6fసి" নিকট সমধিক শোভন ও প্রতিপ্রদ । হিন্দুর গৃহে এই অভয় কৰ্ত্তব্যের পভাক। ফিরিয়া জাম্বক,—ষে স্নেহমধুর গার্হস্থ্যচিত্ত্বাবলী কৰ্ত্তৰ্যের স্বগীয়চ্ছটার অভাবে আজ জগচ্চক্ষুর অন্তরালে অবস্থিত, তাহার উপর আর একবার মহালক্ষ্য ও উন্নত কৰ্ত্তব্যের জ্যোতীরাশি বিচ্ছরিত হইয়া পড়ক ;-রামায়ণকাব্যের গার্হস্থ্যজীবন যেমন উজ্জল হইয়াছে, সেইরূপে আমাদের বর্তমান জীবনকে উজ্জল করিয়া আমাদের স্নেহ, দয়া, বিশ্বপ্রেম—-যাহ সেই একটিমাত্র আলোকের স্পর্শ প্রতীক্ষা করিতেছে -কৰ্ত্তব্যের নবেদিত আলোক লাভ করিয়া জগতের চিরারাধ্য মূৰ্ত্তিতে আবিষ্কৃত হইবে । এখন আমরা কর্তব্যে পরামুখ, তাই কেহ বিশ্বাস করিতে পারি না যে, এই কাপুরুষত|কলঙ্কিত জাতীয়জীবনের অভ্যন্তরে কতকগুলি এমন সৎপ্রবৃত্তি বিকাশ পাইয়াছে, ৰাছ পৃথিবীর অন্তত্র বিরল । আমাদের ক্ষমা শক্রমিত্রকে সমভাবে বাহু প্রসারণ করিয়া আলিঙ্গন করে ; বৈষ্ণবগণ কাহাকে ও ক্ষমা করিবার অধিকারই স্বীকার করেন না, তাহারা আপনাদিগকে সৰ্ব্বদা সকলের ক্ষমাৰ্ছ বলিয়াই মনে করেন । সজ্জন ও অসজ্জন, উভয়ের পাদসরোজে প্রণাম, এ কথা এই ভারতবর্ষের লোকেই বলিতে পারিয়াছেন। আমাদের দয়া কেবল মন্থয্যের মধ্যে আবদ্ধ নহে--সৰ্ব্বভূতের জন্ত তাহার উদার ও মুক্ত পরিবেষণ,—কীটপতঙ্গতরুপুষ্পের প্রতিও তাহা ৰিমুখ নহে । আমাদের ঋষিগণ গলিতপত্র আহার করিয়া ধৰ্ম্মত্রত পালন করিতেন, শকুন্তলা আপনার পৃষ্ঠবিলম্বিত কেশরাশির শোভাসংবৰ্দ্ধনের জন্ত একটি বঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, চৈত্র। পল্লবকেও বৃক্ষচু্যত করিতে পারিতেন না-- এ সকল কবিকল্পন। নহে,—বিশ্বপ্রেম এমনই উদার কোমলতায় হিন্দুর হৃদয় পুর্ণ করিয়াছিল । এখনও এদেশের গৃহলক্ষ্মীগণ গৃহের সামান্ত পরিচারকদিগকেও অগ্ৰে ভোজন করাইয় আপনারা সৰ্ব্বশেষে খাইয়া থাকেন । বিধবগণের কঠোর ত্যাগের ছবি এখনও আমাদের চক্ষুর উপর বিরাজ করিতেছে । আধুনিক সভ্যতার বিলাসকলবিড়ম্বিত রমণীম গুলার নিকট নিবৃত্তির এই নিৰ্ম্মল আদেশ কি চিরদিনই উপেক্ষিত হইয়। থাকিবে ? আমরা “জাতি” এই শব্দের অর্থ বুঝি নাই, nationality কথা বিদেশীর ; আমরা পক্ষপাতদুষ্ট ক্ষুদ্র গওঁীর স্বষ্টি করি নাই, আমাদের নীতি ও শিক্ষাদীক্ষ। উদার, বিশ্বজনীন, প্রশস্ত । “সতত অভ্যাগত গুরু" “অহিংস পরম ধৰ্ম্ম”, প্রভূতি কথাগুলি দেখিলেই বুঝ। ধtয় যে, আমির। জাতি কি বর্ণের প্রতি লক্ষ্য করি না,- “আমাদের শিক্ষানীতি সমগ্র জগৎকে ছুক্ষ্য করে । অামাদের প্রেম, আমাদের ক্ষম , আমাদের স্বাৰ্থ ব্যক্তিগত নহে—জাতিগত মহে উহা সৰ্ব্বজনীন, উহা উদার বায়ুম গুলের দ্যায় ৱিশ্বব্যাপক,— বিখরক্ষার চিরন্তন নিয়মাবলার মধ্যে গণ । আমাদের ধৰ্ম্ম কে ন জানে—পিতাপুত্রের সম্বন্ধের ভিতরে, বান্ধবতার ভিতরে, দাম্পত্য ও ভৃত্যভাবের ভিতরে, বুrংসলোর রূপে, সথ্যের রূপে, মধুর্যের রূপে, দান্তের क्लर्टत्र সৰ্ব্বদা প্রত্যক্ষ । তাহার উচ্চ শাস্তিনিলয় বেদাস্তধৰ্ম্ম ; সে রাজ্য কলহতুষ্ট, স্বার্থপুষ্ট, ব্যাধের ন্যায় লুব্ধ মনুষ্যজগতের অত্যুর্জেযেখানে অtমাদের হিমালয়ের সৰ্ব্বোচ্চ শৃঙ্গ,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।