পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উপর টুপিটা টানিয়া আনিয়া, সেই জানালীর পাশ্বে লাঠি রাখিয়া, লৌহশিকহস্তে ধীরে ধীরে পাশ্বের কক্ষের প্রতি অগ্রসর হইল । রসের রূপ—মাধুর্য্য @l (?) মিরিয়েল আপন কক্ষ অর্গলাবদ্ধ করেন নাই, স্বার উন্মুক্তই ছিল । ( ক্রমশ: ) শ্ৰীসুধীরচন্দ্র মজুমদার। রসের রূপ—মাধুর্য্য ( & ) ( ভাদের বঙ্গদর্শনের ৪৩১ পৃষ্ঠার অনুবৃত্তি ) ফলতঃ সাধারণ লোক প্রাকৃত ও অপ্রাকৃতের মধ্যে যে বিরোধ ও ব্যবধtন আছে বলিয়া মনে করে, তাহা সত্য নহে । ইঞ্জিল্পের দ্বারা যাঙ্গ ধরিতে পারা যায়, তাহাই প্রকৃত । ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যtহা ধারণ হয় না, তাহাই অপ্রাকৃত । কিন্তু লোকে ইহা বিচার করির দেখে না যে, যাহা ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সাক্ষাৎভাবে জানি না ও জানিতে পারি না, তাহাকে ও ইন্দ্রিয়ের সঙ্কেত অনুসরণ করিয়া ধরিতে হয়, তার আর অন্ত পথ নাই । ইন্দ্রিয়ের অতীত যে একটা বিশাল জ্ঞানরাজ্য পড়িয়া আছে, ইন্দিরের সাক্ষ্য হইতেই আমরা তাহা জানিতে পারি, আমাদের অতীন্দ্ৰিয়-জ্ঞান ইন্দ্রিয়কে অতিক্রম করিয়া যার মাত্র, বর্জন করিয়া জন্মে না, জন্মিতে পারে না । যাহা দেখি ও শুনি তারই মধ্যে যাহা দেখা যায় না ও শোনা যায় না, তাহার সঙ্কেত ও সন্ধান পাওয়া যায় । আর এই অতীন্দ্রিয় জ্ঞান ও প্রত্যক্ষ, অনুমানের উপরে প্রতিষ্ঠিত হয় না । তবে ইন্দ্রিয়ের ভিতরকার অতীন্দ্রিয় সঙ্কেতটা সকলে ধরিতে পারে না । সে জন্ত সাধন আবখ্যক । সে সাধনের নাম ভূতশুদ্ধি বা দেহশুদ্ধি। আমাদের ভূতশুদ্ধি নাই বলিয়া, ইন্দ্রিয় সকল কখনও আপনার স্বরূপে অবস্থান করে না । সুতরাং আমাদের ইন্দ্রিয়-প্রত্যক্ষ ও সত্য হয় না ; ইন্দ্রিয়গ্রামের শক্তি.সাধ্য যে কি, ইহাও আমরা জানিতে পারি না । আমরা সত্যভাবে ইন্দ্রিয়ের অনুশীলন বা বিষয়ের সেবা ও করিতে পারি না ; অতীন্দ্রিয়ের ও প্রত্যক্ষলাভ করি না । আমরা কতকগুলি পৈত্রিক ও বৈজিক সংস্কার লইয়া জন্মিয়া, ৰহুবিধ সামাজিক সংস্কারের মধ্যে গড়িয়া উঠি । এই সকল স স্কার আমাদের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করিয়া দেয় । ইহারা আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রামকে বহুবিধ কল্পনার দ্বারা আচ্ছন্ন করির ফেলে । এই জন্ত আমরা সত্যভাবে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি যে কি ও তাঁহাদের সাক্ষ্যই বা কি, ইহাও ধরিতে পারি না, আর অতীন্দ্রিয় বস্তু যে কি তfহী ও প্রত্যক্ষ করিতে পাই না । আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাম স্বরূপভ্রষ্ট হইয়া রহে বলিয়া, অতীন্দ্রিয়ে বিশ্বাসও কেবল অনুমানের ও