8వీ: কfরয়া স্বরসংধে:ংগ প্রশস্তি পাঠ করিয়া, সেই পুরাতন দেব ভূমিকে আবার সংস্কৃত শ্লোক পাঠে মুখরিত করিয়া তুলিলেন । আবার,—fকন্তু কতদিন পরে, – সেখানে দেবভাষায় হুগলিত রচনা-মাধুর্য উচ্ছ,সি ত হইয়া উঠিল । ভখন ক্ষণ কালের জন্ত "সেকাল" যেন কালের ব্যবধান অতিক্রম করিয়া, প্রত্যক্ষবৎ প্রতিভাত হইতে লাগিল, রচন-কৌশলের অমোঘ মাহীত্ম্যে প্রদ্যুম্মেশ্ববের মন্দির, মন্দির মধ্যস্থ দেবমূৰ্ত্ত, তাহার বসন-ভুষণ, তাহার অর্চনা-আরাধন, সকলই যেন এক সঙ্গে উদ্ভাসিত হইয়। উঠিল । সরোবর নুতন শোভায় বিকশিত হইল, তাহার তীরভূম যেন নুপুঃশিল্প:ন মুখরিত হইয়া গেল । যখন প্রশস্তি-পাঠক সকলকে বুঝাইয়। বুঝাইয়া শুনাইতে লাগিলেন,—এই সেই স:াবর, যেখানে পুরাঙ্গনাগণের স্তনচন্দনসৌরড়ে উচ্ছণিত মধুকর নকর নিতান্ত বিভ্রান্ত হইয়া, জলের উপর নিরস্তর সঞ্চরণ করিয়া বেড়াইত ;–এই সেই সরোপুর, যাহার পাতালপশী তলদেশ নাগরণীর মুকুটমণির স্নিগ্ধজ্যোতি বিচ্ছুরিত করিয়া দ্বিত ;–এই সেই সরোবর, যাহার শীতল সলিলে আকণ্ঠমগ্ন পুরাঙ্গনাগণের অঙ্গজ্যোতি আবৃত হইয়াও, সমধিক বিকশিত হইয়। উঠিত ; তথন সহসা মনে পড়িয়া গেল, আঙ্গ দোলপূর্ণিমা ! এই দিনে, এমন স্থানে, সেকালে না জানি কত আনন্দ, কত কৌতুক, কত কোলাহল সরোবর তীরকে লালে লাগ করিয়া তুলিত । বগিতে না বলিতেই ব্যবস্থাকুশল ভূতগণ পাবার-তণ্ড উপস্থিত বঙ্গদর্শন । 9. [ ১০ম বর্গ, পৌষ, ১৩১৭ ' করিল। তখন আর গুরুলঘু বিচারের অবসর রহিল না। অনেক দিনের পর, প্রজুয়েশ্বরের সরোবরতীর আবার অধীরে লালে লাল হইয়া গেল । তখনকার সাহিত্যিকগণের শোভা—তাহাদের কলহকৌতুক, তাহদের মধ্যে কাহারও কাহারও সরোবরে অবতরণ করিবার একান্ত আগ্রহ, -- কেবল অনুভূতির বিষয় হইয়া, সুখের স্মৃতিকে মধুময় করিয়া রাখিয়াছে। তজ্জন্ত উমাপতি ধরের সেই সুরচিত শ্লোক এখনও থাকিয়! থাকিয়া বন্ধু ত হইয়। উঠতেছে । বিলেশয়বিলাসিন-মুকুটকেটে হ্রাস্তুরফরৎকিরণযঞ্জরাচ্ছারতবারিপুং পুত্ৰ । চধান পুরবৈরিখঃ সঙ্গলমগ্নপেীরাঙ্গনস্তনৈণধদসৌরভো চলিতচঞ্চরীকং সরঃ ॥ বিশ্বপি আত্মপ্রকাশ করিলে, চিরাভ্যস্ত পূজার মন্ত্র বিস্তৃত হইতে হয়, হাতের পুপাগুলি স্থলিত হইয়া পড়ে, পাদপদ্মে অৰ্পণ করিবার প্রয়োজন অষ্ট্রভূত হয় না, অমু ভূ৩িই অৰ্চনার সকল অঙ্গ অধিকার করিয়া লয় । তথন আর স্থানকালের ব্যবধান অন্তরায় হইতে পারে না। সরোবর তীরে সাহিত্যিকগণ কি দেখিয়ছিলেন, জানি না ; স কলেহু আত্মবিশ্বত হইয়। পড়িয়ছিলেন । তখন ভগবান মরীচিমালী মধ্যগগনে চরণ সঞ্চর করিয়া, ত্রিবিক্রম নামের পরিচয় প্রদান করিতেছিলেন ; তথাপি সাহিত্যিকগণের উংসবানন্দ বাধা প্রাপ্ত হয় নাই । জানাহারের পর, অত্যন্ন কাল বিশ্রাম লাভ করিয়া, সাহিত্যিকগণ দুই দলে বিভক্ত হইগেন। এক দল পদব্রজে পুনরায় খননকাৰ্য্যের পর্যবেক্ষণে নিযুক্ত হইলেন ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।