পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] দাড়াইয়াছিল যে জীবনট সংগ্রামমাত্র, আর সে সংগ্রামে সে-ই নিত্য পরাজিত । ঘৃণাই শেষে তাহার একমাত্র অস্ত্রস্বরূপ হইল ; সেই অস্ত্র গ্যালির নির্মাতন-শাণধন্ত্রে ক্ষুরধার করিয়া লইয়। কারামুক্তির দিন হইতে সংসারের সহিত যুঝিতে সে কৃতসংকল্প হইল । তুলিতে করেদীদের জঙ্গ বিদ্যালয় ছিল, ইচ্ছা করিলে কোন কয়েদী সেখানে মোটামুটি ধরণে শিক্ষালাভ করিতে পারিত ; জ্ঞানবৃদ্ধি দ্বার তাহার পতিহিংসা সাধনের পথ প্রশস্ত হইবে ভাবিয়া, চল্লিশ বর্ষ বয়সে জীন সেই বিদ্যালয়ে পবেশ করিল । সময়ে সময়ে শিক্ষা ও সভাতfই যত পাপের আকর হইয়া দাড়ায় । সমাজের বিচার শেষ করিয়া জীন সমাজকৰ্ব ভগবানের বিচার করিতে বসিল, এবং অবশেষে তাহাকে ও দোষী সাব্যস্ত করিল ; এইরূপে ১৯ বৎসর কারাবাসের মধ্যে তfচার জীবন আলো-অন্ধকারের বিচিত্র মিশ্রণে কাটিতেছিল। আসলে তাহীকে পাপস্বভাব বলা যায় না । গ্যালিতে প্রথম প্রবেশ কালে তাহার প্রকৃতি তোমার আমার মতই ছিল । সেখানে, নিৰ্য্যাতনের ফলে, সে যখন সমাজের উপর খড়গহস্ত হইল, তখন তাহার প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটল ; , ভগবানের ছায় বিচারে যখন সে সন্দিহান হুইল, তখনি তাহtর মন পাপপঙ্কিল হইল । কথাটা ভাবিয়া দেখা উচিত। মানক প্রকৃতি কি সম্পূর্ণভাবে এতই পরিবৰ্ত্তিত হইতে পারে ? ভগবানের স্বল্প মানুষকে কি মানুযে এত দীন করিতে পারে ? অক্সা ‘ক কৰ্ম্মফলাধীন হইয়া, মন গ্রহের ফেরে, আপনি কলঙ্কিত হইতে পারে ? বিশাল দুর্ভাগ্যের কাহিনী હ ૦ (R) মস্তিষ্কের ভারে মেরুদণ্ডের স্থায়, মামুষের চিত্ত কি গুপীকৃত ছঃখযন্ত্রণার ভারে প্ৰপীড়িত হইয়। বিক্কতাবস্থা প্রাপ্ত হইতে পারে ? প্রত্যেক মানবের আত্মীয়, জীন ভ্যালঙ্গীনের আস্বায়ু, —এমন কি কোন সহজাত অপাপ অনস্তের দিব্য বিভা নাই বা ছিল না, সৎকার্ষ্যের প্রতিফলিভালোকে যাহা ক্রমশঃ উজ্জ্বল হইতে উজ্জ্বলতর হইয় উঠে এবং পাপে যাহাকে কখনও সম্পূর্ণরূপে নিৰ্ব্বাপিত করিতে পারে না ? গ্যালির কৰ্ম্মের অবসর কালে এই সব কথাই তাহার মনে হইত। নীরব ভাবুকতার ছ:রাপাত সে সব সময়ে তাহার মুথে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িত । অবস্ত আমরা যে ভাবে ক্রমপর্য্যায়ে তাহার চিন্তার বিকাশ দেখাইয়াছি, সে ভাবে হয় ত জীন আপনার চিত্তকে দেখে নাই,— সে ভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার করিবার ক্ষমতা ও হয়ত তাঙ্কার ছিল না । কিন্তু এটা সত্য যে যেখানে সংশোধন অপেক্ষ শাস্তিপ্রদানের আগ্রগই অধিক পরি ফুট, সে বিচার মামুযের শ্রেষ্ঠ ভাবগুলিকে একে একে পদদলিত করিয়া মাতুষকে পশুবৎ করিয়াই তোলে। জীনের উপর্য্যুপরি পলায়নচেষ্টাই তাহার প্রমাণ —সে ব্যর্থ চেষ্টা মূখত। বই আর কিছু নয় তাহ" ত সে জানিত ; তত্ৰীচ সুযোগ পাইলেই, উন্মুক্ত পিঞ্জর হইতে ताप्खग्न छ:ब्र, cन कूच्चि श्रृंगाहेब्राप्झ.পরিণাম বা শাস্তির কথা এক বার ও ভাবিয়া দেখে নাই। —কেন ? তাহার সহজাতবুদ্ধি যেন তাহাকে বলিয়া দিত—‘পালা ৭ ; তাহার বুদ্ধি-বিচার তাঁহাকে বলিত—“থাক ।” কিন্তু এমন একটা প্রলোভনের কাছে তাহার