বঙ্গদর্শন । ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । جونا . রাজি বাড়িতে লাগিল । আহারের সময় উত্তীর্ণ হইয়া যায়—আজ আর রমেশ তাহার ললাট চুম্বন করিল না, তাহাকে স্পর্শ করিল না । জোয়ারের টানে সমুদ্রের সমস্ত তরঙ্গ যেমন একবার পূর্ণচন্দ্রের দিকে উঠে, আবার নামিয়া আছাড় খাইয় পড়ে, তেমনি রমেশের সমস্ত ক্ষুব্ধ হৃদয় একবার ঐ স্থপ্ত মুখখানির দিকে অগ্রসর হইয়া আবার আপনার অতলের দিকে হতাশ হইয়া নামিয়া পড়িতে লাগিল । ক্রমশ । সন্ধ্যা । আমার খোলা জানালাতে শব্দবিহীন চরণপাতে কে এলে গো, কে গো তুমি এলে । একূল আমি বসে আছি অস্তলোকের কাছাকাছি পশ্চিমেতে দুটি নয়ন মেলে’ । অতি সুদুর দীর্থপথে' আকুল তব আঁচল হ’তে অণধারতলে গন্ধরেখা রাখি জোনণক-জালা বনের শেষে কখন এলে ছয়ারদেশে শিথিল কেশে ললাটখানি ঢাকি ! তোমার সাথে আমার পাশে কত গ্রীমের নিদ্রা আসে, পাস্থবিহীন পথের বিজনতা, ধুসর আলো কত মাঠের, বধুশুম্ভ কত ঘাটের অর্ণধার কোণে স্তব্ধ কলকথা শৈলীতটের পায়ের পরে, তরঙ্গদল ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্ন তারি আনলে বহন করি,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।