পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] “তোমারে জালিলে নাহি কেহ পর নাহি কোন মান, নাছি কোন ডর, সবারে মিলায়ে-তুমি জাগিতেছ দেখা যেন সদ। পাই । দুরকে করিলে নিকট বন্ধু পরকে করিলে ভাই ।** যাহাকে জানিলে সকলকেই জানা হয়— সকলকেই আপনার বোধ হয়, ভারতীয় সাধনীর পুণ্যফলে রবীন্দ্রনাথ তাছাকে জানিয়াছেন, তাই এই গান গাহিতে পারিয়াছেন । এ গান শুধু ভারতের গান নতে ; এ জগতের গান— বিশ্বমানবের গান । ংগ্রাম ও সংঘর্ষ প্রয়োজনীয় হুইলে ও স্থষ্টির একমাত্র নিয়ম নহে। মৈত্রী ও প্রেমই স্বষ্টি-চক্রের উচ্চতর নীতি । প্রবলের জয়, “যোগ্যতমের উদ্বর্তনে’ স্বার্থের পরিপুষ্টি হইতে পারে, কিন্তু কুৰ্ব্বলের প্রতি প্রেম অসহায়ের প্রতি প্রীতিতেই মানবত্বের পরিতৃপ্তি হয়। তাই ংগ্রাম ও সংঘর্ষে—স্বার্থের প্রতিযোগিতাতে মানব-সমাজ কখন তৃপ্ত হইতে পারে না । তাহাতে সুরাপানের উত্তেজন আনিতে পারে, অস্বাভাবিক উন্মাদনার উৎসাহ জন্মাইতে পারে, কিন্তু হৃদয়ে শাস্তি দিতে পারে না । মুরাপানীস্তে অবসাদের স্তায় কালে এমন একটা অবসাদ উপস্থিত হয় যে সেই সব আর ভাল লাগে না । তখন প্রাণ মহত্তর, উন্নততর, পবিত্রতর কিছু চায়। ইউরোপের আজ প্রায় সেই অবস্থ উপস্থিত হইয়াছে । ইউরোপ তাছার সভ্যতার কর্কশ কোলাহল, জীবনসংগ্রামের ভীষণ সঙ্গীত, বিলাস-লালসার সেই তীব্র হলাহল অtয় সহ্য করিতে পারিতেছে ন । তাহার অস্তরের অন্তরস্থল প্রেম ও ৰিখমৈত্রীর, ভ্যাগ ও আনন্দের গান শুনিবার जछ शांकूण रुहेब ॐब्रिांtइ । उांब्रङदर्ष রাডিয়ার্ড কিপলিং ও রবীন্দ্রনাথ 8ఫిలి হইতে রবীন্দ্রনাথ আজ সেই গান লইয়া ইউরোপের দ্বারে উপস্থিত হইয়াছেন । এই জন্তই বুঝি বিধাতা ঠাহাকে স্বাজাতোর গণ্ডী झाफ़ाहेब्रा विश्वमांनरबब्र ब्रांप्खाग्न भएषा श्रांश्नांन করিয়াছেন ; বিশ্বমানবের কল্যাণের জগুই রবীন্দ্রনাথকে দিয়া বীণার তার নুতন স্বরে বাধাইয়াছেন । পরিশ্রান্ত ইউরোপ উtহার গান বোধ হয় বুঝতে পারিয়াছে। যেটা সে চায়, তাহার মধ্যে সেইটারই যেন সে আভাস পাইয়াছে। তাই রবীন্দ্রনাথকে পাইয়া পাশ্চাত্যের এত আনন্দ--রবীন্দ্রনাথের সেথানে এ ত সস্বৰ্দ্ধন । বিশ্ব রাজ্যে কিছুষ্ট নষ্ট হয় न-किइरे অপব্যয় নাই । একদিন ষে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা গড়িয়া উঠিয়াছিল, তাহার মুখে যে, সকল মহাসত্য প্রচারিত হইয়াছিল, তাছা লুপ্ত পায়, বিস্তৃত প্রায় হইলেও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নাই । যে উন্ধেশুসাধনের জঙ্ক বিধাতা তাহাকে গড়িয়া উঠিতে দিয়াছিলেন, লে উদ্দেশু সাধন সে করিবেই। মানব-সভ্যতায় তাহার নূতন দান যাহা দিবার আছে, তাছা না দিয়া তাহার ফিরিবার উপায় নাই । সেই নূতন দান-সংগ্রামের স্থানে প্রেম, প্রতিযোগিতার স্থানে সহানুভূতি, ভোগ ও दिव्णानि हनि उ१ि s ंबङ्गांश्], खाङिংঘর্ষের স্থানে বিশ্বমৈত্রী। ভারতের রবীক্স নাথ আজ পাশ্চাত্য মানব-সভায় সেই গানই শুনাইতে আরম্ভ করিয়াছেন। ইহাতেই রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশেষত্ব, ইছাতেই ভারতের গৌরব । আর ইহার জন্ত শুধু ভারতবাণী কেন সমগ্র মানব-সমাজের তিনি কৃতজ্ঞতার পাত্র। - ঐ প্রফুল্লকুমার সরকার।