ধে কাণ্ট তাহার নিজের যেরূপ অভিপ্রায় নিজে প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার চুম্বক বিবরণ এই – ཞཁ་ག་ཟླསྤྲོ༔ { ক্ষেত্র দেখ ) A-9 একত্ব হ’চ্চে সংবিতের ses (consciousnessএর একত্ব ) ; যোগ হ’চ্চে.কল্পনার যোগ ; বৈচিত্ৰ্য হ’চেচ দেশকালের বৈচিত্র্য । ভেদবুদ্ধির পরামর্শ শুনিয়া কাণ্ট, প্রথমে বৈচিত্র্য, যোগ এবং একত্ব, डिमत्क পরস্পর হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া পৃথক পৃথক পাত্রে বিস্তস্ত করিলেন –বৈচিত্র্য খুলেন দেশকাল-পাত্রে, যোগ খুলেন কল্পনা-পাত্রে, একত্ব খুলেন সংবিৎ-পাত্রে । তাহার' পরে, একত্ব এবং বৈচিত্র্যের মধ্যবর্তী সেই-বে ' কল্পনা-মুলক যোগ, - সেই কল্পনা-মুলক