இல்ை সহজ মিশ্রণের . প্রতিচ্ছটায় হাসিতেছে । বাহারা সম্পূর্ণ নিরাশ্রয়ের অবস্থায় প্রাণের রক্ত দিয়া শিশুকে প্রতিমুহূৰ্ত্তে শত বিপদ হইতে রক্ষা করেন, র্তাহীদের ত্যাগ ও দেহের মধ্যে ভগবদয়া মূৰ্ত্তিমতী,—পিতৃমাতৃভক্তিতে ঈশ্বরের পদে প্রদত্ত অঞ্জলীর পুপগুলি সদ্য বিকাশ পাইয়া উঠে । যৌথপরিবারেই এই বৃত্তির সম্পূর্ণ বিকাশ পাইবার জুবিধা । রামের পিতৃভক্তিতে দেখা যায়, সমাজ স্বভাব প্রদত্ত ভাবগুলি স্থলদরজপে বিকশিত করিতেছে মাত্র। কৌশল্য। যখন রামকে বলিতেছেন—“তোমাকে বনে যাইতে নিষেধ করিবার আমার শক্তি নাই,—তুমি স্বচ্ছন্দমনে বনে গমন কর,—যে ধৰ্ম্ম তুমি জাপ্রয় করিলে, সেই ধৰ্ম্ম তোমাকে রক্ষণ করিবেন ;P - কিংবা স্থমিত্রা বখন লক্ষ্মণকে বলিতেছেন—“বৎস, হৃষ্টমনে বনে যাত্রা কর, রামকে দশরথ বলির মনে করিও, সীতাকে জামার দ্যায় মনে করিও এবং অরণ্যকে অযোধ্যা বলিয়া জানিও * তখন মনে হয়, অযোধ্যার সামাজিক শিক্ষা মাতৃদেহের সম্পূর্ণ বিকাশ করিস্থা ও স্বভাবের উন্নতধৰ্ম্ম হইতে বিচু্যত হর নাই। এখনকার মাতৃবর্গের আশঙ্কা হইতে সেই সকল স্নেহকম্পিত অথচ সুধীর আশিৰৰাণী কত অধিক গৌরব প্রকাশ করিতেছে । নিজের অপেক্ষ মহাগুণশালী কোন ব্যক্তির ভালবাসা পাইলে তাহাকে পূজা করিবার জন্ত স্বভাবতই চিত্ত উদ্বেল হইয়া উঠে। এই স্বাভাবিক বৃত্তি গার্হস্থ্যজীবনে অক্ষচৰ্য্যার স্বারা বিকশিত হয়। হজুমানের চরিত্রে অস্থিগত্যসম্পর্ক গৌরবান্বিত হইয়া উঠিয়াছে,— অধোখ্যার উচ্চ নৈতিক প্রভাব বর্বর জাতি বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, চৈত্র গণের মধ্যেও উচ্চকৰ্ত্তব্যের অস্থপ্রাণম জন্মাইতেছে। ষে দিক হইতেই দেখা যাউক, রামায়ণকাব্যে সমাজ ও স্বভাবের এক অপূৰ্ব্ব শুভমিলন দৃষ্ট হয় ; মমুম্ব একত্র বাস করিয়া যে উন্নতি ও সৎশিক্ষণলাভেয় প্রয়াসী ছিল, প্রকৃতি যেন এস্থলে তাহ পূর্ণমাত্রায় প্রদান করিয়াছেন । আকাশের নীল প্রান্তভাগ যেরূপ সুদুর শুীমাভ তরুশীর্ষের সঙ্গে একত্র মিশিয়া যায়, ব্যবচ্ছেদরেখার প্রতীতি হয় না, রামায়ণবর্ণিত সমাজ ও স্বভাবের নিয়ম সেক্টরূপ যেন এক বণে এক ভাবে মিশিয়া গিয়াছে। এই কাব্যের এই অপূৰ্ব্বত্ব ইহার দিগ্বিজয়ি-কিরীট-স্বরূপ —এ বিষয়ে ইহার সমকক্ষ আর কোন কাব্য নাই । মহাভারতের সময় যৌথ-পরিবার সংযোগ অপেক্ষ অধিকতররূপে বিয়োগের মুখে অtসিয়া পড়িয়াছিল,—জ্ঞাতিবিরোধ মহাভারতের আখ্যানভাগ কণ্টকিত করিয়। রাখিয়াছে ; কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধে ও যন্থবংশের ধ্বংসে এই কথা সপ্রমাণ। এখন সমাজ ও স্বভাব আর পরস্পরকে গাঢ় আলিঙ্গনে বদ্ধ করিয়া রাখে নাই, সমাজের অত্যুদ্ধে স্বভাবের স্বর্গ ক্রমশ সরিয়া পড়িতেছে— শাস্ত্রের ভেস্কিতে তাহ দর্শনীয় হইয়া উঠিয়াছে—সমাজ নিমে পড়িয়া মাটর দিকে ধাবিত হইতেছে—মানুষ আর স্বভাবের সম্মুখবর্তী হইয়া দাড়াইতে সাহস পাইতেছে না,---কৰ্ত্তব্যের আলোর তীব্রতায় তাহার চক্ষু অন্ধ হইয়া বার,—এখন সে-বৃষ্টি নিম্নদিকে আবদ্ধ রাখিয়া খুলির ক্রীড়নক লইয়া ব্যত হইয়াছে। পতনোমুখ - পর্ণশালাকে ধেমন नांनांक्र” कृबिन. जवणचम चांब्रां गव्रजड
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।