পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] সৌন্দর্ষ্যকল্পনা । (عابر * ত নিজ যাইতে হইত। যষ্টিবৰ্ষবয়ঃক্রমকালে পুরুষ সৈনিককৰ্ত্তব্য বসানে গার্হস্ত্যজীবনযাপনের অবকাশ পাইত। তখন বাদ্ধক্যের হিমবাতে যৌবনবসন্তের মুকুল স্নান । শারীরিক বিকাশের যজ্ঞানলে দাম্পত্যস্থ, গার্হস্থ্যজীবন ও হৃদয়ের কোমলবৃত্তি আহুতি প্রদত্ত হইত। গ্ৰীকের শরীরে স্বাস্থ্যলাবণ্য যেন ফাটিয়া পড়িত । শারীরিক শ্রমের ফলে তাহার অঙ্গ সঞ্চালনে বা অঙ্গভঙ্গীতে অনায়াসলন্ধ পৌন্দর্য্য ভণবিক হইয়া দাড়াই ত । গ্রীসের যে সকল রাজ্যে শারীরিক বিকাশ চরম লক্ষ্য বলিয়া পরিগণিত হইত না, সে সকল রাজ্যে ও ব্যয়ামাগারের অভাব ছিল না । গ্ৰীকৃগণ গৃহকোণে বন্ধ থাকিতে ভালবাসিত না । স্বৰ্য্যকিরণ, মুক্তবায়ু, অনস্ত প্রসারিত. গগন, এ সকল যেন গ্রাকের জীবনের অবিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল । ভারতবর্ষের সংসারবিরাগী সন্ন্যাপীদিগের মত সক্রেটিস পথে পথে জ্ঞান বিলাইতেন । বৃক্ষবাটিকায় প্লেটোর শুিক্ষণদানকাৰ্য্য সম্পন্ন হইত। দিবস স্বৰ্য্যকরোজল নীলাম্বরততুল ও সন্ধ্যায় বিকশিতজ্যোতিষ্কজ্যোতি গগননিম্নে বসিয়া গ্ৰীকৃগণ রঙ্গমঞ্চে অভিনয় দশন করিত। গ্ৰীকৃদিগের ভিন্ন Mভন্ন শাখার মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান বন্ধন— ব্যায়ামপ্রদর্শনী । স্বাস্থ্য, বল, সৌষ্ঠবস্থষমা ও লবণ্যে প্রাচীনু গ্রীকের সৌন্দর্য্যকল্পনা নিবদ্ধ ছিল । এই শারীরিক বিকাশেই তাহার বিবেচনায় মনুষ্যত্বের পুর্ণ অভিব্যক্তি । রমণীর সৌন্দৰ্য্য অপেক্ষাকৃত স্বল্পকালস্থায়ী; প্রাকতিক নিয়মে তাহীর অস্থায়িত্ব নিশ্চিত ; জীবস্নোত প্রবাহিত রাখিবার জন্ত রমণীকে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য প্রকৃতির বেদিমূলে সুৰ্য্যদান করিতে হয়, সেই আত্মদানেই রমণীর মহত্ব ও দেবীত্ব । কাজেই গ্রীকৃসৌন্দর্য্যের অাদর্শ নগরীতে মিলিত না । গ্রীকৃগণের বিবেচনায় শারীরিক বিকাশেই মনুষ্যত্বের পূর্ণ অভিব্যক্তি বলিয়া অনিন্দ্যসুন্দর অলিসিরাইডিসের দোষ দোষ বলিয়া পরিগণিতই হইত না, উiহার সৌন্দর্য্যের কিরণে র্তাহার দেশষের অন্ধকাররাশি ও যেন সমুজ্জল হইয়া উঠিত । প্রাচীন গ্রীকের সৌন্দৰ্য্যকল্পনা সাগরসম্ভবার অনুপম সৌন্দর্য্যে তৃপ্ত হইত না ; সে সৌন্দর্য্যতৃষ্ণার তৃপ্তির জন্ত আপোলোর অরশুক । হইয়াছিল । - ... • এই আপোলো-মূৰ্ত্তি-কল্পনায় ষে কত শিল্পীর জীবনসাধনা ব্যয়িত হইয়াছে ; কৰ্ম্মহীন দিবস ও নিদ্রাহীন নিশায় নিস্ফল প্রয়াসে কত শিল্পীর জীবনগ্রন্থি শিথিল হইয়া গিয়াছে ; তাহ জানিবার আর উপায় নাই । কিন্তু সেই সাধনার যে ফল—এই সুদীর্ঘকালের ব্যবধানে ও বর্তমানে তাহ অতুলনীয় । অণপোলে। স্বৰ্য্যদেবতা । গ্রীসে স্বর্ষ্যের প্রভাব নানা বিষয়ে পরিস্ফুট । মহাদু্যতির কনককিরণে জীবজগতে নিত্য জীবন-সঞ্জীবিত হইয় উঠিত, হরিৎ প্রাস্তরে কবিতকাঞ্চন উৎপন্ন হইত, তরু-লতা-নিঝর শুষ্ক হইয়া যাইত, কখন বা চারিদিকে ব্যাধি বিকীর্ণ হুইয়া পড়িত, আবার কখন বা বায়ুমণ্ডল দূরীকৃতদুষিতপদার্থ, নিৰ্ম্মল হইত। সভ্যতার প্রথম অবস্থায় মানব ষখন প্রাকৃতিক - শক্তিতে বিস্মিত হইয় পড়ে, তখন সেই শক্তির ক্রিয় ঘুে স্বতঃপ্রণোদিত, স্বতঃপরিচালিত ও স্বতঃসংশোধিত, ইহা তাহার