দ্বাদশ সংখ্যা । ] সার সত্যের আলোচন । ○bや যোগের গাত্রে সংবিতের এক সঙ্ঘটিত করিয়া একমেটে যোগ”কে দোমেটে করিয়া গড়িয়া তুলিলেন, আর, সেই দোমেটে যোগের নাম দিলেন বুদ্ধির যোগ । কাণ্টের অভিপ্রায়াঙ্গুসারে, কল্পনার যোগ সংবিতের একত্ব হইতে আপনাকে অলঙ্গ রাখে ; বুদ্ধির যোগ সংবিতের একত্বকে মাথার মুকুট করিয়া মস্তকে ধারণ করে । কাণ্ট এটাও কিন্তু বলেন যে, ও-দুই পৃথক-শ্রেণীর যোগের মধ্যে কেবল একমেটে-দোমেটে”র প্রভেদ, তা বই --বস্তুত. কোনো প্রভেদ নাই । কথাটা আtয়-কিছু ন—গৃহবিড়াল বনে গেলেই যেমন বনবিড়াল হইয়া ওঠে, কল্পনার যোগ তেমনি সংবিতের আশ্রয় গ্রহণ করিলেই বুদ্ধির যোগ হইয় ওঠে। ফলে, সংষিতের ঐক্য একপ্রকার স্পর্শমণি ; তাহার স্পৰ্শমাত্রে একমেটে যোগ দোমেটে হইয়া ওঠে— কল্পনার যোগ’ বুদ্ধির যোগ হইয় ওঠে । কাণ্টের এই কঠোর বৈজ্ঞানিক-ধাচার কথাটিকে লৌকিক-পাচার সভ্যভবা পরিচ্ছদ পরিধান করানে, আশু প্রয়োজনীয় হইয়াছে ---কেন না, রাস্তার লোকে যদি উহাকে চিনিতে ন-পারিয়া একটা অস্তুত সঙ ঠাওরায়, '. মার, সেইরূপ ভ্রাস্তির বশতাপন্ন হইয়া উহার গৃত্রে ধূলিনিক্ষেপ করিতে উদ্যত হয়, তৰে তাহা অামার প্রাণে সহিবে না । অতএব নিয়ে প্রণিধান করা হো’ক । _க আরব্য-উপস্তাসের আবুলহোসেন যখন কালিফের সিংহাসনে রাজা হইয়া বসিয়াছিলেন; তখন তাহার কালিকে’র আমি এবং “আজিকে’র আমি’র মধ্যে একত্বের ব্যত্যয় ঘটনাছিল খুবই। ব্যাপারটা ৰে কি, তাহার কিছুই বুঝিতে ন পারিয়া প্রথমে তিনি জৰু থবু বনিয়া গিয়াছিলেন ; তাহার পরে বিপুল সাম্রাজ্যের কুহকে মুগ্ধ হইয়া আপনাকে সত্যসত্যই রাজরাজেশ্বর মনে করিতে লাগিলেন। রাজা যেরূপে বসেন-দাড়ান, ভাবেন-চিত্তেন, বিচার করেন, আদেশজ্ঞাপন করেন, সমস্তই সপ্ত-সপ্ত র্তাহার মনোমধ্যে কল্পনার যোগস্থত্রে গ্রথিত হইয়া-হইয়া নিরবচ্ছিন্ন ধারায় বহিয়া চলিতে লাগিল। আবুলহোসেনের কালিকের অামি’র সংস্রব হইতে তাহার আজিকে’র আমি দূরে সরিয়া দাড়াইৰামাত্র তাহার কল্পনার বা মনোরথের যোটনা এবং যোজনা এই দুই জুড়িঘোড়া উন্মত্তবেগে ছুটিতে লাগিল ; অীর, মাঝে-মাঝে থমকিয়া-দাড়াইয়া পশ্চাতে প। চুড়িয়া বুদ্ধি-সারথির চক্ষে রাশিরাশি ধূলি নিক্ষেপ করিতে লাগিল। তাহার দুইদিন পরে যখন কালিফ রাজাধিরাজ আবুলহোসেনের ঘুম ভাঙাইবার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রম ভাঙাইয়া দিলেন, তখন আবুলহোসেনের বুদ্ধির হাড়ে বাতাস লাগিল বটে, কিন্তু তাহার স্থখস্বপ্ন ভঙ্গ হওয়াতে র্তাহার সাধের মনোরখ স্বৰ্গ হইতে রসাতলে নিপতিত হইয়া ভাঙিয়া চুরমার হইয়া গেল। যাহাই হৌক না কেন— আবুলহোসেনের পরখ-তরশ্বের আমি এবং . অপ্তকল্যের আমি’র মধ্যে অখণ্ডনীয় - এৰ ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইল ; আরি, তাহ। যখন হইল, তখন তাহার নিকটে বিগত দুইদিনের সমস্ত প্রহেলিক ছকে-স্থ জলকেজল হইয়া গেল। পূৰ্ব্বদিনে আবুল
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।