পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] হুয়ো-রাণী । ጭ » “রেখেছিল তারা ত্রিভুবন মোর ! হায় লো সতীন মোর ধন-চোর, কি করেছি আমি কি করেছি তোর ! *বাছারা অামার—সত্য কি তাই ? কেমনে জানিব ? কিছু দেখি নাই ! না না, আমি মনে অনুভবে পাই “কুন্দর তারা-রাজার কুমার ! কিংশুক-ঠোটে হাসি সুধাধার ! জ্যোতিমাখা দেহ—বরণ চাপার ! “গভীর অণধার ওগো উপবন, জোনাম নিভায়ে জালি’ খনে-খন, কি থেলিছ তুমি ? অাধার-গগন, “তারী-মেয়েগুলি ছাদে দিয়া সারি বসেছে ঘে—ওরা কাহীর ঝিয়ারী,— কোন রূপকখা বড় মনোহারী “শুনিতেছে ওরা ?—তোমাদেরি কাছে হে বন গগন, চলি’ কি গিয়াছে বাছারা আমার অপরূপ সাজে “খেলা খেলিবারে ? তাহার কেমন ? আমি ত দেখিনি ।”—মুদিয়া নয়ন, ভাবি ভাবি হেন দুয়ো নিমগন । নিমগন ছয়ে দুখমর নিদে তরুরি ভলগ্নয়, কঠিন ভূমিতে— স্তন্ধ অণধার বসি চারিভিতে । হায় ছয়োরাণি একি ছু’ল তোর ? কি নবীন স্নেহে হইলি বিভোর ন জেনে না শুনে ? একি মোহঘোর । মোহে ঘুমাইয়া প’ল ছয়োরাণী । ছুটি পড়ে তারা, রাগে রেখা টানি – সুছি ফেলে রেখা ত্বর করে পালি ! •V কত তারা ম’ল—রে’থা নাই কোনে— অর্ণধার আকাশ —ওকি ?—ওই শোনো দ্বিতীয় প্রহর বাজিছে –এখনো ঘুমাইছে ছয়ে ?—রজনী গভীর । এই সে প্রহর কুহকী রাতির যবে নামে আসি’ তীরে ধরণীর যত দেবদূত যত পরীদল— ফুলমাঝে তুলে গড়াইয়া ফল ;– দিবসের কাজে শিথিল বিকল ফুল-লতা-তরু-প্রাণের মাঝার বরষিয়া যায় স্নেহস্থধাধার ; মধুর স্বপন নিয়ে আসে আর ক্লান্ত পুরুষ নারীর লাগিয়া । তাই সবে ওঠে সকালে জাগিয়া - নূতন উষার বরণে রাঙিয়া ! দেখে ছয়ে দেখে হরযস্বপন ! দেখে ছয়ে দেখে মধুর স্বপন :-– জাগ-জাগ যেন রাজ-উপবন ভোর গোধুলীতে—“ম-মা— এ ডাক কোখা হ’তে আসে ? ডাকিছে কি কাক ? আই । ‘ম-— !” দুয়ো শুনিছে অবাক - তাড়াতাড়ি ছুটে পুকুরের তীর এল দুয়ো—তার চোখে বহে নীর ! * আই ! 'ম। —ম— চাপ-বনানীরু আড়াল হইতে ডাকিছে মধুর । “মা-মা—* উঠিছে সাতখানি স্থর । পারুল একটি দাড়ায়ে অদুর— সেথায় হ’তেও ‘ম-– কে ডাকিছে ? দুয়ো চারিদিকে চমকি চাহিছে— চাহিছে—সঘনে শ্বদর কাপিছে!