পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն8 - ধারণা আইসে না। তাই সে প্রত্যেক প্রাকৃতিক শক্তির অধিষ্ঠাত কল্পনা করে । আবার ষে দেশে যে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাব প্রবল, সে দেশে সেই প্রাকৃতিক শক্তির কল্পিত অধিষ্ঠাতৃদেবতার পুজা সমধিক সমারোহে সম্পন্ন হয় । এই নিয়মে বিচার করিয়া কেহ কেহ বলেন, হিমত্রাতা অগ্নির পূজক আৰ্য্যগণ হিমপ্রধান দেশ হইতে ভারতবর্ষের প্রাস্তরে অবতীর্ণ হইয়া বজ্রধর ইন্দ্রের উপাসক হইয় পড়েন ; তখন বৃৰ্ষণ ব্যতীত জীবনধারণ অসম্ভব—শস্তোৎপাদন, গোমেম্বাদির আহাৰ্য্যসংগ্রহ, সবই বর্ষণের উপর নির্ভর করে। ঋগ্বেদের অগ্নির আহবান – “তুমিই আহবান কর যত দেবগণ, . সিদ্ধকৰ্ম্ম, কীৰ্ত্তিময়, সত্যপরায়ণ : দেবগণসাথে কল্প যজ্ঞে আগমন ।” (১।১।১।১) ইন্দ্রের আহবান – “আমাদের এই স্তুতি করিতে গ্রহণ হে ইন্দ্র, আপনি তুমি আইস হেথায় : অভিযুত হইয়াছে এ যজ্ঞে সবন ৰূর পান তুষ্ণাতুর-গোরস্বগ-প্রায় "(১।১।১১৬) কেহ কেহ এই দুই আহবানের মধ্যে আৰ্য্যগণের হিমপ্রধান স্থান হইতে প্রশস্তরে আগমনের পরিচয় পাইয়াছেন বা কল্পনা করিগছেন। বাহ হউক, যে দেশে ৰে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাব যত প্রবল, সে দেশে সেই শক্তির পূজাও তত সমারোহে সম্প্রস্থ হইয় থাকে। এইজন্তই প্রাচীন গ্রীসে আপোলোর পূজায় বিশেষ সমারোহ ছিল । আপোলে।-নামের দুই অর্থ ৪—এক অমঙ্গলবিনাশক ; অপর সংহর্তা। স্বৰ্য্যদেবত হইতে আপোলে। ক্রমে নানাভাবে বঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । পূজিত হইতেন। স্বৰ্য্যকিরণ অবাধগতি— স্বৰ্য্য সৰ্ব্বজ্ঞ ; সেইজন্ত পাপশাস্তির নিমিত্ত তাহার পূজা হইত। স্বর্ষ্যের সর্বজ্ঞতা হইতে আপোলোর ভবিষ্যৎরক্ষাখ্যাতি । আবার স্বৰ্য্যের জীবনাশ ও জীবরক্ষণর ক্ষমতা হইতে আপোলো ঔষধের দেবতাপদে উন্নীত এবং প্রভাতাগমে জীবজগতের আনন্দকলরব হইতে ক্রমে সঙ্গীতের দেবতা বলিয়। গণিত । গ্ৰীকৃপুরাণে আপোলোর জন্মকথা এইরূপ — খণ্ডিতা হীরার ( জুনোর ) ক্রোধানলভীত লীটো বহুস্থানপৰ্য্যটনের পর ডেলসে আশ্রয়লাভ করেন। তখন জিউস (জুপিটার }পুত্ৰ আপোলো তাহার গর্ভে । নয়দিন প্রসববেদনা ভোগ করিয়া লীটো আপোলোকে প্রসৰ করেন । পঞ্চদশ শতাব্দীতে আন্টিয়ামের নিকটে eris sitetitntaf (Apollo Belvedere) বিশেষ প্রসিদ্ধ । দ্বিতীয় জুলিয়াস্ ইহা ক্রয় করিয়া পোপপদে উন্নীত হইবার পর পোপের প্রাসাদ ভ্যাটিকানে সংস্থাপিত করেন । এই মুৰ্ত্তি ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দে ফরাসীসগণকর্তৃক গৃহীত ও ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে পুনঃপ্রদত্ত হয়। অভিজ্ঞগণের বিশ্বাস, এই মৰ্ম্মরমূৰ্ত্তি খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর প্রারস্তে নিৰ্ম্মিত একটি গ্রীকৃমূৰ্ত্তির অনুকরণ । গ্ৰীকৃশিল্পীর রচনায় স্বন্দর মুখের কুষ্টিবিষয়ে মনোযোগ বা চেষ্টা দৃষ্ট হয় না । মুম্ভস্ত মস্তক, দেহের সর্বত্র সামঞ্জস্ত, সুগঠিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গে স্বাস্থ্য ও বলের ঐ–এই সকলের সমাবেশই গ্ৰীকৃশিল্পীর সৌন্দৰ্য্যকল্পনায় আদর্শ। সামঞ্জস্ত ও সম্পূর্ণতা—এতন্থভয়েই গ্ৰীকৃশিল্পরচনার সৌন্দর্ঘ্য । প্রসিদ্ধ প্রাচীন গ্রীক্শিল্পীদিগের রচিত নারীমূৰ্ত্তিতেও এই