পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গ্রীস, প্রাচীন রোম ও প্রাচীন ভারতের সৌন্দৰ্য্যকম্পন । “কমলিনী মলিনী দিবসীতায়ে * শশিকল বিকল ক্ষণদীক্ষয়ে । ইতি বিধিবিদধে রমণীমুগং ভবতি বিজ্ঞতমঃ ক্রমশো জনঃ ॥” দিবসাপগমে কমলিনী মলিনী হয়, আর নিশশেষে শশিকল বিকলা হইয় পড়ে। এইজন্তাই বিধাতা রমণী মুখের সৃষ্টি করিয়াছেন । লোকে ক্রমে ক্রমেই বিজ্ঞতম হয় । কোন অজ্ঞাত লেখক এই উদ্ভট শ্রেণকের রচনা করিয়াছিলেন, তাঙ্গ স্থির জানা যায় না ; কাজেই সৌন্দর্য্যসম্বন্ধে এই ধারণা কোন সময়ের, তাঙ্গ ও নিশ্চয় জানিবার উপায় নাই। রমণীমুখ সৌন্দর্য,কষ্টির চরম ; ইহাতে স্রষ্টীর ক্রমশ বিজ্ঞত লাভের পরিচর পাওয়া কবিকল্পনা ; কিন্তু যুরোপীয় হিসাবে ইহা সৌন্দৰ্য্যকল্পনার ক্রমবিকাশ ; ধারণার অভিব্যক্তির হিসাবে অপেক্ষাকৃত আধুনিক । অনুসন্ধান ও অধ্যয়নের ফলে জানা গিয়াছে, রমণীর মুখ সৌন্দর্য্যস্থষ্টির চরম বা সৌন্দর্য্যের অণধার, প্রাচীন গ্রীকৃদিগের এ ধারণা ছিল নf । এখন ইংরাজীতে Beauty বলিলে সুন্দরী বুঝায়। গ্ৰীক সৌন্দৰ্য্যকল্পনা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । শারীরিক গুণের সুমন্বয়েই গ্ৰীকৃদিগের মতে প্রকৃত সৌন্দৰ্য্য । স্বল্প স্বাস্থ্য ও সৰ্ব্বাঙ্গে মুক্তাফলের কাস্তিতরঙ্গের .মত স্বাস্থ্যসৌন্দৰ্য্য প্রাচীন গ্রীকৃদিগের নিকট প্রকৃত লোন্দৰ্য্য বলিয়া ,পরিগণিত হইত।

  • বঙ্গীয় সাহিত্যপরিসদের অধিবেশনে পঠিও

গ্ৰীকৃগণ বলয়ামচৰ্চানিপুণ ছিল । তাহtদিগের নিকট বিকলাঙ্গ ঘূণাস্পদ । খওরাজ্যে শতধা বিভক্ত গ্রীস আত্মরক্ষণৰ্থ সৰ্ব্বদাই সশস্ত্র থাকিত। স্পাটায় এই সৈনিকবৃত্তি সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রবল ও পরিস্ফুট ছিল । স্পার্টায় রাজনীতিবিদ, দার্শনিক বা সাহিত্যিকের আদর ছিল না ; বীরই সম্পূজিত হইতেন । শিশু বিকলাঙ্গ বা দুৰ্ব্বল বলিয়া বিবেচিত হইলে তাহাকে বিনষ্ট করাই দেশের প্রচলিত বিধি ছিল । সপ্তবর্ষবয়স্ক বালককে জননীর ক্রোড়চু্যত করিয়া শিক্ষাগারে প্রেরণ করা হত। সেখানে তাহণকে বলবান ও কষ্টসহিষ্ণু করিবার জন্ত চেষ্টার অস্ত ছিল না । শতগ্রীষ্মে একই বেশ ; শিকার করিয়া আছে যা সংগ্ৰহ করিবার প্রবৃত্ত্বি প্রবল করিবার অভিপ্রায় অপর্য্যাপ্ত অশহর—এ সকল নিয়মের মধ্যে ছিল । বালকের কষ্টসহিষ্ণুতা পরীক্ষা করিবার জন্ত তাহাকে ডায়েনার বেদীতে বেঞাঘাত করা হইত। তাহার উচ্ছসিত শোণিত বেদী সিক্ত, না হওয় পর্য্যন্ত সে বেত্ৰাঘাতের নিবৃত্তি ছিল না । বালিকাদিগকেও ব্যায়ামচর্চা করিতে হইত। বিংশতিবর্ষের পূৰ্ব্বে যুবতীর প্রায় বিবাহ করিত না । যুবকগণও ত্রিংশতবর্ষের পূৰ্ব্বে বিবাহ কুরিতে পাছত না । কিন্তু যুবককে তথনও সাধারণ আগারে আহার করিতে