৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তাহা হইতে দূরে দূরে ছিল। শুধু একটা অতি ক্ষীণ আলোচিত্তের অৰ্দ্ধোন্মুক্ত বাতায়নের মধ্য দিয়া আসিয়া, যেন তাহার অস্তজীবনে প্রবেশ লাভ করিত মাত্র। মোট কথা,—ফ্যাবেরোল পল্লীর সে নিরীহ কাঠুরিয়া তুলিতে আসিয়া ভীষণ কয়েদীতে রূপান্তরিত হইয়াছিল। গ্যালির শিক্ষার ফলে দুইটি জিনিসে সে খুব অভ্যস্ত ইষ্টয়া উঠিয়াছিল ;– প্রথমতঃ, তাহার নির্যাতনের প্রতিহিংসাস্বরূপ একটা প্রকৃতিসিদ্ধ তীব্র আকস্মিক উত্তেজনায় ; দ্বিতীয়তঃ, তাহার অপেন বিবেক-বিচারানুমোদিত ভ্রান্ত চিন্তাপ্রস্থত পূৰ্ব্বাচন্ত্য কাৰ্য্যাকুষ্ঠানে । জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও এক গুয়েমি, এই তিন লইয়া তাহার পূৰ্ব্বচিন্তা গঠিত হইত ; এবং স্বাভাবিক বিদ্বেষ, আত্মার অন্ধকার, নির্যাতনের স্মৃতি ও প্রতিহিংসার ভাব ( তাঙ্গতে সাধু অসাধুর বিচার ছিল না )— এই কয়টি ভাবই তাহার কার্য্যের একমাত্র কারণস্বরূপ ছিল । কিন্তু নানবের রচিত আইনকানুনের প্রতি একটা বিজাতীয় বিদ্বেষ ঈ তাহার সকল চিস্তার মূলে অহরহঃ জাগিতে থাকিত । এই বিদ্বেষভাব, সময়ে দৈবঘটনার নিয়ন্ত্রিত না হইলে, কালে, স্বাভাবিক নিয়মের বশে, সমাজের প্রতি, পরে সমগ্র মানব-জাতির প্রতি, তার পর সৃষ্ট যাবতীয় পদার্থের প্রতি, বিস্তৃত হইয়া পড়ে ; মানুষ তখন কে বলি পরের অনিষ্ট সাধন করিবার জন্ত ব্যগ্র হইয়া থাকে — ছাড়-পত্রে, জীনকে যে ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছিল, তাহ নিতান্ত মিথ্যা নয় । দিনে দিনে বর্ষে বর্ষে তাহার প্রাণ-ধারা দুভাগ্যের কাহিনী હ ૦ (જં) শুষ্ক হইতেছিল। ১৯ বৎসর পরে, বিশুষ্ক হৃদয়ে শুষ্ক নেত্রে জীন পুনরায় সংসারক্ষেত্রে পদার্পণ করিল । (b) অন্ধকার লবণামুরাশি ভেদ করিয়া নক্ষত্রবেগে পোত ছুটিতেছিল । সহসা এক যাত্রী সমুদ্রগর্ভে পতিত হইল । একবার উঠিয়া, একবার ডুবিয়া, চীৎকার করিয়া সকলকে সে ডাকিতে লাগিল – কে সে চাংকার শুনিলে ? সমুদ্রবক্ষে তখন ঝটিকা উঠিয়াছে ; নাবিকের এবং সচ্যাত্রিবৃন্দ পালের রসারসি লইয়াই ব্যস্ত—তাহার আৰ্ত্তনাদ তাহদের কাণে পৌছিল না। উত্তাল তরঙ্গমালার উপর হতভাগের দেহ বিন্দুবং ভাসিতে লাগিল । নিমিষে নিমিষে সে পোত দূর হইতে দূরান্তর্গত হইতেছিল । উহারই মধ্যে সে ত এই কতক্ষণ ছিল ; আর সবারই মত সেও ত উহারই একজন যাত্রী ছিল ; আর সবারই মত সেও ত একদিন উহারই ক্রোড়ে সকলের সহিত একত্রে বসিয়া, স্বর্য্যের আলো এবং সমীরণসঞ্চার উপভোগ করিয়াছে। কিন্তু এখন ?— মুহূর্তের পদখলন, মুহূৰ্বের ভূল— ৩াহীরই ফলে চিরদিনের মত পতন,—সেইখনেই তার জীবন নাট্যের পরিসমাপ্তি ! চারিদিকে বীচি-বিক্ষোভ, পদতলে তরল বারিরাশির প্রাণসংহারিণী লীলা, বাতাসংক্ষুব্ধ উৰ্ম্মিরাশি আছাড়িয়া আছাড়িয় তাহার উপর আসিয়া পড়িয়া অন্ধকার সমুদ্রতলের দিকে তাহাকে দূর করির দিতে চাইতেছে! তরঙ্গের পর তরঙ্গ, জনসংঘের ইtয়, তাহার ** निशैवन उiश रुब्रिtउtइ ; ७क ७कदाब
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।