পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১শ সংখ্যা । ] কুনানন্দিনীর প্রতি র্তা র পরুষ ব্যবহারে । এ স্থলে তাহার এরূপ ভ্রাস্তির অতি স্বাভাবিক কারণ ও ছিল । সে কারণের অতিক্রম, অতিমাণ্ডুষিক চিত্ত্বশক্তিপ্রকাশক হইলেও, বুঝি বা পতিগত প্রাণার প্রকৃতিবিরুদ্ধ হইত। স্বামী কর্তৃক এ সম্বন্ধে fজ জ্ঞাসিত হইয়া, এই রমণীরত্ন আপনার হৃদয়সৌন্দর্যের যে পট বিকাশ করিয়াছেন, সে দৃশু আমরা এখানে উদ্ধত না করিয়া থাকিতে পরিলাম না ;—স্বৰ্য্যমুখীকে নিভৃতে লষ্টয়া গিয়া নগেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “ তুমি কি হীরাকে বিদায় দিয়াছ ?” স্বর্যমুখী বলিগেন, “দিয়াছি।” অন স্তুর হীরা ও কৌশল্যার সুস্থান্ত সবিশেষ বিবৃত করিলেন । শুনিয়। নগেন্দ্র বলিলেন, “মরুক্‌। তুমি কুন্দনন্দিনীকে কি বলিয়াছিলে ?” নগেন্দ্ৰ দেখিলেন, স্বর্য মুগীর মুখ শুকাইল, সূর্যমুখী অর্কুটস্বরে বললেন, “কি বলিয়ছিলাম ?” নরেন্দ্র ।” কোন দুৰ্ব্বাক্য ? স্বৰ্য্যমুখী কিয়ৎক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রছিলেন । পরে যাই বলা উচিত, তাছাই পলিলেন । বলিলেন, “তুমি আমার সরস্ব । তুমি আমার ইহকাল, তুমি আমার পরকাল । তোমার কাছে কেন আমি লুকাইব ? কখনও কোন কখ! তোমার কাছে লুকাই নাই, আজ কেন একজন পরের কথা তোমার কাছে লুকাইব ? আমি কুন্দকে কুকথা বলিয়াছিলাম। পাছে তুমি রাগ কর বলিয়া তোমার কাছে ভরসা করিয়া বলি নাই । অপরাধ মার্জন করি ৪ । আমি সকল বলিতেfছ ।” 6t সূৰ্য্যমুশ । tళున তখন স্বৰ্য্যমুখী হরিদাসী বৈষ্ণবীর পরিচয় বইতে কুন্দনন্দিনীর তিরস্কার পর্য্যন্ত অকপটে সকল বিবৃত বলিয়া শেষ বছিলেন, আমি কুন্দনন্দিনীকে তাড়াইয়া বস্থাপনার মরমে আপ’ন মরিয়া আছি, দেশে দেশে তাহার তত্ত্বে লোক পাঠাইরছি । যদি সন্ধান পাইতাম, ফিরাইয়া আনিতাম । আমার অপরাধ লই ও না ।” নগেন্দ্র তখন বলিলেন, “তোমার বিশেষ অপরাধ নাই, তুমি যেরূপ কুন্দের কলঙ্ক শুনিয়াছিলে, তাহাতে কোন ভদ্রলোকের স্ত্রী তাহাকে মিষ্ট কথা বলবে, কি ঘরে স্থান দিবে ? কিন্তু একবার ভাবিলে ভাল হইত যে, কথাটা সত্য কি না ?” স্থর্য । তখন সে কথা ভাবি নাই। এখন ভাবিতেছি । ন । ভাবিলে না কেন ? স্বৰ্ঘ্য । আমার মনের ভ্রাস্তি জন্মিল্পীছিল, বলিতে বলিতে স্বর্যামুণী—পতিপ্রাণা সাধবী নগেন্ধের চরণ প্রাস্তে ভূতলে উপবেশন কfরলেন, এবং নগেন্দ্রের উভয় চরণ দুই হস্তে গ্রহণ করিয়া নম্ননজলে সি ক্র করিলেন । তখন মুখ তুলি বলিলেন, “প্রাণাধিক কথা এ পাপ মনোর ভিতর থাকিতে তোমার কাছে লুকাইব না। আমার অপরাধ লইবে না ?” নগেন্দ্র বলিলেন, “তোমাঙ্গ বলিতে হইবে না। আমি জানি, তুমি সন্দেহ করিয়াছিলে যে, আমি কুন্দনন্দিনীতে অনুরক্ত ।” স্বর্য মুখী নগেন্দ্রের যুগলচরণে মুখ লুকাইয়া কাদিতে লাগিলেন। আবার সেই শিশিরদিক কমলতুল্য ক্লিষ্ট মুখমণ্ডল উন্নত করিলেন । তুমি । কোন