পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা । ] ইহাতে জানিতে পারিত্বে যে, আমি কত ছুঃখে সর্বত্যাগিনী হইতেছি।” ( 8 ) “তোমার কাছে জন্মের মত বিদায় হুইলাম, আশীৰ্ব্বাদ করি, তোমার স্বামী পুল দীর্ঘজীবী হউক, তুমি চিরসুখী হও । আরও আশীৰ্ব্বাদ করি যে, যে দিন তুমি স্বামীর প্রেমে বঞ্চি ত হইবে, সেই দিল যেন তোমার আয়ুঃশেষ হয় । আমায় এ আশীৰ্ব্বাদ কেহ করে নাই ।” উদ্ধৃত প্রথমাংশে সুর্য্যমুখী তাহার গৃহত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করিয়াছেন—সে কারণ র্তাহার স্বামী কুন্দনন্দিনীর হইলেন, তাহা চক্ষে দেখিবার তাহার অক্ষমতা, পতিগত প্রাণ, পতিস র্বস্ব। রমণী স্ত্র প্রকৃতি গত কারণ, তাহার অন্যথাভাব স্বভাববিরোধী। কাহার প্রতি ঈর্য বা রাগ তিল পরিমাণেও তাঙ্গাকে এ গৃহত্যাগকার্য্যে প্রণোদিত করে নাই, কুন্দনন্দিনীর প্রতি র্তাহার কিছুই ঈর্ষা ছিল না, এ কথা তিনি, গৃহে প্রত্যাগত হইয়া, স্বামী সঙ্গে পুনৰ্ম্মিলনের পর, নিজের কথা ও কার্য্য স্বারাই স প্রমাণ করিয়াছেন । তিনি অগপনার উদ্যোগে, কমলকে সঙ্গে করিয়া কুন্দকে দেখিতে গেলেন, বলিলেন "সে আমার কাছে কোন দোষ করে নাই—ব। তাহার উপর আমার রাগ নাই । সে অামার এখন কনিষ্ঠ ভগিনী।” কুন্দের গৃহে প্রবেশ করিয়া, কুন্দ বিষপান করিয়াছে দেখিয়া, রোদন করিতে লাগিলেন, বলিলেন, “আমি এত দিনে জানিলাম, আমার কপালে এক निcनब्र१ ५९ मां३-मङ्कवा च्यागि आiषाद्र সুৰ্য্যমুখী । (, 《 সুখী হুইবামাত্রই এমন সৰ্ব্বনাশ হইবে কেন ?” কি সুন্দর কথা ! কি সুন্দর ভাব ! স্বৰ্য্যমুখী-হৃদয়ের মহৰ কি সুন্দর প্রকটিত হইয়াছে ! স্বামীর প্রতি রাগ করিয়া যে স্বৰ্য্যমুখী গৃহত্যাগ করেন নাষ্ট, উদ্ধ ত তৃতীয়াংশে তাহা স্পষ্টীকৃত। বরং তাছার পরবর্তী কথায় ইহাই প্রকাশ হইয়াছে যে, তাহার গৃহত্যাগে তাহার স্বামী র্তাহার প্রতি রুষ্ট হুইরছেন ভাবিয়া তিনি স্বামীর নিকট আপনাকে অপরাধিনী মনে করিয়াছিলেন । গৃহত্যাগসময়ে অন্ত ভাবের প্রাবল্য হেতু এ চিন্তা তাহার হৃদয়ে স্থানধিকার করিয়া না থাকিলেও, পরে সে চিন্ত। তাহীর মনঃক্লেশের কারণষ্ট হইয়াছিল । এই অংশে, স্বৰ্য্যমুখী কত উচ্চাঙ্গের পত্নী ও রমণী, তাহীর পতিভক্তি সাধারণ রমণীর পতিভক্তি হইতে কত উচ্চে স্থাপিত, তাহও প্রদর্শিত হইয়াছে। কবি র্তাহার প্রেমূহরাগের প্রকৃতি ব্যাখালে ੪੧ੋਂ স্থায়ী এবং অতি উচ্চ বলিয়। বর্ণন করিয়াছেন। স্বর্যমুখীর পতিপ্রেম সেই গুণন্তৰ্ভূতি হইতে উৎপন্ন, এবং স্বামীচরিত্রে যে দুর্বলতf সাধবী রমণীর পক্ষে সাংঘাতিক, স্বৰ্যমুখীর তদৃষ্টের ফেয়ে তাহার স্বামীতে সেই দুৰ্বলতার উদ্ভব হওয়াতেও তাকে স্বামীচরিত্রের মূগাবধারণে সমর্থ করির, কবি তাগকে সাধবী রমণীগণ মধ্যে অতি উচ্চ স্থান প্রধান করিয়াছেন, উদ্ধৃত দ্বিতীয়:ংশের ভাব থর সহিত, এই রমণীরত্ন স্থানান্তরে স্বামীর তুলনায় আপনাকে যেরূপ অবহেলার পাত্রী বলিয়। প্রকাশ করিয়াছেন,- “তুমি পাপ श्रीभूौद्र छछ cप*७,ाश्री श्हेtद ? छूमि