পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] সৌন্দৰ্য্যকল্পনা । -

একই কল্পনা বিকশিত। নারীমূৰ্ত্তিতে পুরুষমূৰ্ত্তির দৃঢ়ভাব ও শক্তিচিন্ধের অভাব ; কিন্তু আদর্শ একই-—গঠন, সামঞ্জস্ত ও মাধুরী ( grace ), ইহাতেই সৌন্দর্য্যকল্পনা নিবদ্ধ । —সুন্দর মুখে বা অঙ্গবিশেষের বিশেষ বিকাশে বা গঠনবিশেষত্বে সৌন্দৰ্য্যকল্পনা প্রাচীন গ্ৰীকৃশিল্পরচনায় লক্ষিত হয় না। প্রাচীন গ্রীসে নিম্নস্তরের শিল্পে শেষোক্ত সৌন্দৰ্যকল্পনার আদর্শ দেখা যায়—উচ্চস্তরের শিল্পে তাহার প্রবেশাধিকার নাই । মৃৎপাত্রে এই নিম্নস্তরের শিল্প বিকশিত । কিন্তু প্রসিদ্ধ শিল্পীর রচনায় ও কল্পনায় উচ্চস্তরের শিল্পে স্বন্দর মুখই সৰ্ব্বস্ব নহে—দেহের সৰ্ব্বাঙ্গীন বিকাশ —গঠনসামঞ্জস্ত সৌন্দর্যের আদর্শ বলিয়া পরিগণিত। যে জাতি ব্যায়ামচৰ্চার সৰ্ব্বোচ্চ পুরস্কারই চরম যশ বলিয়া বিবেচনা করিত, যে জাতি ব্যায়ামচৰ্চাকে ধৰ্ম্মের অঙ্গ করিয়া তুলিয়াছিল, ষে জাতির নারীরাও উলঙ্গ হইয়া ব্যায়ামচৰ্চা করিত, সে জাতির পক্ষে সৌন্দর্য্যের এই আদর্শ ই স্বাভাবিক ও সঙ্গত । কীটুস এই কল্পনাই কবিতায় প্রকাশ করিয়াছেন —“ষে সৌন্দর্য্যে শ্রেষ্ঠ, সে যে শক্তিতেও শ্রেষ্ঠ হইবে, ইহাই সনাতন निब्रभ” ** প্রাচীন গ্রীস হইতে প্রাচীন রোমের সৌন্দৰ্য্যকল্পনার আলোচনা করিলে দৃষ্ট হইবে, প্রাচীন রোমের সৌন্দর্ঘ্যের আদর্শ প্রাচীন ত্রীসের আদর্শ হইতে ৰে-পরিমাণভিয়, বর্তমান শীদশের দিকে সেই-পরিমাণ অগ্রসর । শারীবিক বিকাশের যে আদর্শ প্রাচীন গ্রীসে দেখা গিয়াছে, সে জাদর্শ তখনও অক্ষু , প্রভেদ এই যে, গ্ৰীকৃগণ নরদেহে ও নারীদেহে সেই আদর্শের বিকাশপ্রয়াসী হইত ; প্রাচীন রোমানদিগের নিকট তাহ নারীদেহেই নিবন্ধ-পুরুষের শারীরিক বলই সৰ্ব্বস্ব, শারীরিক সৌন্দৰ্য্য অনাবশুক । প্রাচীন রোমানগণের মতেও মুখই সৌন্দর্য্যভাণ্ডার নহে ;–কোন বিশেষগঠনের আনন সমধিক আদৃত নহে। রোমান স্থাপত্যের পদে পদে ইহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। প্রমাণস্বরূপে বলা যাইতে পারে, মৈশরী ক্লিওপেট্রার স্বন্দরীখ্যাক্তি অপেক্ষাকৃত আধুনিক। নবীনচন্দ্র ক্লিওপেট্রার কথায় বলিয়াছেন—“কল্পনা-অতীত রূপ নহে চিত্ৰণীয়।” প্রতীচ্য সাহিত্যে পদে পদে ক্লিওপেট্রার স্বন্দরা-খ্যাতি। “অসংখ্য প্রস্তরে, পটে, কাব্যে, ইতিহাসে” সে রূপ লিখিত। কিন্তু সমসাময়িক মুদ্রায় মৈশরীর ষে প্রতিকৃতি দৃষ্ট হয়—তাহাতে তাহার স্বন্দরীখ্যাতি একান্তই ভিত্তিহীন--নিতান্তই কবিকল্পনা । বিস্ময়ের বিষয় এই যে, সিজারের মত নারীসৌন্দৰ্য্যাভিজ্ঞও তাহার প্রভাবমুক্ত হইতে পারেন নাই ; আণ্টনীর মত বহুভোগরত, উচ্ছৃঙ্খল চরিত্রহীনও তাহার মোহমুগ্ধ হুইয়। তাহার আলিঙ্গনকে স্বৰ্গস্থখ বোধ করিয়া বলিয়াছিলেন — - , “Let Rome in Tiber melt, and the 'wide afoh Of the rang'd empire fall ! Here is my spacз. Kingdoms are clay : our dungy earth alike, Feeds beast as man : the nobleness of

  • life Is, to do thus ; when such a mutual so

pair