পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] যাত্ৰিণী । ԳՏ খাইবেন ?” চিকিৎসক মহাশয় বিশেষ বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “বাবু মুড়ি খাইলে তোমরা বাবুর মাথা খাইবে কিপ্রকারে ? বাবু বিলাতী পনির খাইতে পারেন, ফিবারমিকৃশচার ও কুইনাইন-মিকৃশচার খাইতে পারেন, কিন্তু মুড়ি খাওয়া কি বাবুর সাজে ?” সেদিন কোন বাড়ীতে দেখিলাম, একটা রাজমিস্ত্রি বেলা ১টার সময় জলপান খাইবার ছুটি পাইয়া এক পয়সার গজ কিনিয়া থাইল । কারণ মুড়ি ছোটলোকে খায় । টাটুকী মুড়ি ঈষৎ-মিষ্ট-সহযোগে থাইলে উৎকৃষ্ট বিলাতী বিস্কুট অপেক্ষ সুস্বাদু হয় । “চা”-পান করা ও আজকাল বড় প্রচলিত হইয়াছে। এই “চা”জিনিষটা বাংলার দ্যায় উষ্ণ প্রধান দেশের উপযোগী বলিয়া বোধ হয় না । হিমালয়-অঞ্চল অথবী শীতপ্রধান দেশে চা উপকারী হইতে পারে, কিন্তু বাংলায় এই শীতলদেশোচিত নেশা কেন প্রচারিত হয়, তাহ বলিতে পারি না । যাহারা নিয়মিতরূপে প্রত্যহ চা-পাল করিয়া থাকেন, তাহীদের মধ্যে অনেকেই অজীর্ণ বা শব্দীর চির-আশ্রয় হইয়। থাকেন । অনেক চা-সেবী অজীর্ণরোগীকে চ ছাড়িয়া দিয়া সুস্থ হইতে দেখা গিয়াছে। বালকদিগের খেলাতেও ক্রমে ক্রমে ব্যয়বাহুল্য দেখিতে পাইতেছি। পূৰ্ব্বে “গুলিদাণ্ডা” ছিল, এখন ক্রিকেটু হইয়াছে ; পূৰ্ব্বে “কপাটি” ছিল, এখন “ফুটবল” হইয়াছে। আবার আমেরিকায় ( Push ball ) “পুশবল” নামে নূতন খেলা দেখা দিয়াছে, তাহার নাকি আইনকানুন সমস্তই ফুটবলের ন্যায় ; কেবল বলটা নারিকেলের মত না হইয়া একটা সুবৃহৎ জালার মত, চার-হতে-বেধ বিশিষ্ট । এক একটা বলের দাম ২৩শত টাকা । দরিদ্র বাঙালীর ঘরে ও এই খেল। শীঘ্রই দেখা দিবে, আমাদের এরূপ আশঙ্ক। আছে । 會 - যে দিক দিয়াই দেখা যাক না কেন, বাজে খরচ আমাদের বড় বাড়িয়া উঠিতেছে । ত্রিশ বৎসরের মধ্যে যেরূপ বাড়িয়াছে, তাঙ্কাতে আর ত্রিশবৎসর পরে যে কি দাড়াইবে, তাহা আমির, ধারণা করিতে পারি না । সমাজহিতৈষীদিগকে এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করিতে অনুরোধ কলি । 哆 শ্ৰীযোগেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। যাত্ৰিণী । মন্ত্রে সে যে পূত • রার্থীর রাঙা স্বতে, বঁtধন দিয়েছিকু হাতে, আজ কি আছে সেটি সাথে ?