ago 戟° স্বাদশ সংখ্যা । ] এই শাস্তি ও ধৰ্ম্মের রাজ্য যেন সেইখানে । ইহার পরম পরিতৃপ্তি মনুষ্যকে চিরমোনী করিয়া ফেলে, ইহা সমস্ত ভেদবুদ্ধি মুছিয়া পরলোকগত সতীশচন্দ্র রায় । (ఫిలి ফেলিয়া মনুষ্যের যে গম্ভীর, সৌম্য ও করুণার মূৰ্ত্তি প্রদর্শন করে, তাহা জগতে অতুলনীয় । ঐদীনেশচন্দ্র সেন । পরলোকগত সতীশচন্দ্র রায় । জীবনে যে ভাগ্যবান পুরুষ সফলতালাভ করিতে পারিয়াছে, মৃত্যুতে তাঙ্কণর পরিচয় উজ্জ্বলতর হইয়। উঠে । তাহাকে যেমন হারাষ্ট, তেমনি লাভ ও করি । মৃতু্য তাহার চারিদিকে যে অবকাশ রচনা করিয়া দেয়, তাহাতে তাহার চরিত্র, তাহার কীৰ্ত্তি, মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেব প্রতিমার মত সম্পূর্ণত। প্রাপ্ত হয় । কিন্তু যে জীবন দৈবশক্তি লইয়া পৃথিবীতে আসিয়াছিল, অথচ অমর তালাভের পূর্বেই মৃত্যু যাহাকে অকালে আক্রমণ করিয়াছে, সে আপনার পরিচয় আপনি রাখিয়া যাইতে থারিল না । যাহারা তাহাকে চিনিয়াছিল, তাহার বক্তমান অসম্পূর্ণ আরস্তের মধ্যে ভাবা সফল পরিণাম পাঠ করিতে পারিয়াছিল, যাহারা তাহার বিকাশের জন্ত অপেক্ষা করিয়া ছিল, তাহদের বিচ্ছেদবেদনার মধ্যে একট। বেদন এই যে, আমার পোককে সকলের সামগ্ৰী কল্পিতে পারিলাম না। - মৃত্যু কেবল ক্ষতিই রাখিয়। C 姆 সতীশচন্দ্র সাধারূণের কাছে পরিচিত লহে । সে তাহার যে অল্প-কয়টি লেখা রাখিয়া গেছে, তাহার মধ্যে প্রতিভার প্রমাণ এমন নিঃসংশয় হইয়৷ উঠে নাই যে, অসঙ্কোচে তাহ। পাঠকদের কৌতুহলী দৃষ্টির সম্মুখে আত্মমহিমা প্রকাশ করিতে পায়ে । কেহ বt তাহার মধ্যে গৌরবের আভাস দেখিতেও পারেন, কেহ বা না-ও দেখিতে পারেন, তাহা লইয়া জোর করির আজ কিছু বঙ্কিবার পথ নাই । কিন্তু লেখার সঙ্গে সঙ্গে যে ৰ্যক্তি লেখকটিকেও কাছে দেথিবীর উপযুক্ত সুযোগ পাইয়াছে, সে ব্যক্তি কখনো সন্দেহমাত্র করিতে পারে না যে, সতীশ বঙ্গসাহিত্যে যে প্রদীপটি জালাইয়া যাইতে পারিল না, তাহা জলিলে নিভিত না । আপনার দেয় সে দিয়া যাইতে সময়, পায় নাই, তাহার প্রাপ্য তাহাকে এখন কে দিবে ? কিন্তু আমার কাছে সে যখন আপনায় পরিচয় দিয়া গেছে, তখন তাহার অকৃতার্থ মহত্ত্বের উদ্দেশে সকলের সমক্ষে শোকসস্তপ্ত চিত্তে আমার শ্রদ্ধার সাক্ষ্য না দিয়া আমি থাকিতে পারিলাম না । তাহার অক্ষপম
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।