৬ষ্ঠ সংখ্যা ] , অতি মধুর স্বরে মেঘদূতের নিম্নলিখিত শ্লেকাদ্ধ পাঠ করিতেন । , “যেখালোকে ভবতি সুখিনেহপ্যন্তথfবৃত্তিচেতঃ কণ্ঠাশ্লেৰপ্ৰণয়িনি জনে কিং পুনর্দুরসংস্থে ॥” আমরা তাছার জীবনের রহস্ত কিছু বুঝিতে পারিতাম না । তখনও নবদ্বীপে টোলের সংখ্যা নিতাস্ত অল্প নয় । গঙ্গাস্নানে ধাইবার সময় প্রায়ই দল বাধিয়া যাইতে হুইত, প্রায়ই পথের মধ্যে কি গঙ্গার ঘাটে তর্ক-বিতর্ক হইত। সাপ্লংকালে গঙ্গাতীরে যাইবার সময় ও ঘোরতর তর্ক-বিতর্ক হইত । প্রতিপদ, চতুর্থীর রাত্রি, অষ্টমী, ত্রয়োদশীর রাত্রি প্রভৃতি অনধ্যায় কালে আমরা বাঙ্গালী হইতে সংস্কৃতানুবাদ ও সংস্কৃত কবিতা রচনার চেষ্টা করিতাম । কোন কোন দিন অঙ্গ টোল হইতেও অধিক বয়স্ক ছাত্রেরা আসিয়া আমাদিগকে উদ্ভট কবিতা শুনাইতেন । আমাদের ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় সে সময়ে নবদ্বীপের প্রধান কবি । আমরা তাহার রচিত কবিতারও আলোচনা করিতাম । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অত্যন্ত উদারচরিত ছিলেন, তিনি যেমন দয়ালু তেমনি নিল্লে ভি, লোকে তাহাকে একটু ক্রোধী বলিত, কিন্তু অতটুকু ক্রোধ না থাকিলে লোকে গ্রাহ করিবে কেন ? তাহার যথেষ্ট গাম্ভীৰ্য্য ছিল, তিনি চতুষ্পাঠীতে পদার্পণ করিলেই সেই ছাত্র-কলরবে মুখরিত চতুষ্পাঠী যেন “নিবাতনিষ্কম্পমিব প্রদীপমূ” হইত। নবদ্বীপের সকল ছাত্রই গবর্ণমেণ্টের বৃত্তি পাইতেন। এতদ্ভিন্ন ভট্টাচার্য মহাশয় গরিব ছাত্রদিগকে বৃত্তি ব্যতীত মাসিক দুইএক টাকা করিয়া সাহায্য করিতেন। তাহার ক্ৰোধ ছিল
- २tछे, फिरू লে ক্ৰোধ অধিকক্ষণ স্থায়ী হইত.
শিরেীরত্ব মহাশয়ের চতুষ্পাঠী । ᎦᏬ Ꮼ না। আমরা দেখিয়াছি তিনি অত্যন্ত ক্রোধান্ধ হুইলেও, তিনবার কাছ ঝাড়িয়া কাছ দিলেই র্তাগর সমস্ত ক্ৰোধ অস্তৰ্হিত হইত। একবার ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় পড়াইয়৷ কেবল বাট যাইবেন এমন সময় চাউল বোঝাই গরুর গাড়ীর ধাক্কা লাগিয়া টোলের কঞ্চির বেড়ার কতকাংশ ভাঙ্গিয়া ষায় । সংবাদ পাইৰা মাত্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহাকে ডাকিয়া আনিলেন । তাছার উগ্ৰমূৰ্ত্তি দেখিয়াই গাড়েপ্লানের প্রাণ উড়িয়া গেল । সে হতভম্বের দ্যায় দাড়াইয়া রহিল । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহাকে একবার হাত উচু করিয়া মারিতে যান, আবার পিছাইস্থা আসেন, এইরূপ বার তিনেক করিয়া তাহার পর ফুলের সাজি বেলতলায় রাখিয়া আবার কি মনে হুইল, হাত উচু করিয়া গিয়া ফিরিয়া আসিলেন, তাহার পর একবার কাছ ঝাড়িয়া কাছ দিলেন । আবার বকিতে বকিতে কাছ বাড়িয়া কাছ দিলেন । তখন ছাত্রেরা চুপে চুপে বলিতে লাগিল, আর একটবার কfছ ঝারিলেই বেচার নিস্তার পায় । সত্য সত্যই আর এক বার কাছ ঝারিয়া যখন কাছ দিলেন, তখন তাহার পুনরায় পূৰ্ব্বৰৎ সৌম্যভাব লক্ষিত হইল, বললেন “যা বেট। যা আর কখনও বেড়া ভাঙ্গিস না, সকালে কিছু খেয়েছিল ?” গাড়োন্নান বলিল “ঠাকুর মশাই খাব কি ? শেষরেতে গাড়ী ছেড়েছি, নদের বাজারে যাব, চাউল বেচব তবে ভো পয়সা পাব।” ঐ কখা শুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য । মহাশর টেক থেকে তিনটা পয়লা কেলিং ংি নিলেন "ৰা মুড়ি সুড়কী টুনে १ttश्नं (** - -
- . . . గ్య ' ' . . . .