দ্বিতীয় সংখ্যা । ] করি’ পরিধান কৌষেরবাস-— ললাটে তাহীর চন্দনাভাস । উঠিছে সুরভি ধুমের রাশ চারিদিক ঘিরি’,—প্রদীপাৰ্চন। হেরিতেছে পুরবাসী সবজন । এদিকে বাগানে, অর্ণধার-মগনা জোনাকী মালিকা লতিকার পাশে একাকিনী ফুয়ো চুপ বলি আছে— কোমল অর্ণধার সকল অtকাশে । কি ভাবিছে দুয়ো ?—ভাবিয়া না পায়-— ব্যথিত পরাণ তার কি যে চার – স্বপনের মত মনোমাঝে ভয়ে সকল অতীত জীবন তাহার ! এই মনে পড়ে এক বালিকার মূঢ় খেলাধুল,—হাদিরাশি, আর দুখ রাশি যত,—এই মনে পড়ে ব্রতমঙ্গল কোন সে বছরে । দুৰ্ব্ব ও ফুল রাখি থরে থরে কত দেবতার পুজা-আরাধনা— হার কত মূঢ় মনের কামনা ! —পতিবর মাগা, পুত্র-যাচনা ! “হায় না বুঝিয়। কত-কি যে বলি বালিকা-বষ্ণুসে —ছলনা কেবলি ! —সেই সব দিন কোথা গেছে চলি’ ! 攣 攣 擎 擎 擎 *অবশেষে এল বিবাহের রীতি । —এরি মাঝে মোর কত খেলাসার্থী পতিবতী হ’য়ে, সুখ-ঘর পাতি’ “বসেছিল,—তারা জানাত আমিীয় ” অণখি নীচু করি চোখের অভিনয়— —পতিবর্তী নারী কত সুখ পায় – দুয়ো-রাণী । " هن “সুখ ? হায় স্থখ —মুখ-ই বটে ! সুখ । খালি করি ফেলি’ বাপমার বুক,— ভাইভগিনীর বিসরিয়া মুখ, “পিছু ফেলি আসি খেলার কানন, একখানি কোন অচেনা আনন বুকে ভরি’ ল’য়ে ভাব অনুখন— “সুখ বটে তাই ?—মুখই বটে হয় । ঐ ত, রমণী ঐ ত রে চায় !—— —যাহা অাছে তার তাহ ফেলে যায় ! “—তার তরে শুধু ব্যাপিয়া হৃদয় সুগভীর মান ছায়া লেগে রয়— যাহা নাই তারি অভিমুখে বয় “নদীর মতন বনছীয়া দিয়া আপনার মাঝে আপনি কাদিয়া ! নিজে সে কি ধান ? হায়, মুঢ় হিয়া ! ' “বিধতাই তার গড়েছে এমন— কালে কালে তার নুতন বেদন, জাগায় পরাণে নুতন চেতন, “নুতন করিয়া করয়ে অধীর । —স্থির নাহি রয় মুখ ধরণীর— যাতনা কেবল অবলা নারীর । “মনে পড়ে সেই নুতন বেদন – মনে পড়ে সেই নুতন চেতন— , মনে পড়ে রাজরথের কেতন “বেলাশেষকালে দেখা দিল দূরে— ততখন আমি হৰ্ম্ম্যের চুড়ে সখীগণে ল’য়ে, নুপুর কেয়ুরে “মালাকুণ্ডল চেলবাসে সাজি’ বসেছিমু—হায় স্বপন সে আজি । দেখিতেছিলাম বুঙি মেঘরাজি
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।