한 어) বড় না আমি বড় ? --ত{হার মৰ্ম্ম সংযোগ কfরলে, দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার স্বামী র্তাগর হৃদয়ে কিরূপ স্থানাধিকার করিতেন, স্বামীর তুলনায় তাহার নিকট ইহ জগতে আর সকলই কিরূপ মূল্যহীন ছিল। উদ্ধত শেষাংশেও তিনি স্বামীর প্রেমে বঞ্চিত সাধ্বী রমণীর জীবনের নিরর্থকতা প্রকাশ করিয়াছেন । স্বৰ্য্যমুখীর গৃহত্যাগ, বোধ হয়, বঙ্গীয় পাঠকমণ্ডলীতে বিতণ্ডfর বিষয় হইয়াছে । এ গৃহত্যাগের প্রকৃতিনিহিত কারণের উল্লেখ স্বৰ্য্যমুখী নিজেই করিয়াছেন, এবং আমরাও সংক্ষেপে তাহার ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিয়াছি । নগেন্দ্রনাথ ও কমলমণির সহিত স্বর্যমুখীর কথোপকথন উদ্ধ ত করিয়া পাঠকসমীপে স্বৰ্য্যমুখীর প্রকৃত বিকাশে আমরা যত্ন পাইয়াছি। কবিও প্রধানতঃ উল্লিণিত বাক্যালাপ দ্বারাই সে প্রকৃতির જિાનં. সাধন সম্পাদিত করিয়াছেন। স্বগাম্বরে, কমলকে পত্র লিখিতে স্থৰ্য্যমুখী বলিয়াছেন, “পুথিবীতে যদি আমার কোন মুখ থাকে, তবে সে স্বামী ; পৃথিবীতে যদি আমার কোন চিস্ত থাকে, তবে সে স্বামী ; পৃথিবীতে যদি আমার কোন কিছু সম্পত্তি থাকে, তবে সে স্বামী, x * * * * পৃথিবীতে আমার যদি কোন অভিলাষ থাকে, তবে সে স্বামীর স্নেহ ; * * * * ।” আমরা ও, “পতিগত প্রাণ,” “পতিমাত্রজীবিত”, “পতিসৰ্ব্বস্ব।”, ইত্যাকার বিশেষণ দ্বারা, সেই ভাবই প্রতিফলিত করিতে প্রয়াস পাইয়াছি। স্বামী সম্বন্ধে এরূপ ভাবাধিকৃত হৃদয়ে, স্বৰ্য্যমুখী তাহার একান্ত ৰঙ্গদর্শন । ১০ম বর্ষ,ফান্তন, ১৪১৭ ৷ বাঞ্ছি ত পতিপদসেবা অন্যাধিকৃত দেখিয়t, অবিচলিত চিত্তে থাকিতে পারিলে, আমাদের বিবেচনায়, তাহার ভাবের পূর্ণত। প্রমাণিত হইত না, সে ভাবের সার্থক তার, তাহার সম্যক আন্তরিক তার, অভাব অনুমিত হইতে পারিত। কেবলমাত্র গ্রাণ ত্যাগ দ্বারা হুর্য্যমুখী সে সংশয়ের নিরীকরণ করিতে পাfরতেন । কিন্তু আত্মহত্যা তাহার গাম্ভীৰ্য্য-গৌরবের হানিকর হইত, তাহার ধীর সহিষ্ণুপ্রকৃতির সহিত অসঙ্গ ত হইত, র্তাহীর পতিপণসেবার লালসার ও অজেয়ত্ব প্রতিপাদিত হইত না । মনুষ্য প্রকৃতি সম্বন্ধে প্রভূতজ্ঞানসম্পন্ন, স্বক্ষণশী কবি সুতরাং আত্মহ ত্যার ব্যবস্থ করেন নাই, তিনি সঙ্গতি রক্ষার জন্য অক্টোপায়াবম্বন করিয়াছেন। আবার সে উপায়াবলম্বনও তাহর কৌশল বুদ্ধ সমুদ্ভুত । সূৰ্য্যমুখীর গৃহত্যাগের অর্থ স্বাধীনভাবাবলম্বন নছে, তাহার অর্থ প্রাণপচয়ের আয়োজন। এ গৃহ ত্যাগের মূলে স্ত্র সুলভ অভিমান ছিল না, এ কথ। বলা সহজ নহে ; কিন্তু সে অভিমানের অর্থ স্বামীর উপর রাগ নহে, তাহার অর্থ আপনার দুর্ভাগ্যজ্ঞানে আত্মনিগ্রহ, দুঃখভোগের জন্য উদ্যোগ। সুতরাং ইহাতে দোষালহ কিছু নাই ; অথচ গৃহ ত্যাগ করিয়া স্বৰ্য্যমুখীর প্রমাণ করিবার অবস্থা হইয়াছিল যে, তিনি কোন অবস্থাতেই স্বামীমুখদর্শন ও স্বামীপদসেব ব্যতীত জীবন ধারণ করিতে পারিতেন না। র্তাহার গৃহত্যাগে নগেন্দ্রনাথের ও র্তাহার ভার্য্যাবৎসলতা প্রমাণ করিবার সুবিধা হইয়াছিল, অন্তরূপে নগেন্দ্রের সে ভাব অত উজ্জ্বল বর্ণে প্রকটি ত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।