" من বঙ্গদর্শন। [ ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । হয় নাই । খাটি বিষ্ণুপুঞ্জার পরিবর্তে কৃষ্ণরূপ বিষ্ণুর পূজা প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই । পুরাণের বিষ্ণু কৃষ্ণমাত্র । কৃষ্ণের দেহে আপনার অবতার সংক্রমণ করিয়া দি য়া, বিষ্ণু একেবারে সাগরবক্ষে গিয়া নিদ্রিত হইলেন । একএকবার পাশ্বপরিবর্তন করিয়া উত্তরায়ণদক্ষিণয়ন করেন, এইমাত্র । এই পার্শ্বপরিবর্তনের কথায়ও বিষ্ণুর আদিত্যস্বরূপ, অর্থাৎ জ মততত্ত্বর যখ{ৰ্থ ইতিহাদ, সুচিত, হয় । যাহাই হউক, ঠাকুর একেবােসর কৃষ্ণের হাতে : রাজ্যসমর্পণ করিয়া দিয়া কোনপ্রকারে অনন্তশয্যার উপর নড়াচড়া করিততছেন, কিন্তু পুজার ভোগ খাইতেছেন শ্ৰীকৃষ্ণ । ’ পঞ্চম শতাব্দীর পর হুইতই . গৌরাণিক বিষ্ণুর বিশেষত্ব অবতারবাদে ; অথচ ঐ অবতারবাদই তাহকে গ্রাস করি"য়ছে । মৎস্ত, কুৰ্ম্ম, বরাহ জলে-জঙ্গলেই আছেন ; পূজা আছে কেবল শ্ৰীকৃষ্ণের । এইজন্য অনেকে অনুমান করেন যে, অবতারবাদটা সৰ্ব্ব প্রথমে কৃষ্ণকে বিষ্ণু সাজাইবার জন্যই হইয়াছিল । মৎস্তকথার সহিত বিষ্ণুর কোন সম্পর্ক নাই, পূৰ্ব্বে তাহার আভাস দিয়াছি। ব্রহ্মা বরাহ হইয়া মাটি তুলিয়াছিলেন, ইহাই প্রাচীন পুরাণ। বৌদ্বদিগের অবতীরবদের সহিত টক্কর দিতে গিয়া যখন নুতন অবতারবাদ স্বল্প হয়, তখন প্রাচীন. দুচারিটি কথা জুড়ি স্না ন দিতে পারিলে সুবিধা হয় ন বলিয়াই যেন মৎস্তাদি অবতারের কল্পনা হইয়াছিল । th ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার। ബ হ্রয়ো-রাণী । ঘুটে কুড়াইয়া, পথে ঝাড় দিয়া, সারাদিন ধরি’ ব্যথা ভরা-হিয়া, বারবার,অণখি মুছিয়া মুছিয়া,— দুয়োরাণী আসি’ সাঝের বেলার Ws বসেছে বাগানে তরুর তলায়— জীর্ণকুটার কাছে দেখা যায় ! ওই-ই তার ঘর--হেtথা নিতি রাতে ঘুম যায় ছয়ো তৃণশয্যাতে,— ঘুটে কুড়াইতে জাগে রোজ প্রাতে। আজি সায়াহ্লে একটি তারক নভোজানালার খুলিয়া ঝরকা উকি দিল যবে—( বুঝি বা \রখা সাধ হল তার সর্ণঝ এল কি না ) — তখন এসকল দুয়ো বিমলিন। তরুর তলায় হইল। আসীন । চুপে চুপে, মনে নিলা মৃদুলাম একটি ফুলের, করিলা প্রণাম দীপশিখা-অণকা দুর দেবধাম— শঙ্খ ঘণ্টা বাজিছে যেথায়-- নটীগণে মিলি’ নাচিছে যেথtয়— সর্থীগণে ল’য়ে রাজিছে যেখায় . ঠাকুরদুয়ারে সুর্থী সুয়োরাণী পরিয়া তাহার চেলবাসখানি !— দাড়ায়েছে রাজা স্কুড়ি’ দুই পাণি
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।