○ ob" (43] আসঙ্গলিঙ্গ এই রসের একটা অতি প্রধান লক্ষণ । স্বল্প-বিস্তয় সকল স্থায়ী রসেতেই আপনার উপজীব্য যে বস্তু তার সঙ্গ অfকাজ করে । দাস প্রভূর নিকটে নিত্য কাল থাকিতে চাহে । সখী সখীর সঙ্গে গলাগলি করিয়া চিরদিন কাটাইতে চাহে । পিতামাতাও তাপনার বাৎসল্যকে তৃপ্ত করিবার জন্ত সৰ্ব্বদা সস্তানের মুখ দেখিবার ও তাঁহাকে কোলে লইয়া, বুকে করিয়া রাখিবার জল্প লীলায়িত হন । এ সকলই সত্য । কিন্তু দীস্তে বা সখ্যে বা বাৎসল্যে যে অসিঙ্গলিপস দেখা যায়. মাধুর্যোর অসঙ্গলিপ্তার সঙ্গে তার কোন ও তুলনাই হয় না। এমন কি এই দুই আসক্তি যে এক জাতীয় ইষ্টা গু মনে করা কঠিন হইয় পড়ে। আপনার দেহ-মন-প্রাণ সমুদায় প্রিয়জনের দেহ-মন-প্রাণের মধ্যে একেবারে মিশাইয়া, একেবারে তাঙ্গকে আত্মসাৎ ও তা হাতে আত্মসমর্পণ করিবার বাসনা এ রসে নিরতিশয় প্রবল হইয় উঠে। তার দেহটাকে এই দেহের অণুতে অণুতে টানিয়া আনিতে চাহে । এই দেহটাকে তার দেহের অণুতে অণুতে মিশাইয়া দিবার জন্ত লালারিত হইয়া উঠে । এই যে প্রবল পিয়াস, ইহাই শৃঙ্গারের আসঙ্গলিপ্ত । এই অদ্ভুত আসঙ্গলিপস। আর কোনও রসেতে নাই। আর এই লিপ্ত যত বলবতী চয়, ততই এ স্থল শরীরটাকে রসস্কৃৰ্ত্তির অন্তরায় বলিয়া বোধ হয় । তখন বাস্তবিকই মনে হয় এ অস্থিমাংসময় দেহ যদি গলিয়া জল চইয়া যায়, তবে সেই জলে প্রিয়-অঙ্গের অভিষেক করিয়া প্রণয়িজন আপনার দেহকে সার্থক ও জীবন সফল করিতে পায়িত । বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বুর্য, আশ্বিন, ১৩২০ অ গুরু চন্দন হতাম, তুয়া অঙ্গে মাখাইতাম ঘামিয়া পড়িতাম তুয়া পায় হে ! এ কেবল একটা কথার কথা নহে । ইচাতে কেবল কবিকল্পনাস্থলভ অতিশয়োক্তিই আছে বলিয়া মনে করা ঠিক নয়। ইষ্ট মাধুৰ্য্যের সাৰ্ব্বজনীন আকাঙ্ক্ষা ও অভিজ্ঞতা । এ রস-শরীরটাকে ধরিয়া, শরীরটাকে নিঙারিয়া শরীরের শরীরত্বকে নষ্ট করিয়া, শরীরকেই আপনার ইন্দ্রজাল- প্রভাবে আত্মময় ও আত্মাকেই আবার যুগপৎ শরীরময় করিয়া তবে আপনার পরিণতি পাইবার চেষ্টা করে। চেষ্ট কবে, কিন্তু পায় কারণ এ রস আমনী স্বরূপ | যিনিরস স্বরূপ, শ্রীতি যাগকে রসোই বৈ সঃ বলিয়াছেন, এ রস তাঙ্গারই রমধারীকে আশ্রয় করিয়া, তাহারষ্ট নিখিল রসমূৰ্ত্তিকে পাইবার জন্ত ফুটিয়া উঠে । সjধ ক কবিকুল-ভূড়ামণি চণ্ডীদাস এই শৃঙ্গাররসের এমন মর্য্যাদা প্রচার করিয়াছেন ৪— শৃঙ্গার বুঝিবে কে ? সব রসসার শৃঙ্গার এ । শৃঙ্গার রসের মরম বুঝে । মরম বুঝিয়া শৃঙ্গারে মজে ॥ সকল রসের শৃঙ্গার সেরা । রসিক ভকত শৃঙ্গারে মরা ॥ কিশোর কিশোরী দুষ্টট জন । শৃঙ্গার রসের মুরতি হন ৷ চণ্ডীদাসে কঙ্গে না বুঝে কেহ । যে জন রসিক বুঝয়ে সেহ ॥ প্রাকৃত শৃঙ্গাররসের মধ্যেই অপ্রাকৃত মাধুর্য জন্মে সত্য ; কিন্তু এই শৃঙ্গার-রস সম্ভোগের অধিকfয়ীও জগতে সকলে হয় না । so I এই জন্তই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।