পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] বাঙ্গালী মাসিকপত্র बिडिब्र, थक्कe বিভিন্ন ; তথাপি সাধারণ মাসিকপত্রে যাহাতে নানা বিষয় লিখিত হইয়া থাকে, তাহাতে অধিকাংশ পাঠকের উপযোগী প্রবন্ধ থাকা বাঞ্ছনীয়। লেখকৰৰ্গ একটা ‘কথা স্মরণ রাখিলে ভাল হয়,-পুস্তকে যাহা চলে সাধারণ পাঠকের উপযোগী মাসিক-পত্রে তাহা প্রায়ই চলে না । গোড়া হইতে পড়িয় গেলে হয় ত যাহা বোধগম্য হইবে, তাহার মাঝখান হইতে কিয়দংশ পৃথক্ করিয়া লইঞ্জা পড়িলে দুৰ্ব্বোধ্য হইয়া পড়ে। এমন লিখিতে হইবে, যে, পাঠক সে বিষয় কিছু না জানিলেও তাঁহা মোটামুটি বুঝিতে পরিবেন, আর যিনি জানেন, তিনিও সে বিষয়ট নূতন ধরণে দেখিতে পাইবেন । বিষয়বিশেষের পত্রে যাহা চলে, নানা বিষয়ের পত্রে তাহ না চলিবার কথা। প্রত্যেক প্রবন্ধ সম্পূর্ণ হইলে ভাল হয় ; যদি এক প্রবন্ধে সম্পূর্ণ না হয়, দ্বিতীয় প্রবন্ধ এমন লিখিতে হইবে । যেন তাহাই, সম্পূর্ণ। অর্থাৎ একটা পড়িবার সময় অপরটাতে কি ছিল তাহা মনে রাখিতে না হয় । মাসিক-পত্রের প্রবন্ধের ইহাই বিশেষত্ব। একটা ভাব, একটা তত্ত্ব, একটা যা-কিছু, তাহ ধরিয়া রাখিতে হয়, ছাড়াষ্টয়া গেলে পাঠকের ধৈর্য থাকে না। যদি উপন্যাস, ইতিহাস প্রভৃতি দীর্ঘ বিষয় মাসে মাসে প্রকাশ করিতে হয়, তবে প্রথমে কতদূর কি বলা হইaাছে, তাছার সংক্ষিপ্তসার প্রবন্ধের আস্তে দেওয়া কৰ্ত্তব্য । শুনিয়াছি, কলিকাতায় ভোজনের নিমন্ত্রণে ভোজন না করিলেও চলে, অল্পব্যঞ্জন পরিभू**ाज वृष्टि कब्रिह आप्ताजम जेखन इहेबांटाइ ৪৭৩ : বলিলে নিমন্ত্রণরক্ষা হয়, নিমন্ত্রণকৰ্ত্ত ঐ কৃতার্থ হন । কিন্তু “উচ্চশ্রেণী”র এই সামাজিক ব্যবহার মধ্য ও নিম্নশ্রেণীতে পোষায় না । এই শ্রেণীর লোক ভোজনের নিমন্ত্রণে ভোজন করিতে চায়, দর্শনে কিংবা আস্ত্ৰাণে তৃপ্ত কয় না । সম্পাদক মহাশয় তাহার নিদিষ্ট পত্র বহুবিধ প্রবন্ধে পূর্ণ করিয়া পাঠকের সমীপে প্রেরণ করিলেন, শাক হইতে মিষ্টান্ন পৰ্য্যন্ত সবই উপস্থিত করিলেন, পাঠক উচ্চশ্রেণীর হইলে উত্তম হইয়াছে বলিয়া গাত্ৰোথান করেন, মধ্য ও নিম্নশ্রেণীর হইলে আসনে বসিরা রীতিমত ভোজনে প্রবৃত্ত হন । সামাজিক ব্যবহারে অজ্ঞ বলিয়া কখন কখন মুখ ফুটিয়া বলিয়া ফেলেন, এটা কাচা ওটা আলোনা। যেটায় দস্তক্ষুট না হয়, সেটায় কিন্তু নিজের দন্তের শিথিলতা কিংবা স্থলভ অকুমান করেন। মানবচরিত্রের এ এক আশ্চর্যা রহস্ত ! এই হেতু উৎকট বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ, কঠিন শঙ্করভাষ্য মাসিকপত্রে সাধারণ পাঠকের নিমিত্ত প্রেরিত হইতেছে । জানি না, সম্পাদক মহাশয় পাঠককে জিজ্ঞাসা করেন কি না,— আর কি চাই, ব্যঞ্জন উত্তম হইয়াছে ত ? পাঠক নিমন্ত্রিত বটেন, কিন্তু মূল্য দিয়া ভোজ্য ক্রয় করেন, সম্পাদক মুল্য লইয়া ভোজ্য বিক্রয় করেন। কেহ কিছু দান করেন না, কেহ কিছু দান গ্রহণ করেন না । সুতরাং সম্পাদক ও পাঠকের মধ্যে, বিক্রেতা ও. ক্রেতার সহানুভব থাকা স্বাভাবিক বোধ হয় । খিলাতে সাধারণ মাসিকপত্রেয় , সম্পাদক, পাঠককে সৰ্ব্বদ জিজ্ঞাসা করেন, আর কি ৷ চাই,কেমন ইৰাছে জিজ্ঞাসার নানা কৌশল