পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ সংখ্যা । ] সমাজ যে এইরূপ এক মহিমায় মণ্ডিত শাস্তিময় নিকেতনে পৌছিতে পারে, রামায়ণকাব্যে সেই সম্ভাবন যাথার্থ্যে পরিণত হইয়া অমরবর্ণে চিত্রিত হইয়া আছে । মসুস্থ্যের * সংপ্রবৃত্তিনিচয়ের বিকাশ করিবার জন্ত একটি মহাবিদ্যালয় অfবশ্বক,~—বর্তমান য়ুরোপীর সমাজ সেই বিদ্যালয়ের স্থান গ্রহণ করিতে পারে নাই । সেই বিদ্যালয় স্বভাবের ছন্দে, উদীর ধৰ্ম্মনীতির ভিত্তিতে গঠন করিতে হইবে—স্বৰ্গীয় পবিত্র আলোক এবং প্রাণসঞ্চারী বায়ুপথ নিরোধ করিয়া প্রাচীর তুলিলে উদ্দেশু সিদ্ধ হুইবে না । রামায়ণে চিত্রিত যৌগ-পরিবার সেক্ট মহ: বিদ্যালয় । এখানে দেখিতে পাঙ্গ, রামসা তার প্রেম স্বাভাবিক প্রণয়িযুগোর প্রেম ; উহ। অবাধ, "ন্স প্রমেয় ও করিয়। অ৷ করি গু করিয়াছে মাত্র । প্রথায় সামাজিক বলপ্রয়োগ দ্বারা দুই বিরুদ্ধ প্রকৃতির যে অবিরত মিলমূrচষ্টা চলিতেছে এবং সঙ্গত্র নীতি • ও ধর্মের শোক দুভেস্থ ঈদয়দ্বারে প্রতিহত হইয়া নিরস্তুর দাম্পত্যজীবনকে যে দুঃসহ ব্যথায় বাণিত করিতেছে, ক্ষমসীতার দাম্পতা তাছা হইতে সম্পূর্ণরূপ পৃথক দৃশু দেখাইতেছে । এখানে স্বাভাবিক শীলতা সীতাকে পুরমহিলার কমনীয় সৌন্দর্য্য প্রদান করিয়াছে—কিন্তু স্বামীর বাছ অবলম্বন পূর্বক বনযাত্রায় যে নিভাক অপূৰ্ব্ব প্রেমের মাহাত্ম্য স্কুচিত হইতেছে, তাহ খৰ্ব্ব করিবার জন্ত কোন প্রতিবেশিনী স্বীয় রসন দংশন করিয়া দাড়ান নাই এবং দম্পতির এই दावशब्र निर्णञ्जडात्र ध्ब्रम शुष्टाख रुझना 8 সুন্দর, দাম্পত্যধিপি উচ্ছ। পবিত্র বিবাহ রামায়ণ ও সমাজ । gbr :s করিয়া আত্মীয়াগণের গও লজ্জায় অরিক্তিম হইয় উঠে নাই। স্বভাব যাহা চাহে, সমাজ এখানে তাহাই অমুমোদন করিতেছে । এস্থলে স্বাভাবিক প্রেম দাম্পত্যবিধিবদ্ধ হইয়া পুণ্যমঙ্গলময় হইয়া উঠিয়াছে এবং স্বভাৰবিধি ও সমাজবিধানের পরম ঐক্য দেখা যাইতেছে। বিশ্বনিয়ন্ত মাতৃগর্ভ হইতে র্যাহাদিগকে আমাদের পরমসহায় ও দক্ষিণবাহুর দ্যায় অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে সম্বন্ধ করিয়া পাঠাইয়াছেন, তাহীদের মধ্যে এখন অনেকসময় কি নিষ্ঠুর ঔদাস্ত ও স্নেহাভাব পরিলক্ষিত হইতেছে, অথচ বিষদুষ্ট অঙ্গুলীর দ্যায় এখন তাহারা যুক্ত থাকিয়৷ গার্হস্থ্যজীবনের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য নষ্ট এবং নানা প্রকার অনর্থ উৎপন্ন করিতেছেন । কিন্তু ভরত ও লক্ষ্মণের স্নেহানুগ বশুত কি সুন্দর ও স্বাভাবিক ৷ হঠাৎ কোন অবস্থার তাড়নায় এক ভ্রাতা অপরের জষ্ঠ প্রাণ উৎসর্গ করিতে পারেন, সম্পূর্ণ নিঃসম্পর্ক ব্যক্তির জন্ত ও অবস্থাবিশেষে মানুষ প্রাণ বিসর্জন করিতে পারে, কিন্তু ভরত ও লক্ষ্মণের মত জীবন সমর্পণের দৃষ্টান্ত বিরল । প্রাণদান অপেক্ষ। জীবনদানের গৌরব সমধিক ; প্রাণ একবার বই দে ওয়া যায় না,—যদি বহুব।র প্রাণ দেওয়ার কোন পথ থাকে, তবে তাহাকেই জীবনদান বলা ধাইতে পারে। ভরত ও লক্ষ্মণ এইপ্রকারে জীবনদশন করিয়াছিলেন । যৌথ-পরিবারের শিক্ষণ ভিন্ন এই ভাবের জীবনোৎসর্গ সম্ভবপর নহে । স্বভাবের সঙ্গে যে-সমাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নাই, সে-সমাজে স্নেহ এরূপভাৰে বিকাশ পায় না । এই স্থানেও দৃষ্ট হয়, কাৰ্যবর্ণিত সামাজিক জীবন স্বভাবের সঙ্গে