سيمو grown from within, a style which expresses in itself what the people, for whom and by whom, it was designed, thought, and felt, and meant, and not what was supplied to them by aliens in creed, colour and race.” হিন্দুশিল্পগ্রন্থের প্রাচুর্য্য ও বিবিধ গ্রন্থে তাহার শিল্পরচনার নিয়মের বিষয় জানিতে ইচ্ছুক পাঠককে রামরাজের Architecture of the Hindus" cois রাষ্ণুেঞ্জলাল মিত্রের Antiquities of Orissa গ্রন্থদ্বয় পাঠ করিতে অনুরোধ করি । বুদ্ধগয়া ও বারহুতের বৃতিতে (২০০ খৃঃ পূঃ ) বিকশিত ভাস্কৰ্য্য বিজাতীয় প্রভাবের লেশমাত্রবজ্জিত-হিন্দুশিল্পের স্বাতন্ত্র্যচিত্ত্বাঙ্কিত । সার্থীর তোরণ বিচিত্রভাস্কৰ্য্যভারাক্রান্ত। বুদ্ধের জীবনের ইতিহাসের বহু চিত্র ব্যতীত, সেই সকল তোরণে আহার, পান বা প্রেমালাপে রত মানব ও মানবীরও অভাব নাই । গান্ধীর ও পশ্চিম পাঞ্জাবের শিল্পে যদিবা বিজাতীয়প্রভাবকল্পনার অবকাশ থাকে. বোম্বাই হইতে, উড়িষ্যা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত অংশের শিল্প বিজাতীয় বা বিদেশীর প্রভাবলেশ বৰ্জ্জিত। এই সকল শিল্পস্বৰ্ণষ্টতে বিজাতীয় বা বিদেশীয় প্রভাব কল্পনার সম্ভাবনা নাই, সুতরাং এই সকল শিল্পরচনার আলোচনা করিয়া প্রাচীন ভারতের সৌন্দর্য্যের আদর্শ বুঝিবার চেষ্ট৷ করাই সঙ্গত । এই সকল শিল্পরচনা হইতে প্রাচীন ভারতের সৌন্দর্য্যের আদর্শ বুঝিতে বিলম্ব ঘটে না । রমণীই যে প্রাচীন ভারতের সৌন্দর্য্যের আদর্শ, তাঞ্ছাতে আর সন্দেহ ৰঙ্গদর্শন । [ ৩য়:বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । করিবার অবকাশ নাই। পুরুষমূৰ্ত্তিরচনায় শিল্পী কোথায়ও স্বভাবকে অতিক্রম করেন নাই, সৰ্ব্বত্রই স্বভাবের অনুগমন করিয়াছেন। কিন্তু নারীমূৰ্ত্তিরচনায় জাহ। হয় নাই, সেখানে সৌন্দর্য্যরচনার সচেষ্ট চেষ্টায় কল্পনা বাস্তবকে অতিক্রম করিয়াছে, কবিপ্রসিদ্ধির মায়াশিল্পীকে দেহের কোন কোন অংশের রচনাকালে প্রাকৃতিক সামঞ্জন্তের প্রতুি অন্ধ করিয়াছে। হিন্দুশিল্পীর নারীমূৰ্ত্তিতে স্তন স্বাভাবিক হইতে পীনতর, নিতম্ব স্বাভাবিক হইতে খুতর, কটি স্বাভাবিক হইতে ক্ষীণতর এবং নয়ন স্বাভাবিক হইতে দীর্ঘতর। এই সকল বিশেষত্ব কোথাও অপেক্ষাকৃত অল্প, কোথাও অত্যন্ত অধিক—কিন্তু প্রায় সৰ্ব্বত্রই বিদ্যমান । রাজা রাজেন্দ্রলাল উড়িষ্যার শিল্পসম্বন্ধে এ কথা অস্বীকণর করিতে পারেন নাই। কিন্তু তিনি বলিয়াছেন, যে সকল শিল্পরচনায় এই সকল আতিশয্য লক্ষিত হয়, সে সকল উড়িষ্যার শিল্পের উৎকৃষ্ট রচনা নহে । কিন্তু তিনি যাহাকে উৎকৃষ্ট বলিয়াছেন, জাহার সংখ্যা একান্ত অল্প । এইরূপ আতিশষ্য প্রায় সকল নারীমূৰ্ত্তিতেই বিদ্যমান ; তবে c*[«Īīs «ststroe “Full swelling luxurious softness of forms” sforst afst করা যায়–অষ্টজ তাহাকে স্বভাবের ব্যতিক্রম ব্যতীত অন্ত কিছু বলা যুঃসাধ্য হইয়া উঠে। বঙ্কিমচন্দ্র উড়িষ্যার এই সকল নারীমূৰ্ত্তিকে “পীবরযৌবনভারাবৃনতা” বিশেষণে বিশেষিত করিয়াছেন। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই যে, এই পীবরক্ত স্বভাবকে অতিক্রম করিয়া-গিয়াছে ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।